ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অবন্তিকার আত্মহত্যা : শিক্ষক ও সহপাঠী রিমান্ডে

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০২:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • ১০৯৯ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার আদালত। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে এক দিনের এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিকী আজ সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন। এর আগে বেলা ১১টায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

কুমিল্লার কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালতে পুলিশ দ্বীন ইসলামের দুদিন ও সহপাঠী আম্মানের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে।শুনানি শেষে আদালত সহকারী প্রক্টরের এক দিন ও সহপাঠীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রবিবার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে দুই আসামিকে কুমিল্লায় নিয়ে যায়।

তার আগে শনিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপমান করে আসছিলেন।

এদিকে অবন্তিকার সহপাঠীদের আন্দোলন ও আলটিমেটামের ফলে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে শনিবার রাতে ডিএমপি পুলিশ আটক করে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। পরে উপাচার্য এসে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

অবন্তিকার আত্মহত্যা : শিক্ষক ও সহপাঠী রিমান্ডে

আপডেট সময় ০২:১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কুমিল্লার আদালত। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে এক দিনের এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিকী আজ সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন। এর আগে বেলা ১১টায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

কুমিল্লার কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আদালতে পুলিশ দ্বীন ইসলামের দুদিন ও সহপাঠী আম্মানের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে।শুনানি শেষে আদালত সহকারী প্রক্টরের এক দিন ও সহপাঠীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রবিবার রাতে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে দুই আসামিকে কুমিল্লায় নিয়ে যায়।

তার আগে শনিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী অফলাইনে ও অনলাইনে অবন্তিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে অভিযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো অবন্তিকাকেই নানাভাবে অপমান করে আসছিলেন।

এদিকে অবন্তিকার সহপাঠীদের আন্দোলন ও আলটিমেটামের ফলে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে শনিবার রাতে ডিএমপি পুলিশ আটক করে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। পরে উপাচার্য এসে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।