ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে অত্যন্ত ফলপ্রসূ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উভয়পক্ষ তাদের জনগণ ও দেশের উন্নতির জন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণ ও দেশের উন্নতির জন্য একে অপরের সাথে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছি।’

শনিবার নয়া দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে, যেখানে আমরা রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও যোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

তিনি আরো বলেন, যেহেতু ঢাকা ও দিল্লি নতুন যাত্রা শুরু করেছে, উভয় দেশ রূপকল্প ২০৪১ ও বিকশিত ভারত ২০৪৭ অনুসরণ করে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা সমঝোতা স্মারক সম্পাদন করেছেন, বেশ কয়েকটি নবায়ন করেছেন এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে ‘ভিশন স্টেটমেন্ট’ সমর্থন করেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ‘ডিজিটাল পার্টনারশিপ’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্ব’ এর জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সম্মত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এ বছরের জানুয়ারিতে তার নতুন সরকার গঠনের পর এটি তার প্রথম কোনো দেশে দ্বিপক্ষীয় সফর।

তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রধান প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম নেয়া ভারতের সাথে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত মূল্য দেয়।’

তিনি ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর, এর আগে তার ভারত সফরসহ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে তার সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সফরের কথা স্মরণ করেন।

এ মাসের শুরুতে (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে তিনি অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একই মাসে (জুন ২০২৪) নজিরবিহীনভাবে দ্বিতীয়বারের জন্য নয়াদিল্লি সফর করছি।’

তিনি বলেন, ‘যা আমাদের দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রতিনিয়ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেছেন, যেখানে তারা দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের উপায় ও অর্থ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তিনি মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভারতে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

সূত্র : ইউএনবি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি

আপডেট সময় ০৩:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে অত্যন্ত ফলপ্রসূ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উভয়পক্ষ তাদের জনগণ ও দেশের উন্নতির জন্য পরস্পরকে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জনগণ ও দেশের উন্নতির জন্য একে অপরের সাথে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছি।’

শনিবার নয়া দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে, যেখানে আমরা রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও যোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

তিনি আরো বলেন, যেহেতু ঢাকা ও দিল্লি নতুন যাত্রা শুরু করেছে, উভয় দেশ রূপকল্প ২০৪১ ও বিকশিত ভারত ২০৪৭ অনুসরণ করে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা সমঝোতা স্মারক সম্পাদন করেছেন, বেশ কয়েকটি নবায়ন করেছেন এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার জন্য ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে ‘ভিশন স্টেটমেন্ট’ সমর্থন করেছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত ‘ডিজিটাল পার্টনারশিপ’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্ব’ এর জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সম্মত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এ বছরের জানুয়ারিতে তার নতুন সরকার গঠনের পর এটি তার প্রথম কোনো দেশে দ্বিপক্ষীয় সফর।

তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রধান প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম নেয়া ভারতের সাথে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত মূল্য দেয়।’

তিনি ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর, এর আগে তার ভারত সফরসহ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে তার সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সফরের কথা স্মরণ করেন।

এ মাসের শুরুতে (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে তিনি অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একই মাসে (জুন ২০২৪) নজিরবিহীনভাবে দ্বিতীয়বারের জন্য নয়াদিল্লি সফর করছি।’

তিনি বলেন, ‘যা আমাদের দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণ। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রতিনিয়ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেছেন, যেখানে তারা দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্কের উপায় ও অর্থ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তিনি মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভারতে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

সূত্র : ইউএনবি