ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আমরা বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি: ওবায়দুল কাদের

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৫২ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিষয় নিয়ে কথা বলার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এমপিদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তার নির্দেশ আমরা পালন করছি। একইসঙ্গে আমরা বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ পৃথিবীর বহু দেশেই সংকট। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়াও আছে। ইউরোপে পর্যন্ত রেকর্ড ভাঙা সংকট। আমেরিকায় সংকট। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা কথা থাকে, সমালোচনাও থাকে। কিন্তু সেখানে প্রেসিডেন্টে বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করে না। তবে আমাদের দেশে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের দাবি করা হয়। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করা হয়। পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত— এ কথা আমি বলব না। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে পারব এবং বিকাশের ধারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। রাতারাতি এটির পরিবর্তন সম্ভব নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে বলতে গেলে গণতন্ত্র ছিল না। গণতন্ত্র ছিল শৃঙ্খলিত। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে প্রথমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার দুঃসাহসিকতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং জেলা হত্যার বিচার হয়েছে। এসব অসম্ভব কাজগুলো তিনি সম্ভব করতে পেরেছেন।’

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা যায় কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ আগস্টের ঘটনার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান খুনিদের বিদেশে পাঠিয়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করেছেন। তিনি বিচার না হওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তারপরও খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী উনার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই সময় তাকে অপমান করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে সংস্কার আনার চেষ্টা আওয়ামী লীগের আছে। খালেদা জিয়াকে গণভবনে দাওয়াত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। আসলে হয়তো আলাপ হতো। পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে, কিন্তু বিএনপি মাঝখানে শুধু দেয়াল তৈরি করেছে। পরিবর্তনের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

আমরা বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি: ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৭:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

আওয়ামী লীগ বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিষয় নিয়ে কথা বলার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এমপিদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তার নির্দেশ আমরা পালন করছি। একইসঙ্গে আমরা বিরোধীদলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ পৃথিবীর বহু দেশেই সংকট। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়াও আছে। ইউরোপে পর্যন্ত রেকর্ড ভাঙা সংকট। আমেরিকায় সংকট। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা কথা থাকে, সমালোচনাও থাকে। কিন্তু সেখানে প্রেসিডেন্টে বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করে না। তবে আমাদের দেশে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের দাবি করা হয়। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করা হয়। পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত— এ কথা আমি বলব না। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে পারব এবং বিকাশের ধারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। রাতারাতি এটির পরিবর্তন সম্ভব নয়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে বলতে গেলে গণতন্ত্র ছিল না। গণতন্ত্র ছিল শৃঙ্খলিত। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে প্রথমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার দুঃসাহসিকতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং জেলা হত্যার বিচার হয়েছে। এসব অসম্ভব কাজগুলো তিনি সম্ভব করতে পেরেছেন।’

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা যায় কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ আগস্টের ঘটনার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান খুনিদের বিদেশে পাঠিয়েছেন, তাদের পুরস্কৃত করেছেন। তিনি বিচার না হওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তারপরও খালেদা জিয়ার ছেলের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী উনার বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই সময় তাকে অপমান করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে সংস্কার আনার চেষ্টা আওয়ামী লীগের আছে। খালেদা জিয়াকে গণভবনে দাওয়াত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। আসলে হয়তো আলাপ হতো। পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে, কিন্তু বিএনপি মাঝখানে শুধু দেয়াল তৈরি করেছে। পরিবর্তনের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।