ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঋণ চেয়ে ৪ উপদেষ্টা ও গভর্নরকে বেক্সিমকোর চিঠি

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:২১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৯০ বার পড়া হয়েছে

রফতানি সংশ্লিষ্ট ঋণসুবিধা আবারো চালুর আবেদন জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে বেক্সিমকো।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওসমান কায়সার চৌধুরীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় চলতি পুঁজি না থাকায় রফতানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছে তারা। রফতানিমুখী উৎপাদন শুরু করতে না পারলে ব্যবসা হারাবে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কর্মী ছাঁটাই করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে এ চিঠি দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেক্সিমকো গোষ্ঠীর রফতানিমুখী পোশাক কারখানা লুটপাট এবং আগুন দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার মতো চলতি পুঁজি তাদের হাতে নেই। ফলে অনেক ক্রেতা বেক্সিমকো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না তারা।

চিঠিতে বেক্সিমকো আরো জানায়, আগস্ট মাসে শ্রমিকদের মজুরি দিতে ৬৯ কোটি পাঁচ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল। জনতা ব্যাংক সে লক্ষ্যে ৫৫ কোটি টাকা ঋণ দেয় তাদের। বাকি অর্থ কাঁচামাল আমদানির জন্য আলাদা করে রাখা তহবিল থেকে নেয়া হয়েছে। কিন্তু বেক্সিমকো গোষ্ঠীর নিয়মিত ঋণসুবিধা বন্ধ থাকায় সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি পরিশোধ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি পরিশোধে ৬৫ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটি।

এ পরিস্থিতিতে বেক্সিমকো গোষ্ঠীর যে রফতানি আয় এরই মধ্যে এসেছে এবং আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত যে রফতানি আয় আসার কথা, তা থেকে বেক্সিমকো গোষ্ঠীকে সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি বাবদ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৫ কোটি টাকা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

জনতা ব্যাংকের কাছে বেক্সিমকো গোষ্ঠী যেসব সুবিধা চেয়েছে সেগুলো হলো- ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব বকেয়া সুদবিহীন ব্লক হিসেবে স্থানান্তর; দায় পরিশোধের জন্য ১০ বছর সময় দেয়া; স্থানীয় পর্যায়ে বস্ত্র ও অ্যাকসেসরিজ সরবরাহে ১০ শতাংশ হারে বিল ডিসকাউন্ট সুবিধা ইত্যাদি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ঋণ চেয়ে ৪ উপদেষ্টা ও গভর্নরকে বেক্সিমকোর চিঠি

আপডেট সময় ০৯:২১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রফতানি সংশ্লিষ্ট ঋণসুবিধা আবারো চালুর আবেদন জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চার উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে বেক্সিমকো।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওসমান কায়সার চৌধুরীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় চলতি পুঁজি না থাকায় রফতানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছে তারা। রফতানিমুখী উৎপাদন শুরু করতে না পারলে ব্যবসা হারাবে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কর্মী ছাঁটাই করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কাছে এ চিঠি দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেক্সিমকো গোষ্ঠীর রফতানিমুখী পোশাক কারখানা লুটপাট এবং আগুন দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার মতো চলতি পুঁজি তাদের হাতে নেই। ফলে অনেক ক্রেতা বেক্সিমকো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না তারা।

চিঠিতে বেক্সিমকো আরো জানায়, আগস্ট মাসে শ্রমিকদের মজুরি দিতে ৬৯ কোটি পাঁচ হাজার টাকা প্রয়োজন ছিল। জনতা ব্যাংক সে লক্ষ্যে ৫৫ কোটি টাকা ঋণ দেয় তাদের। বাকি অর্থ কাঁচামাল আমদানির জন্য আলাদা করে রাখা তহবিল থেকে নেয়া হয়েছে। কিন্তু বেক্সিমকো গোষ্ঠীর নিয়মিত ঋণসুবিধা বন্ধ থাকায় সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি পরিশোধ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি পরিশোধে ৬৫ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে শিল্পগোষ্ঠীটি।

এ পরিস্থিতিতে বেক্সিমকো গোষ্ঠীর যে রফতানি আয় এরই মধ্যে এসেছে এবং আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত যে রফতানি আয় আসার কথা, তা থেকে বেক্সিমকো গোষ্ঠীকে সেপ্টেম্বর মাসের মজুরি বাবদ জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৬৫ কোটি টাকা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

জনতা ব্যাংকের কাছে বেক্সিমকো গোষ্ঠী যেসব সুবিধা চেয়েছে সেগুলো হলো- ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব বকেয়া সুদবিহীন ব্লক হিসেবে স্থানান্তর; দায় পরিশোধের জন্য ১০ বছর সময় দেয়া; স্থানীয় পর্যায়ে বস্ত্র ও অ্যাকসেসরিজ সরবরাহে ১০ শতাংশ হারে বিল ডিসকাউন্ট সুবিধা ইত্যাদি।