জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থায়নের ঘাটতি পূরণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য তহবিল ছাড় করার এবং অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে তহবিল সরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স ২০২৪-এ ‘ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট: স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানবতার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে সংকীর্ণ স্বার্থ রক্ষার পথ অনুসরণ করলে তা কারো জন্যই কোনো সুফল বয়ে আনবে না।”
প্রধানমন্ত্রীর ছয় প্রস্তাব
- সব ধরনের অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে হবে।
- যুদ্ধ ও সংঘাত, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের হত্যাকাণ্ড থেকে বিশ্বকে পরিত্রাণ পেতে হবে।
- জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য অর্থায়নের তীব্র ভারসাম্যহীনতা দূর করার জন্য অভিযোজন অর্থায়নের বর্তমান পর্যায় অন্তত দ্বিগুণ করতে হবে।
- বিদ্যমান আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থ প্রাপ্তি সুগম করতে হবে।
- বৈশ্বিক অর্থায়নের ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণের বোঝা দূর করতে হবে।
- জলবায়ু কর্মসূচির জন্য বেসরকারি পুঁজি প্রবাহের ক্ষেত্রে সরকারগুলোকে সঠিক পরিকল্পনা, নীতি ও ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করতে হবে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান নগণ্য (বৈশ্বিক নির্গমনের ০.৪৭%-এর কম) হলেও দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপি ২% ক্ষতি হতে পারে এবং ২১০০ সালের মধ্যে এই ক্ষতি নয় শতাংশে পৌঁছে হতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে।