ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট লুটপাট হচ্ছে : গয়েশ্বর চন্দ্র

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১২৭ বার পড়া হয়েছে

উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট লুটপাট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘যদি লুটপাট না হয় উন্নয়নের নামে তাহলে ১০ লাখ কোটি টাকা কিভাবে বিদেশে পাচার হলো? সুতরাং এখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়।’

শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ করি জিয়ার মতো চলব, জিয়ার মতো গড়ব, জিয়ার পথেই চলব। তাহলে জনগণ বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রহণ করবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জনগণের নেতা, জনগণই তার ভাই, জনগণই তার বোন। তিনি বিলাসিতায় বিশ্বাস করতেন না এবং অপচয়েও বিশ্বাস করতেন না। জিয়াউর রহমানকে কারো সাথে তুলনা করতে হয় না। কারণ জিয়াউর রহমানের তুলনা জিয়াউর রহমান নিজেই। কারো সাথে তুলনা করে ছোট করা অথবা জিয়াউর রহমানকে বড় করার প্রয়োজন হয় না।

‘জিয়াউর রহমান একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও গ্রামে গ্রামে হাঁটছেন। কৃষক শ্রমিকদের সাথে হাত মিলিয়েছেন, শিশুদের কোলে নিয়ে আদর করছেন। নারীদের পাশে গিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা জানতে চেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি সমাজে দেখতে চেয়েছেন মানুষ কোন অবস্থায় রয়েছেন। জিয়াউর রহমান কর্মঠ ছিলেন, যার ফলে কেউ কর্মহীন থাকতে পারেনি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিজে সৎ ছিলেন বলেই তার মন্ত্রিসভায় কোনো অসৎ ব্যক্তি ঠাঁই পায়নি। সুতরাং আজকে অসততা ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশটা শেষ প্রান্তে চলে গেছে। দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। মেগা প্রজেক্টের আড়ালে অর্থাৎ উন্নয়নের আড়ালে দুর্নীতি। উন্নয়নটা ধারাবাহিক প্রকল্প এবং এটা জনগণের টাকায়। সুতরাং এখানে বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই। বাহবা তখনই পাওয়া যায় যখন সততার সাথে কাজ করা হয়।

‘আমাদের যে আন্দোলন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের মালিকানা তাদের হাতে যদি ফিরিয়ে দিতে পারি, তাহলে জনগণ এক দিন আমাদেরকে পুরস্কৃত করবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জাসাসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক, জাহিদ হোসেন ইমন, হোসেন শাহিন রাব্বানী, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট লুটপাট হচ্ছে : গয়েশ্বর চন্দ্র

আপডেট সময় ০৭:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

উন্নয়নের নামে মানুষের পকেট লুটপাট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘যদি লুটপাট না হয় উন্নয়নের নামে তাহলে ১০ লাখ কোটি টাকা কিভাবে বিদেশে পাচার হলো? সুতরাং এখান থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়।’

শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা শপথ করি জিয়ার মতো চলব, জিয়ার মতো গড়ব, জিয়ার পথেই চলব। তাহলে জনগণ বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রহণ করবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘জিয়াউর রহমান জনগণের নেতা, জনগণই তার ভাই, জনগণই তার বোন। তিনি বিলাসিতায় বিশ্বাস করতেন না এবং অপচয়েও বিশ্বাস করতেন না। জিয়াউর রহমানকে কারো সাথে তুলনা করতে হয় না। কারণ জিয়াউর রহমানের তুলনা জিয়াউর রহমান নিজেই। কারো সাথে তুলনা করে ছোট করা অথবা জিয়াউর রহমানকে বড় করার প্রয়োজন হয় না।

‘জিয়াউর রহমান একমাত্র ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও গ্রামে গ্রামে হাঁটছেন। কৃষক শ্রমিকদের সাথে হাত মিলিয়েছেন, শিশুদের কোলে নিয়ে আদর করছেন। নারীদের পাশে গিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা জানতে চেয়েছেন। অর্থাৎ তিনি সমাজে দেখতে চেয়েছেন মানুষ কোন অবস্থায় রয়েছেন। জিয়াউর রহমান কর্মঠ ছিলেন, যার ফলে কেউ কর্মহীন থাকতে পারেনি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিজে সৎ ছিলেন বলেই তার মন্ত্রিসভায় কোনো অসৎ ব্যক্তি ঠাঁই পায়নি। সুতরাং আজকে অসততা ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশটা শেষ প্রান্তে চলে গেছে। দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। মেগা প্রজেক্টের আড়ালে অর্থাৎ উন্নয়নের আড়ালে দুর্নীতি। উন্নয়নটা ধারাবাহিক প্রকল্প এবং এটা জনগণের টাকায়। সুতরাং এখানে বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই। বাহবা তখনই পাওয়া যায় যখন সততার সাথে কাজ করা হয়।

‘আমাদের যে আন্দোলন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের মালিকানা তাদের হাতে যদি ফিরিয়ে দিতে পারি, তাহলে জনগণ এক দিন আমাদেরকে পুরস্কৃত করবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জাসাসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ঢাকা উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক, জাহিদ হোসেন ইমন, হোসেন শাহিন রাব্বানী, আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।