অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি এই তথ্য জানান।
নাদিম অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ ও একাত্তর টিভির জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ সরকারি কলেজ এলাকায় তার মোটরসাইকেল থামিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নাদিমের মাথার আঘাত খুব গুরুতর ছিল। তাই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।’
পৌরসভার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে পেশাগত কাজ শেষে মোটরসাইকেল করে বাসায় ফিরছিলেন গোলাম রাব্বানী নাদিম। এ সময় তার চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে তাকে নামিয়ে মারধর করেন।
রাব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম অভিযোগ করেন, ‘সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর লোকজন আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
রাব্বানির ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন রিফাত অভিযোগ করেন, ‘সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাবু চেয়ারম্যানসহ যারা আছেন, আমি তাদের বিচার চাই।’
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে আমরা চিহ্নিত করে আটক করেছি। হামলায় জড়িত অন্যদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে অন্যদের ধরতে পুলিশের পাঁচটি টিম কাজ করছে। আশা করছি, শিগগিরই তাদের আটক করতে পারব।’