আগৈলঝাড়ায় ২০২৩ সালের বছরের প্রথম দিন সরকারের বিনামূল্যের নতুন বই বিতরণের মধ্য দিয়ে ‘বই উৎসব’ পালিত হয়েছে। আজ রবিবার সকালে সরকারী গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে বই উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত।
অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জসীম সরদার, নারী নেত্রী এলিনা জাহিন পুতুলসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও বউ উৎসবে উপজেলার সদরের শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয় ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীসহ উপজেলা সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণের মাধ্যমে বই উৎসব পালিত হয়েছে।
তবে এবছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বই সংকটের কারণে সকল শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পায়নি।
সংশ্লিষ্ঠ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২হাজার ২শ ৩৬সেট নতুন বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে প্রায় ৪ হাজার সেট বই। এর মধ্যে প্রাক প্রাথমিকে ৩ হাজার ৭শ সেট বইয়ের মধ্যে সব বই এসে পৌছেছে। প্রথম শ্রেণির ৩হাজার ৬শ ৮০ সেট চাহিদার বিপরতীতে শুধু মাত্র বাংলা ও ইংরেজী বই আসলেও গনিতের কোনও বই পাওয়া যায়নি।
দ্বিতীয় শ্রেণির ৩হাজার ৭শ ৭৬ সেট চাহিদার বিপরতীতে শুধু মাত্র ইংরেজী বই পাওয়া গেলেও অন্যন্য বিষয়ের কোন বই এখনও আসেনি। তৃতীয় শ্রেনির চাহিদা ৩ হাজার ৭শ ৩০ সেট, চতুর্থ শ্রেণির চাহিদা ৩হাজার ৮শ ৫০সেট ও পঞ্চম শ্রেনীর চাহিদা ৩ হাজার ৫শ সেট বইয়ের মধ্যে কোন একপিচ বইও এসে পৌছায়নি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে।
অপরদিকে ৩৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩হাজার ৬শ সেট নতুন বইয়ের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া গেছে ৮হাজার ৫শ ৫০সেট বই। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির চাহিদা ৩ হাজার ৫শ সেট বইয়ের মধ্যে সব বই পাওয়া গেছে। সপ্তম শ্রেণির চাহিদা ৩হাজার ৩শ ৫০সেট বইয়ের মধ্যে এখনও কোন বই আসেনি। অষ্টম শ্রেণির চাহিদা ৩ হাজার ৩শ ৫০সেট বইয়ের মধ্যে সব বই পাওয়া গেছে। নবম শ্রেণির চাহিদা ৩হাজার ৫শ সেট বইয়ের মধ্যে অর্ধেক বই এসেছে। বাকী বই কবে আসবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি শিক্ষা অফিস।