ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৪:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ১১১৫ বার পড়া হয়েছে

মহান প্রভু কোরআনে কারিমে ঘোষণা করেন, ‘নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর কাছে একমাত্র ধর্ম।’ কোরআন সুন্নাহর পরিভাষা অনুযায়ী আদম (আ.) থেকে মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত নবীগণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য যে বিধান দিয়েছেন তা-ই হলো ধর্ম।

আর ইসলাম শব্দের সংক্ষিপ্ত মর্ম হলো, আল্লাহতায়ালার ইবাদতের মাধ্যমে অনুকরণ-অনুসরণ করে তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণ করা এবং তিনি যখন যে রসুল প্রেরণ করেছেন তাঁদের অনুসরণ করার নাম ইসলাম। আর রসুল প্রেরণের এ ধারা মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা সমাপ্ত করেছেন।

মুহাম্মদ (সা.)-কে প্রেরণ করার পর তাঁকে অনুসরণ করার নামই ইসলাম। আল্লাহতায়ালা এ ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করবেন না। মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রেরণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা অন্য নবী-রসুলদের মাধ্যমে প্রেরিত বিধিবিধান রহিত ঘোষণা করেছেন। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নবী মুসা (আ.) যদি জীবিত থাকত তাহলে তাকে আমার অনুসরণ করা ব্যতীত কোনো উপায় থাকত না।’ (আহমদ)

 

অতএব ইসলাম শব্দটি এখন দীনে মুহাম্মদি বা মুহাম্মদ (সা.)-এর আনীত শরিয়তের একটি গুণ ও বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। বস্তুত প্রত্যেক নবীর সময়কালে তাঁর আনীত ধর্মই ছিল ইসলাম ধর্ম। আর তা-ই ছিল আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম। এসব ধর্ম পর্যায়ক্রমে রহিত হয়েছে। বর্তমানে একমাত্র মুহাম্মদ (সা.)-এর আনীত ধর্মই ইসলাম হিসেবে অভিহিত হয়েছে। তাই তাঁর আনীত ধর্ম বা ইসলাম ব্যতীত অপর কোনো ধর্ম আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম সন্ধান করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং পরকালে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আলে ইমরান-৮৫)

উপরোক্ত আয়াতের আলোকে প্রতিটি মানুষকে ইহ এবং পরকালের চিরকল্যাণ লাভের জন্য জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। নেই মুক্তির কোনো উপায়। ইসলাম হলো একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সর্বক্ষেত্রে সুষ্ঠু সমাধান এই ধর্মে রয়েছে।

যারা জীবনের কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসলাম পালন করে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলামবহির্ভূত কোনো আদর্শ অনুসরণ করে তারা মূলত ইসলাম পরিপূর্ণভাবে পালন করে না। বরং খন্ডিতভাবে ইসলাম পালন করে। যা মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ কোরআন সুন্নায় খন্ডিতভাবে ইসলাম পালন করাকে নিন্দা করা হয়েছে।

মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং, তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দুর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনো পথ নেই। কিয়ামতের দিন কঠোরতম শাস্তির দিকে তাদের নিক্ষিপ্ত করা হবে।’ (সুরা আল বাকারাহ-৮৫)

একজন মানুষ তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের বিধান আরোপিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসলামের আংশিক ধারণ করা, অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলাম বর্জন করার সুযোগ এই ধর্মে নেই। বরং যে সব ক্ষেত্রে ইসলাম বর্জন করে অন্য কোনো বিজাতীয় আদর্শ গ্রহণ করা হয় সেই ক্ষেত্রে ইসলামের বিধানকে মিথ্যা সাব্যস্ত করার নামান্তর হয়।

তাই মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না।’ (সুরা আল বাকারাহ-২০৮)

লেখক :

মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি

গবেষক, 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম

আপডেট সময় ০৪:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

মহান প্রভু কোরআনে কারিমে ঘোষণা করেন, ‘নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর কাছে একমাত্র ধর্ম।’ কোরআন সুন্নাহর পরিভাষা অনুযায়ী আদম (আ.) থেকে মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত নবীগণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য যে বিধান দিয়েছেন তা-ই হলো ধর্ম।

আর ইসলাম শব্দের সংক্ষিপ্ত মর্ম হলো, আল্লাহতায়ালার ইবাদতের মাধ্যমে অনুকরণ-অনুসরণ করে তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণ করা এবং তিনি যখন যে রসুল প্রেরণ করেছেন তাঁদের অনুসরণ করার নাম ইসলাম। আর রসুল প্রেরণের এ ধারা মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা সমাপ্ত করেছেন।

মুহাম্মদ (সা.)-কে প্রেরণ করার পর তাঁকে অনুসরণ করার নামই ইসলাম। আল্লাহতায়ালা এ ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করবেন না। মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রেরণের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা অন্য নবী-রসুলদের মাধ্যমে প্রেরিত বিধিবিধান রহিত ঘোষণা করেছেন। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নবী মুসা (আ.) যদি জীবিত থাকত তাহলে তাকে আমার অনুসরণ করা ব্যতীত কোনো উপায় থাকত না।’ (আহমদ)

 

অতএব ইসলাম শব্দটি এখন দীনে মুহাম্মদি বা মুহাম্মদ (সা.)-এর আনীত শরিয়তের একটি গুণ ও বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। বস্তুত প্রত্যেক নবীর সময়কালে তাঁর আনীত ধর্মই ছিল ইসলাম ধর্ম। আর তা-ই ছিল আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম। এসব ধর্ম পর্যায়ক্রমে রহিত হয়েছে। বর্তমানে একমাত্র মুহাম্মদ (সা.)-এর আনীত ধর্মই ইসলাম হিসেবে অভিহিত হয়েছে। তাই তাঁর আনীত ধর্ম বা ইসলাম ব্যতীত অপর কোনো ধর্ম আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম সন্ধান করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং পরকালে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা আলে ইমরান-৮৫)

উপরোক্ত আয়াতের আলোকে প্রতিটি মানুষকে ইহ এবং পরকালের চিরকল্যাণ লাভের জন্য জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। নেই মুক্তির কোনো উপায়। ইসলাম হলো একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সর্বক্ষেত্রে সুষ্ঠু সমাধান এই ধর্মে রয়েছে।

যারা জীবনের কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসলাম পালন করে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলামবহির্ভূত কোনো আদর্শ অনুসরণ করে তারা মূলত ইসলাম পরিপূর্ণভাবে পালন করে না। বরং খন্ডিতভাবে ইসলাম পালন করে। যা মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ কোরআন সুন্নায় খন্ডিতভাবে ইসলাম পালন করাকে নিন্দা করা হয়েছে।

মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখ্যান কর? সুতরাং, তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে পার্থিব জীবনে দুর্গতি ছাড়া তাদের আর কোনো পথ নেই। কিয়ামতের দিন কঠোরতম শাস্তির দিকে তাদের নিক্ষিপ্ত করা হবে।’ (সুরা আল বাকারাহ-৮৫)

একজন মানুষ তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের বিধান আরোপিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইসলামের আংশিক ধারণ করা, অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলাম বর্জন করার সুযোগ এই ধর্মে নেই। বরং যে সব ক্ষেত্রে ইসলাম বর্জন করে অন্য কোনো বিজাতীয় আদর্শ গ্রহণ করা হয় সেই ক্ষেত্রে ইসলামের বিধানকে মিথ্যা সাব্যস্ত করার নামান্তর হয়।

তাই মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না।’ (সুরা আল বাকারাহ-২০৮)

লেখক :

মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানি

গবেষক,