ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আদালত থেকে আসামির পলায়ন, ৭ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৪:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছে শামসুল হক বাচ্চু নামে মাদক মামলার এক আসামি। এ ঘটনায় ৭ জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) নগরের কোতোয়ালী থানায় সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় একমাত্র আসামি শামসুল হক প্রকাশ বাচ্চু (৬০)। এ ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি।

পালিয়ে যাওয়া শামসুল হক বাচ্চু কুমিল্লার কালীরবাজার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চন্দনাইশ থানার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ।

এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ শামসুল হক বাচ্চুকে গ্রেফতার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাচ্চুকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। চন্দনাইশ থানা পুলিশ জিআরও শাখায় আসামি বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেন।

পরে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আসামিকে হাজতে রাখার পর ওইদিন সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানোর জন্য হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়।

এরপর তাকে হাজতখানার সামনে সেরেস্তা টেবিলের পেছনে একটি বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয়। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আসামিদের কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়ার ফাঁকে বাচ্চু পালিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়া ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্তে কোন ধরনের অবহেলা থাকলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

আদালত থেকে আসামির পলায়ন, ৭ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আপডেট সময় ০৪:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছে শামসুল হক বাচ্চু নামে মাদক মামলার এক আসামি। এ ঘটনায় ৭ জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) নগরের কোতোয়ালী থানায় সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় একমাত্র আসামি শামসুল হক প্রকাশ বাচ্চু (৬০)। এ ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি।

পালিয়ে যাওয়া শামসুল হক বাচ্চু কুমিল্লার কালীরবাজার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে চন্দনাইশ থানার উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ।

এ সময় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ শামসুল হক বাচ্চুকে গ্রেফতার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাচ্চুকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। চন্দনাইশ থানা পুলিশ জিআরও শাখায় আসামি বাচ্চুকে বুঝিয়ে দেন।

পরে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। আসামিকে হাজতে রাখার পর ওইদিন সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানোর জন্য হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়।

এরপর তাকে হাজতখানার সামনে সেরেস্তা টেবিলের পেছনে একটি বেঞ্চে বসতে দেওয়া হয়। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আসামিদের কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়ার ফাঁকে বাচ্চু পালিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়া ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৭ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্তে কোন ধরনের অবহেলা থাকলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।