মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাটো যদি ব্যাটল ট্যাংক ও দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ভারী অস্ত্র ইউক্রেনে মোতায়েন করে, তবে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়া।
রুশ বাহিনী আক্রমণ জোরদার করার প্রেক্ষাপটে পাশ্চাত্যের প্রধান দাতারা আরো শক্তিশালী সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করার প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন থেকে এই সতর্কতামূলক বিবৃতি দেয়া হয়।
বিশেষ করে জার্মানিতে বাধ্য করা হচ্ছে কিয়েভকে ট্যাংক দিয়ে সহায়তা করতে। আর পর্যাপ্ত ভারী অস্ত্র না পাওয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি হতাশা প্রকাশ করেছেন।
গত সপ্তাহে ব্রিটেনের চ্যালেঞ্জার ২ ট্যাংক পাঠানোর ঘোষণা দেয়ার পর থেকে জার্মানি তাদের লিওপার্ড ২ ট্যাংক পাঠানোর জন্য চাপে পড়েছে।
ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র না দিতে পাশ্চাত্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে ক্রেমলিন। কারণ, এসব অস্ত্র রুশ বাহিনী ও এলাকার ওপর আঘাত হানতে সক্ষম।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি চরম বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর অর্থ হবে যুদ্ধকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়া। এবং তা বৈশ্বিক ও সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো হবে না।
আজ শুক্রবার জার্মানির রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সমবেত করতে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধান লয়েড অস্টিন এই সভায় সমন্বয় করছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য সহায়তা দিতে আমরা প্রস্তুত।
সূত্র : আল জাজিরা