ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

অসামাজিক কাজে জড়িয়ে চাকরি গেল সহকারী পুলিশ সুপারের

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ১১৪৪ বার পড়া হয়েছে

অসামাজিক কার্যকলাপ ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোহা. আবদুর রকিব খান নামের এক সহকারী পুলিশ সুপারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তার আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ও পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত সহকারী পুলিশ সুপার মোহা. আবদুর রকিব খান ময়মনসিংহের ত্রিশাল সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিস কাম বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ, রাতে অবস্থান করা এবং ফুলবাড়ীয়া থানায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়া একটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া ও বেদখল হওয়া দোকানঘর উদ্ধারের জন্য মো. গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।

এসব অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী, অসদাচরণের অভিযোগে আবদুর রকিব খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিভাগীয় মামলায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় এবং আবদুর রকিব খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মোহা. আবদুর রকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সার্বিক পর্যালোচনায় অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় বিধিমালা অনুযায়ী আবদুর রকিব খানকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।

দ্বিতীয় নোটিশের জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, অপরাধের গুরুত্ব ইত্যাদি সার্বিক বিবেচনায় তাকে চাকরি থেকে অপসারণের দণ্ড প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পরামর্শের জন্য পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় তাকে চাকরি থেকে অপসারণের গুরুদণ্ড দেওয়ার পরামর্শ দেয়।

মোহা. আবদুর রকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড প্রদানের প্রস্তাবের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন। এরপর তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। চাকরি থেকে অপসারণ করায় তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি কোনো বকেয়া পাবেন না। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

অসামাজিক কাজে জড়িয়ে চাকরি গেল সহকারী পুলিশ সুপারের

আপডেট সময় ০৮:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

অসামাজিক কার্যকলাপ ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোহা. আবদুর রকিব খান নামের এক সহকারী পুলিশ সুপারকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তার আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ও পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত সহকারী পুলিশ সুপার মোহা. আবদুর রকিব খান ময়মনসিংহের ত্রিশাল সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিস কাম বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ, রাতে অবস্থান করা এবং ফুলবাড়ীয়া থানায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়া একটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া ও বেদখল হওয়া দোকানঘর উদ্ধারের জন্য মো. গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।

এসব অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী, অসদাচরণের অভিযোগে আবদুর রকিব খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিভাগীয় মামলায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় এবং আবদুর রকিব খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

মোহা. আবদুর রকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সার্বিক পর্যালোচনায় অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক সব বিষয় বিবেচনায় বিধিমালা অনুযায়ী আবদুর রকিব খানকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাকে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।

দ্বিতীয় নোটিশের জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, অপরাধের গুরুত্ব ইত্যাদি সার্বিক বিবেচনায় তাকে চাকরি থেকে অপসারণের দণ্ড প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে পরামর্শের জন্য পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় তাকে চাকরি থেকে অপসারণের গুরুদণ্ড দেওয়ার পরামর্শ দেয়।

মোহা. আবদুর রকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ‘চাকরি থেকে অপসারণ’ গুরুদণ্ড প্রদানের প্রস্তাবের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন। এরপর তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। চাকরি থেকে অপসারণ করায় তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি কোনো বকেয়া পাবেন না। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।