বিসিএসসহ ৮টি চাকরির পরীক্ষা আগামী শুক্রবার। বিভিন্ন সংস্থার ওইসব পরীক্ষা একই দিনে নির্ধারিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারা পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি বলেছেন, এমনিতেই সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন কম। তাছাড়া ফি পরিশোধ করে তারা আবেদন করেছেন। তাই এখন যদি তারিখ সমন্বয় না করা হয় তাহলে তাদের আর্থিক গচ্চা যাওয়ার পাশাপাশি চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা করাও সম্ভব হবে না।
জানা গেছে, শুক্রবার ১৯ মে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে আবেদনকারী তিন লাখ ৪৬ হাজার। সকাল ১০টা থেকে দুই ঘণ্টার এই পরীক্ষার মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার পদে এবং ১ হাজার ২২ জনকে নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে। সাধারণত দেশের আট বিভাগ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রার্থীরা টেলিফোনে যুগান্তরকে জানান, বিসিএস ছাড়াও সমবায় অধিদপ্তর, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বন অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা আছে। এগুলোর মধ্যে সমবায় অধিদপ্তরের পরিদর্শক, প্রশিক্ষক, মহিলা পরিদর্শক, ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর পদের পরীক্ষা ১৯ মে বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের কম্পিউটার অপারেটর পদে এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অফিস সহায়ক পদের এমসিকিউ পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা ১৯ মে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নেওয়া হবে। বিসিএসআইআর এর সায়েন্টিফিক অফিসার ও রিসার্চ কেমিস্ট পদে লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে বেলা ১১টা থেকে। বন অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগের ফরেস্ট গার্ড (বনপ্রহরী) ও অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষা ১৯ মে বেলা তিনটা থেকে রাজধানীর দুটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের চাকরির পরীক্ষা ১৯ মে বিকাল তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষা একইদিন বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
জানা গেছে, বিসিএস পরীক্ষা ১৯ মে থাকায় অনেকেই নিজের বিভাগীয় শহরে থাকবে। অন্যদিকে বাকি পরীক্ষাগুলো হবে রাজধানীতে। আর বড় কথা হচ্ছে, রাজধানী কোনো পরীক্ষার্থী থাকলেও একইসময়ে একাধিক পরীক্ষায় তারা অংশ নিতে পারবে না। তাই সময় পেছানোর দাবি প্রার্থীদের।