ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আত্মহত্যার হুমকি দিলেন হিরো আলম!

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • ১১৪২ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। রুচির দুর্ভিক্ষের কারণে সমাজে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে-বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি এ হুমকি দেন।

গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলম বলেন, ‘আপনাদের মতো রুচিসম্পন্ন মানুষের কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের মতো এত বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য।’

মানুষের রুচি নাকি নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, ‘আমি নাকি ১৮ কোটি লোকের রুচি নষ্ট করেছি। আপনারা কেন আমাকে সাপোর্ট করেন, রুচি নষ্ট করেন।’

এই ইউটিউবার আরও বলেন, ‘স্যার আপনি আমাকে নিয়ে যে কথাবার্তা বলেছেন, অনেক আর্টিস্ট আপনার হাতে তৈরি। অনেক লোক আপনার হাতে তৈরি। স্যার আপনি ইচ্ছে করলে কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন না।’

তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের জন্য বাংলাদেশ নাকি নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করে, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না।’

হিরো আলম বলেন, ‘আমার কী অপরাধ, কেন আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই? আপনার ছেলে যদি হতাম আমি। এভাবে বলতে পারতেন কেউ। হিরো আলমের মামা খালু নাই, ওয়েট নাই। অনেক এমপি দেখছি- সমাজের, দেশের, মানুষের কথা বলে না। নিজেরা ব্যস্ত।’

মানুষের রুচি কেন নষ্ট হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কয়টা লোকের রুচি আছে, সংসদে যারা; তাদের কয়জনের লেখাপড়া আছে। ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের।’

এই ইউটিউবার বলেন, ‘হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। মেরে না ফেলে দিলে কেউ থামাতে পারবেন না। আমি আমার যোগ্যতায় আলম থেকে আজ হিরো আলম। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি আমাকে তৈরি করুন। আমাকে তৈরি করবে কে। আমাকে কেউ তৈরি করবে না। তাহলে রুচির পরিবর্তনও হবে না।’

‘আজ আমার জন্য কে দায়ী’ প্রশ্ন রেখে হিরো আলম বলেন, ‘আরে ভাই, আপনার আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন। কেন ভাই। একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনার রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা। মানুষ আত্মহত্যা কখন করে জানেন? সবকিছুতে টর্চারিং করতেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘হিরো আলমের কাজগুলো দেখেন, রুচি আছে কিনা। কত রুচি সম্পন্ন গান উপহার, নাটক বানাতে পারি। এতে আমার কী করণীয়।’

হিরো আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি আমাকে জেলে দেন। আমাকে সাহায্য করেন কেউ? করেন, করেন না। আমাকে ধিক্কার দেওয়া বন্ধ করুন। আপনারা বড় বড় কথাবার্তা বলেন। রুচি চেঞ্জ করতে পারেন না কেন।’

এই ইউটিউবার বলেন, ‘আমি কি অপরাধ করেছি। আমি যদি রুচি নষ্ট করে থাকি, টিকটক দেখেন তো; কেন তাদের বন্ধ করতে পারতেছেন না। অন্যদের নিয়ে কথাবার্তা বলেন না। এসবের জন্য আমি যদি আত্মহত্যা করি; এর জন্য দায়ী থাকবেন রুচিসম্পন্ন মানুষেরা। অন্যদের মতো আমি তো এই রুচি নিয়ে আসি নাই।’

এর আগে গত রোববার সংবাদমাধ্যমে ‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়।

অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

আত্মহত্যার হুমকি দিলেন হিরো আলম!

আপডেট সময় ১০:৪৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। রুচির দুর্ভিক্ষের কারণে সমাজে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে-বরেণ্য নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি এ হুমকি দেন।

গতকাল সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলম বলেন, ‘আপনাদের মতো রুচিসম্পন্ন মানুষের কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের মতো এত বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য।’

মানুষের রুচি নাকি নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, ‘আমি নাকি ১৮ কোটি লোকের রুচি নষ্ট করেছি। আপনারা কেন আমাকে সাপোর্ট করেন, রুচি নষ্ট করেন।’

এই ইউটিউবার আরও বলেন, ‘স্যার আপনি আমাকে নিয়ে যে কথাবার্তা বলেছেন, অনেক আর্টিস্ট আপনার হাতে তৈরি। অনেক লোক আপনার হাতে তৈরি। স্যার আপনি ইচ্ছে করলে কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন না।’

তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের জন্য বাংলাদেশ নাকি নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করে, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না।’

হিরো আলম বলেন, ‘আমার কী অপরাধ, কেন আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই? আপনার ছেলে যদি হতাম আমি। এভাবে বলতে পারতেন কেউ। হিরো আলমের মামা খালু নাই, ওয়েট নাই। অনেক এমপি দেখছি- সমাজের, দেশের, মানুষের কথা বলে না। নিজেরা ব্যস্ত।’

মানুষের রুচি কেন নষ্ট হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কয়টা লোকের রুচি আছে, সংসদে যারা; তাদের কয়জনের লেখাপড়া আছে। ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের।’

এই ইউটিউবার বলেন, ‘হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। মেরে না ফেলে দিলে কেউ থামাতে পারবেন না। আমি আমার যোগ্যতায় আলম থেকে আজ হিরো আলম। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি আমাকে তৈরি করুন। আমাকে তৈরি করবে কে। আমাকে কেউ তৈরি করবে না। তাহলে রুচির পরিবর্তনও হবে না।’

‘আজ আমার জন্য কে দায়ী’ প্রশ্ন রেখে হিরো আলম বলেন, ‘আরে ভাই, আপনার আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন। কেন ভাই। একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনার রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা। মানুষ আত্মহত্যা কখন করে জানেন? সবকিছুতে টর্চারিং করতেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘হিরো আলমের কাজগুলো দেখেন, রুচি আছে কিনা। কত রুচি সম্পন্ন গান উপহার, নাটক বানাতে পারি। এতে আমার কী করণীয়।’

হিরো আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি আমাকে জেলে দেন। আমাকে সাহায্য করেন কেউ? করেন, করেন না। আমাকে ধিক্কার দেওয়া বন্ধ করুন। আপনারা বড় বড় কথাবার্তা বলেন। রুচি চেঞ্জ করতে পারেন না কেন।’

এই ইউটিউবার বলেন, ‘আমি কি অপরাধ করেছি। আমি যদি রুচি নষ্ট করে থাকি, টিকটক দেখেন তো; কেন তাদের বন্ধ করতে পারতেছেন না। অন্যদের নিয়ে কথাবার্তা বলেন না। এসবের জন্য আমি যদি আত্মহত্যা করি; এর জন্য দায়ী থাকবেন রুচিসম্পন্ন মানুষেরা। অন্যদের মতো আমি তো এই রুচি নিয়ে আসি নাই।’

এর আগে গত রোববার সংবাদমাধ্যমে ‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হয়।

অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’