আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি দিয়ে বাড়ি সাজানো সেই ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার আলীকে হত্যা চেষ্টা ও নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার আলী।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে চৌপুকুরিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রামের একটি বাড়ির সাজসজ্জায় প্রায় সবারই চোখ আটকে যেত।
বাড়িতে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারার ছবি। বাড়ির দেয়ালে ছিল কেন্দ্রীয় আ.লীগের সদস্য, মহানগর সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পুঠিয়া-দুর্গাপুরের সাবেক সংসদ প্রয়াত তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, পুঠিয়া-দুর্গাপুরের সাবেক সংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ওবায়দুর রহমানসহ জাতীয়, জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীর ছবি। আর অন্যটিতে ছিল বাড়ির কর্তা ঝালুকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাহার আলী মণ্ডলসহ অন্যান্য নেতাকর্মীর ছবি।
আরো জানা গেছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মোজাহার চেয়ারম্যানের মেজো ছেলে তাজমহল মণ্ডল ও ছোট ছেলে সান্টু মণ্ডলের বিয়েতে এভাবেই নেতাদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল প্রবেশ দ্বারগুলো।
শুধু প্রবেশদ্বার নয়, পুরো বাড়ির বিভিন্ন দেয়াল সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের ছবি। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। সরকার পতনের পর ছবিগুলো সরিয়ে ফেলে এলাকাবাসী।
দুর্গাপুর থানার ওসি এবিএম মাসুদ পারভেজ বলেন, হত্যা চেষ্টা ও নাশকতার অভিযোগে ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারকৃত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার আলীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ (সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার চক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন হত্যা চেষ্টা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে এজাহারনামীয় ৭০ জন ও অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।