প্রায় সাড়ে চার মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আবারো কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণকে কেন্দ্র করে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পল্টুন মেরামত, মাছের অবতরণ ঘাটগুলো পুনঃসংস্কারসহ নানান কার্যক্রম শেষ হয়েছে। মাছের অবতরণ সময় নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে সভা করা হয়েছে। দীর্ঘ সময় হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ থাকার কারণে আশা করছি এবার মাছের উৎপাদন বেশি হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া জানান, প্রায় সাড়ে চার মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ থাকার পর আজ মধ্যরাত থেকে হ্রদে আবারো মৎস্য আহরণ শুরু হবে। কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হওয়ায় এখানকার সাধারণ ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষ অত্যন্ত খুশি। আশা করছি, এবার মাছের আহরণ ভালো হবে।
স্থানীয় জেলে রতন কুমার দে বলেন, মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকার কথা থাকলেও এবার তা বৃদ্ধি করে প্রায় সাড়ে চার মাস করা হয়। নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ রাতে আমরা আবারো মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, আমরা এবার ভালো মাছ আহরণ করতে পারব।
বন্ধকালীন সময়ে বেকার জেলে পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করায় তিনি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, ৭২৫ বর্গকিলোমিটারের কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়। তবে এবার হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ১ মে থেকে এগিয়ে এনে ২০ এপ্রিল থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত তিন মাসের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদে হ্রদে পানির পরিমাণ কম থাকায় দুই দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো শুরু হবে মৎস্য আহরণ।
সূত্র : বাসস