ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আল কুরআনে নবী ও রাসূলের নাম

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • ১১০০ বার পড়া হয়েছে

মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সত্য পথে পরিচালনার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূল প্রেরণ করেন। তাদের উপর নাজিল করেন আসমানি কিতাব , শরিয়তের বিধিবিধান। যাদের উপর আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে তারাই নবী ও রাসূল। এ দুনিয়ায় কতজন নবী ও রাসূল এসেছেন, তার সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন। অন্য কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে আল কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘আর অবশ্যই আমি তোমার আগে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কাহিনী তোমার কাছে বর্ণনা করিনি…(সূরা মুমিন, আয়াত-৭৮)। এ আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে বোঝা গেল, আল্লাহ তায়ালা সব নবীর বর্ণনা বিশ^নবী সা:-এর সামনে বর্ণনা করেননি। পবিত্র হাদিস শরিফে নবী ও রাসূলের সংখ্যার বর্ণনা রয়েছে। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু সাঈদ রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল সা:, নবীদের সংখ্যা কত? তিনি বলেন, ‘এক লাখ ২৪ হাজার’। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সা:, এদের মধ্যে রাসূল কতজন? তিনি বললেন, ‘৩১৩ জন’। অনেক বড় সংখ্যা (ইবনে কাসির : ১/৫৮৭-৫৮৮)।

নবী ও রাসূলদের প্রতি ১০৪ খানা আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে। প্রসিদ্ধ চারটি কিতাব হলো- তাওরাত, জাবুর, ইঞ্জিল এবং আল কুরআন। ১০০টি সহিফা নাজিল করা হয়েছে। আসমানি কিতাবের বিধিবিধানের আলোকে নবী ও রাসূলগণ মানুষকে সঠিক পথে দাওয়াত দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তবে নবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যটা হলো দুই প্রকার। ১. যাকে মহান আল্লাহ তায়ালা আসমানি কিতাব দিয়েছেন, যে কিতাবে প্রভুর শরিয়ত বা বিধিবিধান রয়েছে তাকে নবী ও রাসূল বলা হয়। নবীকে নতুন কিতাব দেয়া হয় না। তিনি তার পূর্ববর্তী রাসূলের কিতাবের প্রতি মানুষকে দাওয়াত দেন। ২. নবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য হলো- রাসূলদের প্রতি ওহি নাজিল হতো। নবীদের উপর কোনো ওহি নাজিল হতো না। নবীদের প্রতি ইলহাম আসতো। কিংবা সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে নির্দেশনা দিতেন। মূলত নবী ও রাসূল উভয়কে আল্লাহ তায়ালা মনোনীত করেন।

দ্বীনের রাহাবার, পথপ্রদর্শকদের সংখ্যা অজানা থাকলেও আল কুরআনে ২৫ জন নবী ও রাসূলের নাম আলোচনায় এসেছে। আল কুরআনে উল্লিখিত নবী ও রাসূলরা হলেন- ১. হজরত আদম আ:, ২. হজরত ইদ্রিস আ:, ৩. হজরত নূহ আ:, ৪. হজরত হুদ আ:, ৫. হজরত সালেহ আ:, ৬. হজরত ইবরাহিম আ:, ৭. হজরত লুত আ:, ৮. হজরত ইসমাঈল আ:, ৯. হজরত ইসহাক আ:, ১০. হজরত ইয়াকুব আ:, ১১. হজরত ইউসুফ আ:, ১২. হজরত শোয়াইব আ:, ১৩. হজরত আইয়ুব আ:, ১৪. হজরত যুলকিফল আ:, ১৫. হজরত মূসা আ:, ১৬. হজরত হারুন আ:, ১৭. হজরত দাউদ আ:, ১৮. হজরত সোলায়মান আ:, ১৯. হজরত ইলিয়াস আ:, ২০. হজরত ইয়াসা আ:, ২১. হজরত ইউনূস আ:, ২২. হজরত জাকারিয়া আ:, ২৩. হজরত ইয়াহইয়া আ:, ২৪. হজরত ঈসা আ:, ২৫. সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ সা:।

আল কুরআনে হজরত আদম আ: ৯টি সূরায় ২৫ বার, হজরত ইদরিস আ: দু’টি সূরায় দুইবার, হজরত নূহ আ: ২৮টি সূরায় ৪৩ বার, হজরত হুদ আ: তিনটি সূরায় সাত বার, হজরত সালেহ আ: চারটি সুরায় ৯ বার, হজরত ইবরাহিম খলিল আ:-কে আল্লাহ অনেক পরীক্ষা করেছেন। প্রত্যেক পরীক্ষায় তিনি সফল হয়েছেন। তার নাম ২৫টি সূরায় ৬৯ বার এসেছে। তার জন্মস্থান ইরাকে। ফিলিস্তিন অঞ্চলে বসবাস করেন। মহান আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইবরাহিম আ: স্ত্রী ও শিশুপুত্র ইসমাঈল আ:-কে জনমানবহীন মক্কায় রেখে ফিলিস্তিনে ফিরে আসেন। তাকে আবুল আম্বিয়া বা নবীদের পিতা বলা হয়। হজরত লুত আ: ১৪ সূরায় ২৭ বার, হজরত ইয়াকুব আ: ১০টি সূরায় ১৬ বার, হজরত ইসহাক আ: ১২টি সূরায় ১৭ বার, হজরত ইসমাঈল আ: আটটি সূরায় ১২ বার, হজরত ইউসুফ আ: তিনটি সূরায় ২৭ বার, হজরত শোয়াইব আ: চারটি সূরায় ১১ বার, হজরত আইয়ুব আ: চারটি সূরায় চারবার।

হজরত যুলকিফল আ: দু’টি সূরায় দুইবার, হজরত হারুন আ: ১৩টি সূরায় ২০ বার, হজরত দাউদ আ: ৯টি সূরায় ১৬ বার, হজরত সোলায়মান আ: সাতটি সূরায় ১৭ বার, হজরত ইলিয়াস আ: দু’টি সূরায় তিনবার, হজরত ইয়াসা আ: দু’টি সূরায় দুইবার, হজরত ইউনূস আ: দু’টি সূরায় দুইবার, হজরত জাকারিয়া আ: চারটি সূরায় সাতবার, হজরত ইয়াহইয়া আ: চারটি সূরায় পাঁচবার, হজরত ঈসা আ: ১১টি সূরায় ২৫ বার উল্লিখিত হয়েছেন। তিনি বনি ইসরাইলদের সর্বশেষ নবী ছিলেন। হজরত মূসা আ: বনি ইসরাইলের প্রথম নবী। তিনি সর্বদা আল্লাহর সাথে কথা বলতেন। আল্লাহ তার সাথে কথা বলতেন। পবিত্র কুরআনে ৩৪টি সূরায় ১৩৭ বার মূসা আ:-এর কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক মুজেজা দিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো হাতের লাঠি, যা মাটিতে ফেললে বিশাল বড় সাপ হয়ে যেত। আবার সেটি হাতে নিলে লাটি হয়ে যেত।

আমাদের বিশ^নবী হজরত মোহাম্মদ সা: একজন নবী ও রাসূল। তার প্রতি পবিত্র আল কুরআন নাজিল করা হয়েছে। হজরত রাসূল সা:-এর নাম চারটি সূরায় চারবার এসেছে। অন্যান্য জায়গায় তার গুণবাচক নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আইয়ুহান নবী বা আইয়ুহার রাসূল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক মুজেজা দান করেছেন। তার সবচেয়ে বড় মুজেজা হলো আল কুরআন। আল্লাহ তায়ালা বিশ^নবীর নবুয়তের দীর্ঘ ২৩ বছরে যখন যা প্রয়োজন তখন তা ওহির মাধ্যমে সমাধান দিয়েছেন। বিশ^নবীর প্রতি নাজিলকৃত আল কুরআনের বিধিবিধান চালু ছিল, আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। আল কুরআনের রহস্য নিত্যনতুনভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। মহান আল্লাহ নিজের আল কুরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।

পবিত্র আল কুরআনে ২৫ জন নবী ও রাসূলের নাম এসেছে। প্রত্যেক রাসূলই নবী। কিন্তু প্রত্যেক নবী রাসূল নন। প্রত্যেক মোমেন বান্দা সব নবী ও রাসূলের প্রতি পূর্ণ ঈমান রাখতে হবে। দ্বীন ইসলামের বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তবেই দু’জাহানে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।

লেখক :

  • আসাদুজ্জামান আসাদ

সহকারী অধ্যাপক, পঞ্চগড়

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

আল কুরআনে নবী ও রাসূলের নাম

আপডেট সময় ১১:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সত্য পথে পরিচালনার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূল প্রেরণ করেন। তাদের উপর নাজিল করেন আসমানি কিতাব , শরিয়তের বিধিবিধান। যাদের উপর আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে তারাই নবী ও রাসূল। এ দুনিয়ায় কতজন নবী ও রাসূল এসেছেন, তার সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন। অন্য কারো পক্ষে জানা সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে আল কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘আর অবশ্যই আমি তোমার আগে অনেক রাসূল পাঠিয়েছি। তাদের মধ্যে কারো কারো কাহিনী আমি তোমার কাছে বর্ণনা করেছি আর কারো কাহিনী তোমার কাছে বর্ণনা করিনি…(সূরা মুমিন, আয়াত-৭৮)। এ আয়াত দ্বারা স্পষ্টভাবে বোঝা গেল, আল্লাহ তায়ালা সব নবীর বর্ণনা বিশ^নবী সা:-এর সামনে বর্ণনা করেননি। পবিত্র হাদিস শরিফে নবী ও রাসূলের সংখ্যার বর্ণনা রয়েছে। বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু সাঈদ রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল সা:, নবীদের সংখ্যা কত? তিনি বলেন, ‘এক লাখ ২৪ হাজার’। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সা:, এদের মধ্যে রাসূল কতজন? তিনি বললেন, ‘৩১৩ জন’। অনেক বড় সংখ্যা (ইবনে কাসির : ১/৫৮৭-৫৮৮)।

নবী ও রাসূলদের প্রতি ১০৪ খানা আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে। প্রসিদ্ধ চারটি কিতাব হলো- তাওরাত, জাবুর, ইঞ্জিল এবং আল কুরআন। ১০০টি সহিফা নাজিল করা হয়েছে। আসমানি কিতাবের বিধিবিধানের আলোকে নবী ও রাসূলগণ মানুষকে সঠিক পথে দাওয়াত দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তবে নবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যটা হলো দুই প্রকার। ১. যাকে মহান আল্লাহ তায়ালা আসমানি কিতাব দিয়েছেন, যে কিতাবে প্রভুর শরিয়ত বা বিধিবিধান রয়েছে তাকে নবী ও রাসূল বলা হয়। নবীকে নতুন কিতাব দেয়া হয় না। তিনি তার পূর্ববর্তী রাসূলের কিতাবের প্রতি মানুষকে দাওয়াত দেন। ২. নবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য হলো- রাসূলদের প্রতি ওহি নাজিল হতো। নবীদের উপর কোনো ওহি নাজিল হতো না। নবীদের প্রতি ইলহাম আসতো। কিংবা সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে নির্দেশনা দিতেন। মূলত নবী ও রাসূল উভয়কে আল্লাহ তায়ালা মনোনীত করেন।

দ্বীনের রাহাবার, পথপ্রদর্শকদের সংখ্যা অজানা থাকলেও আল কুরআনে ২৫ জন নবী ও রাসূলের নাম আলোচনায় এসেছে। আল কুরআনে উল্লিখিত নবী ও রাসূলরা হলেন- ১. হজরত আদম আ:, ২. হজরত ইদ্রিস আ:, ৩. হজরত নূহ আ:, ৪. হজরত হুদ আ:, ৫. হজরত সালেহ আ:, ৬. হজরত ইবরাহিম আ:, ৭. হজরত লুত আ:, ৮. হজরত ইসমাঈল আ:, ৯. হজরত ইসহাক আ:, ১০. হজরত ইয়াকুব আ:, ১১. হজরত ইউসুফ আ:, ১২. হজরত শোয়াইব আ:, ১৩. হজরত আইয়ুব আ:, ১৪. হজরত যুলকিফল আ:, ১৫. হজরত মূসা আ:, ১৬. হজরত হারুন আ:, ১৭. হজরত দাউদ আ:, ১৮. হজরত সোলায়মান আ:, ১৯. হজরত ইলিয়াস আ:, ২০. হজরত ইয়াসা আ:, ২১. হজরত ইউনূস আ:, ২২. হজরত জাকারিয়া আ:, ২৩. হজরত ইয়াহইয়া আ:, ২৪. হজরত ঈসা আ:, ২৫. সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ সা:।

আল কুরআনে হজরত আদম আ: ৯টি সূরায় ২৫ বার, হজরত ইদরিস আ: দু’টি সূরায় দুইবার, হজরত নূহ আ: ২৮টি সূরায় ৪৩ বার, হজরত হুদ আ: তিনটি সূরায় সাত বার, হজরত সালেহ আ: চারটি সুরায় ৯ বার, হজরত ইবরাহিম খলিল আ:-কে আল্লাহ অনেক পরীক্ষা করেছেন। প্রত্যেক পরীক্ষায় তিনি সফল হয়েছেন। তার নাম ২৫টি সূরায় ৬৯ বার এসেছে। তার জন্মস্থান ইরাকে। ফিলিস্তিন অঞ্চলে বসবাস করেন। মহান আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইবরাহিম আ: স্ত্রী ও শিশুপুত্র ইসমাঈল আ:-কে জনমানবহীন মক্কায় রেখে ফিলিস্তিনে ফিরে আসেন। তাকে আবুল আম্বিয়া বা নবীদের পিতা বলা হয়। হজরত লুত আ: ১৪ সূরায় ২৭ বার, হজরত ইয়াকুব আ: ১০টি সূরায় ১৬ বার, হজরত ইসহাক আ: ১২টি সূরায় ১৭ বার, হজরত ইসমাঈল আ: আটটি সূরায় ১২ বার, হজরত ইউসুফ আ: তিনটি সূরায় ২৭ বার, হজরত শোয়াইব আ: চারটি সূরায় ১১ বার, হজরত আইয়ুব আ: চারটি সূরায় চারবার।

হজরত যুলকিফল আ: দু’টি সূরায় দুইবার, হজরত হারুন আ: ১৩টি সূরায় ২০ বার, হজরত দাউদ আ: ৯টি সূরায় ১৬ বার, হজরত সোলায়মান আ: সাতটি সূরায় ১৭ বার, হজরত ইলিয়াস আ: দু’টি সূরায় তিনবার, হজরত ইয়াসা আ: দু’টি সূরায় দুইবার, হজরত ইউনূস আ: দু’টি সূরায় দুইবার, হজরত জাকারিয়া আ: চারটি সূরায় সাতবার, হজরত ইয়াহইয়া আ: চারটি সূরায় পাঁচবার, হজরত ঈসা আ: ১১টি সূরায় ২৫ বার উল্লিখিত হয়েছেন। তিনি বনি ইসরাইলদের সর্বশেষ নবী ছিলেন। হজরত মূসা আ: বনি ইসরাইলের প্রথম নবী। তিনি সর্বদা আল্লাহর সাথে কথা বলতেন। আল্লাহ তার সাথে কথা বলতেন। পবিত্র কুরআনে ৩৪টি সূরায় ১৩৭ বার মূসা আ:-এর কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক মুজেজা দিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো হাতের লাঠি, যা মাটিতে ফেললে বিশাল বড় সাপ হয়ে যেত। আবার সেটি হাতে নিলে লাটি হয়ে যেত।

আমাদের বিশ^নবী হজরত মোহাম্মদ সা: একজন নবী ও রাসূল। তার প্রতি পবিত্র আল কুরআন নাজিল করা হয়েছে। হজরত রাসূল সা:-এর নাম চারটি সূরায় চারবার এসেছে। অন্যান্য জায়গায় তার গুণবাচক নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আইয়ুহান নবী বা আইয়ুহার রাসূল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক মুজেজা দান করেছেন। তার সবচেয়ে বড় মুজেজা হলো আল কুরআন। আল্লাহ তায়ালা বিশ^নবীর নবুয়তের দীর্ঘ ২৩ বছরে যখন যা প্রয়োজন তখন তা ওহির মাধ্যমে সমাধান দিয়েছেন। বিশ^নবীর প্রতি নাজিলকৃত আল কুরআনের বিধিবিধান চালু ছিল, আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। আল কুরআনের রহস্য নিত্যনতুনভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। মহান আল্লাহ নিজের আল কুরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।

পবিত্র আল কুরআনে ২৫ জন নবী ও রাসূলের নাম এসেছে। প্রত্যেক রাসূলই নবী। কিন্তু প্রত্যেক নবী রাসূল নন। প্রত্যেক মোমেন বান্দা সব নবী ও রাসূলের প্রতি পূর্ণ ঈমান রাখতে হবে। দ্বীন ইসলামের বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তবেই দু’জাহানে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে।

লেখক :

  • আসাদুজ্জামান আসাদ

সহকারী অধ্যাপক, পঞ্চগড়