ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

এক নজরে মহানবীর সংক্ষিপ্ত জীবন

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১১১০ বার পড়া হয়েছে

আবির্ভাব থেকে নবুওয়াত (১-৪০ বছর)
শুভ জন্ম : মক্কার প্রসিদ্ধ ও সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশের বনু হাশেম শাখায়। ‘আমুল ফিল’ তথা আবরাহার হস্তিবাহিনীর কাবাঘর আক্রমণের বছর ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে রবিউল আউয়াল মাসে সোমবার দিন সুবহে সাদিকের সময়।

জন্মের ১-৫ বছর : আরবের সংস্কৃতি অনুযায়ী দুধমাতা বনু সাদ গোত্রীয় হালিমার বিনতে আবি জুআইবের ঘরে অবস্থান।
জন্মের ষষ্ঠ বছর : দুধমাতা হালিমার কোল থেকে মা আমিনার কোলে আসেন, কিছু দিন পর মায়ের আকস্মিক মৃত্যু।
জন্মের ৭-৮ বছর : মায়ের মৃত্যুর পর দাদা আবদুল মুত্তালিবের তত্ত্বাবধানে যান। আট বছর বয়সের সময় দাদাজানের মৃত্যু।
জন্মের ৯-২৫ বছর : দাদার মৃত্যুর পর চাচা আবু তালিবের দায়িত্বভুক্ত হন। চাচার সাংসারিক কাজকর্ম, মেষ চরানো ও ব্যবসায় বাণিজ্যে সহায়তা। সততা-বিশ্বস্ততা ও চারিত্রিক শুচিশুভ্রতার জন্য ‘আল-আমিন’ খেতাব প্রাপ্তি। ফিজার যুদ্ধের পরিণতিতে ব্যথিত হয়ে সমাজের কল্যাণে ‘হিলফুল ফুজুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২৫ বছর বয়সে হজরত খাদিজা রা:-এর সাথে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ।

জন্মের ২৫-৪০ বছর : মহীয়সী খাদিজার সাথে সংসার জীবন। দুই পুত্র ও চার কন্যাসন্তানের জন্ম। ৩৫ বছর বয়সের সময় কাবা পুনর্নির্মাণে অভূতপূর্ব নেতৃত্ব প্রদান। সমাজ চিন্তা ও জীবন জিজ্ঞাসা নিয়ে হেরাগুহায় ইবাদত ও ধ্যানে মগ্ন বা মোরাকাবা। ৪০ বছর বয়সে হেরারগুহায় নবুওয়াত লাভ, প্রথম ওহি নাজিল এবং মানবমুক্তির উদ্বোধন।
নবুওয়াতের পর মক্কায় নবী জীবন (৪১-৫৩ বছর)

প্রথম তিন বছর (৬১০-৬১২) : ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ১ ফেব্রুয়ারি (১৭ রমজান) নবুওয়াত লাভ করেন ও প্রথম ওহি নাজিল হয়। প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা সর্বপ্রথম ইসলাম কবুল করেন। পরে হজরত আবু বকর, হজরত আলী ও পালক পুত্র জায়েদ ইবনে হারেসার ইসলাম গ্রহণ। গোপনে চলে ঘনিষ্ঠ মহলে ইসলামের দাওয়াত। হজরত আবু বকর রা:-এর প্রচেষ্টায় উসমান বিন আফফান, আবদুর রহমান বিন আউফ, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস, তালহা বিন উবায়দুল্লাহ, জুবায়ের বিন আওয়াম ও উবাইদা বিন জাররাহ রা: প্রমুখ সম্ভ্রান্ত যুবকদের ইসলাম গ্রহণ। হজরত খাদিজা রা:-এর আত্মীয়-স্বজন ও কিছু দাস-দাসী ইসলাম কবুল। নওমুসলিমদের ওপর নেমে আসে নির্মম শারীরিক নির্যাতন। হজরত আরকামের ঘরে ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়। প্রথম তিন বছরে আনুমানিক ৪০ জন লোকের ইসলাম গ্রহণ।

দ্বিতীয় তিন বছর : প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াতের বিধান। রাসূলুল্লাহ সা: আপন আত্মীয়-স্বজনকে ইসলামের দাওয়াত দেন। কিন্তু পূর্বপুরুষের ধর্ম ত্যাগ করতে খুব কম লোক রাজি হয়। মুসলিমদের ওপর কুরাইশদের অত্যাচার ও নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দের রজব মাসে গোপনে চারজন মহিলাসহ ১৫ জন মুসলিম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। এদের মধ্যে ছিলেন হজরত উসমান রা: ও তার পতœী রাসূলকন্যা হজরত রুকাইয়া রা:। আবু জাহিল রাসূলকে শারীরিক নির্যাতন করে। প্রতিবাদে হজরত হামজা ইসলাম গ্রহণ করেন।

তৃতীয় তিন বছর : কুরইশরা ইসলামের প্রতি আরো কঠোর হয়ে উঠে। রাসূলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাথীদের সমাজচ্যুত করে তিন বছর সময় ‘শিআবে আবি তালিব’-এ অবরুদ্ধ করে রাখে।

নবুওয়াতের দশম বছর : রাসূল সা:-এর জন্য শোকের বছর। এই বছর প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা রা: ও চাচা আবু তালিব মৃত্যুবরণ করেন।
কাফিরদের অত্যাচার সীমাহীন বৃদ্ধি পায়। মহানবী তায়েফ গমন করেন। কিন্তু তায়েফবাসী কর্তৃক নির্যাতিত হন। রাসূলের মিরাজ গমন।

নবুওয়াতের একাদশ বছর : হজরত উমরের ইসলাম গ্রহণ ও প্রকাশ্যে কাবা চত্বরে সালাত আদায়। আবিসিনিয়ায় মুসলমানদের দ্বিতীয় দলের হিজরত। মদিনার লোকদের আকাবার বায়আত। মক্কার বাইরের বিভিন্ন গোত্রের লোকের ইসলাম গ্রহণ।

নবুওয়াতের দ্বাদশ বছর : মদিনাবাসী কর্তৃক আকাবার দ্বিতীয় বায়আত। ক্রমে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কুরাইশদের নির্যাতন বৃদ্ধি।
বেশ কিছু সংখ্যক মদিনাবাসীর ইসলাম গ্রহণ ও মদিনায় ইসলাম প্রচারকেন্দ্র স্থাপন। নবুওয়াতের ত্রয়োদশ বছর : হজরত সাওদা ও হজরত আয়েশার সাথে রাসূল সা:-এর বিয়ে। নবীজীর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত।

মদিনায় নবী জীবন (৫৪-৬৩ বছর)
প্রথম হিজরি : মুহাজির আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন প্রতিষ্ঠা। ঐতিহাসিক মদিনা সনদ তৈরি। কুবায় মসজিদে তাকওয়া নির্মাণ। বনু সালেম মহল্লায় প্রথম জুমার নামাজ আদায় । আবু আইউব আনসারী রা:-এর ঘরে আতিথ্য গ্রহণ। মসজিদে নববী নির্মাণ।
দ্বিতীয় হিজরি : কিবলা পরিবর্তন। বদরের যুদ্ধ। জাকাত ফরজ। রমজানের রোজা ফরজ। রাসূলকন্যা রুকাইয়ার ইন্তেকাল। হজরত ফাতিমা ও হজরত আলী রা:-এর বিয়ে।
তৃতীয় হিজরি : হজরত উসমান রা:-এর সাথে রাসূলকন্যা উম্মে কুলসুমের বিয়ে। হজরত হাসান রা:-এর জন্ম। উহুদের যুদ্ধ, রাসূলের দাঁত মোবারক শহীদ হয়। হজরত হামজার শাহাদাত।

চতুর্থ হিজরি : গাদ্দারি ও নবীজীকে হত্যা চেষ্টার অপরাধে বনু নজিরকে অবরোধ। বীরে মাউনায় ৭০ জন সাহাবির শাহাদাত। রাসূলের সাথে হজরত উম্মে সালমার বিয়ে। পর্দার বিধান জারি। মদপান নিষিদ্ধ।
পঞ্চম হিজরি : আহজাব বা খন্দকের যুদ্ধ। রাসূলের দৌহিত্র আবদুল্লাহ বিন উসমানের ওফাত। জয়নাব বিনতে জাহাশের সাথে রাসূল সা:-এর বিয়ে। হজরত খালিদ ও আমর ইবনে আসের ইসলাম গ্রহণ। বনু কুরাইজার যুদ্ধ।

ষষ্ঠ হিজরি : খায়বারের যুদ্ধ। হুদায়বিয়ার সন্ধি। বায়আতে রিদওয়ান। রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি নবীজীর চিঠি ও ইসলামের দাওয়াত।
সপ্তম হিজরি : রাসূল সা:-এর ২০০ সাহাবিসহ উমরাহ পালন। হজরত উম্মে হাবিবাকে বিয়ে।
অষ্টম হিজরি : মক্কা বিজয়, মানবতার অগ্রযাত্রা। হুনাইনের যুদ্ধ। হজরত আবু সুফিয়ানের ইসলাম গ্রহণ। মুতার যুদ্ধ।
নবম হিজরি : রোমানদের বিরুদ্ধে তাবুকের যুদ্ধ। হজরত আবু বকর রা:-এর নেতৃত্বে। ইসলামের প্রথম হজ আদায়। নবীজীর সাথে আরবের বিভিন্ন গোত্রের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ ও ইসলাম গ্রহণ।

দশম হিজরি : লক্ষাধিক সাহাবিসহ নবীজীর বিদায় হজ। বিদায় হজের ভাষণ ও মক্কায় ১০ দিন অবস্থান।
একাদশ হিজরি : উসামা বিন জায়েদের নেতৃত্বে সিরিয়ায় অভিযানের প্রস্তুতি। সফর মাসের শেষ ভাগে রাসূলুল্লাহ সা:-এর অসুস্থতা। রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ (মতান্তরে ১/২) সোমবার দুনিয়ার জীবন ত্যাগ করে পরম বন্ধুর সান্নিধ্যে গমন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

লেখক :

  • মুফতি শাব্বীর আহমদ

শিক্ষক, প্রাবন্ধিক

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

এক নজরে মহানবীর সংক্ষিপ্ত জীবন

আপডেট সময় ১১:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আবির্ভাব থেকে নবুওয়াত (১-৪০ বছর)
শুভ জন্ম : মক্কার প্রসিদ্ধ ও সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশের বনু হাশেম শাখায়। ‘আমুল ফিল’ তথা আবরাহার হস্তিবাহিনীর কাবাঘর আক্রমণের বছর ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে রবিউল আউয়াল মাসে সোমবার দিন সুবহে সাদিকের সময়।

জন্মের ১-৫ বছর : আরবের সংস্কৃতি অনুযায়ী দুধমাতা বনু সাদ গোত্রীয় হালিমার বিনতে আবি জুআইবের ঘরে অবস্থান।
জন্মের ষষ্ঠ বছর : দুধমাতা হালিমার কোল থেকে মা আমিনার কোলে আসেন, কিছু দিন পর মায়ের আকস্মিক মৃত্যু।
জন্মের ৭-৮ বছর : মায়ের মৃত্যুর পর দাদা আবদুল মুত্তালিবের তত্ত্বাবধানে যান। আট বছর বয়সের সময় দাদাজানের মৃত্যু।
জন্মের ৯-২৫ বছর : দাদার মৃত্যুর পর চাচা আবু তালিবের দায়িত্বভুক্ত হন। চাচার সাংসারিক কাজকর্ম, মেষ চরানো ও ব্যবসায় বাণিজ্যে সহায়তা। সততা-বিশ্বস্ততা ও চারিত্রিক শুচিশুভ্রতার জন্য ‘আল-আমিন’ খেতাব প্রাপ্তি। ফিজার যুদ্ধের পরিণতিতে ব্যথিত হয়ে সমাজের কল্যাণে ‘হিলফুল ফুজুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২৫ বছর বয়সে হজরত খাদিজা রা:-এর সাথে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ।

জন্মের ২৫-৪০ বছর : মহীয়সী খাদিজার সাথে সংসার জীবন। দুই পুত্র ও চার কন্যাসন্তানের জন্ম। ৩৫ বছর বয়সের সময় কাবা পুনর্নির্মাণে অভূতপূর্ব নেতৃত্ব প্রদান। সমাজ চিন্তা ও জীবন জিজ্ঞাসা নিয়ে হেরাগুহায় ইবাদত ও ধ্যানে মগ্ন বা মোরাকাবা। ৪০ বছর বয়সে হেরারগুহায় নবুওয়াত লাভ, প্রথম ওহি নাজিল এবং মানবমুক্তির উদ্বোধন।
নবুওয়াতের পর মক্কায় নবী জীবন (৪১-৫৩ বছর)

প্রথম তিন বছর (৬১০-৬১২) : ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ১ ফেব্রুয়ারি (১৭ রমজান) নবুওয়াত লাভ করেন ও প্রথম ওহি নাজিল হয়। প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা সর্বপ্রথম ইসলাম কবুল করেন। পরে হজরত আবু বকর, হজরত আলী ও পালক পুত্র জায়েদ ইবনে হারেসার ইসলাম গ্রহণ। গোপনে চলে ঘনিষ্ঠ মহলে ইসলামের দাওয়াত। হজরত আবু বকর রা:-এর প্রচেষ্টায় উসমান বিন আফফান, আবদুর রহমান বিন আউফ, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস, তালহা বিন উবায়দুল্লাহ, জুবায়ের বিন আওয়াম ও উবাইদা বিন জাররাহ রা: প্রমুখ সম্ভ্রান্ত যুবকদের ইসলাম গ্রহণ। হজরত খাদিজা রা:-এর আত্মীয়-স্বজন ও কিছু দাস-দাসী ইসলাম কবুল। নওমুসলিমদের ওপর নেমে আসে নির্মম শারীরিক নির্যাতন। হজরত আরকামের ঘরে ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়। প্রথম তিন বছরে আনুমানিক ৪০ জন লোকের ইসলাম গ্রহণ।

দ্বিতীয় তিন বছর : প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াতের বিধান। রাসূলুল্লাহ সা: আপন আত্মীয়-স্বজনকে ইসলামের দাওয়াত দেন। কিন্তু পূর্বপুরুষের ধর্ম ত্যাগ করতে খুব কম লোক রাজি হয়। মুসলিমদের ওপর কুরাইশদের অত্যাচার ও নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দের রজব মাসে গোপনে চারজন মহিলাসহ ১৫ জন মুসলিম আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। এদের মধ্যে ছিলেন হজরত উসমান রা: ও তার পতœী রাসূলকন্যা হজরত রুকাইয়া রা:। আবু জাহিল রাসূলকে শারীরিক নির্যাতন করে। প্রতিবাদে হজরত হামজা ইসলাম গ্রহণ করেন।

তৃতীয় তিন বছর : কুরইশরা ইসলামের প্রতি আরো কঠোর হয়ে উঠে। রাসূলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাথীদের সমাজচ্যুত করে তিন বছর সময় ‘শিআবে আবি তালিব’-এ অবরুদ্ধ করে রাখে।

নবুওয়াতের দশম বছর : রাসূল সা:-এর জন্য শোকের বছর। এই বছর প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা রা: ও চাচা আবু তালিব মৃত্যুবরণ করেন।
কাফিরদের অত্যাচার সীমাহীন বৃদ্ধি পায়। মহানবী তায়েফ গমন করেন। কিন্তু তায়েফবাসী কর্তৃক নির্যাতিত হন। রাসূলের মিরাজ গমন।

নবুওয়াতের একাদশ বছর : হজরত উমরের ইসলাম গ্রহণ ও প্রকাশ্যে কাবা চত্বরে সালাত আদায়। আবিসিনিয়ায় মুসলমানদের দ্বিতীয় দলের হিজরত। মদিনার লোকদের আকাবার বায়আত। মক্কার বাইরের বিভিন্ন গোত্রের লোকের ইসলাম গ্রহণ।

নবুওয়াতের দ্বাদশ বছর : মদিনাবাসী কর্তৃক আকাবার দ্বিতীয় বায়আত। ক্রমে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও কুরাইশদের নির্যাতন বৃদ্ধি।
বেশ কিছু সংখ্যক মদিনাবাসীর ইসলাম গ্রহণ ও মদিনায় ইসলাম প্রচারকেন্দ্র স্থাপন। নবুওয়াতের ত্রয়োদশ বছর : হজরত সাওদা ও হজরত আয়েশার সাথে রাসূল সা:-এর বিয়ে। নবীজীর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত।

মদিনায় নবী জীবন (৫৪-৬৩ বছর)
প্রথম হিজরি : মুহাজির আনসারদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন প্রতিষ্ঠা। ঐতিহাসিক মদিনা সনদ তৈরি। কুবায় মসজিদে তাকওয়া নির্মাণ। বনু সালেম মহল্লায় প্রথম জুমার নামাজ আদায় । আবু আইউব আনসারী রা:-এর ঘরে আতিথ্য গ্রহণ। মসজিদে নববী নির্মাণ।
দ্বিতীয় হিজরি : কিবলা পরিবর্তন। বদরের যুদ্ধ। জাকাত ফরজ। রমজানের রোজা ফরজ। রাসূলকন্যা রুকাইয়ার ইন্তেকাল। হজরত ফাতিমা ও হজরত আলী রা:-এর বিয়ে।
তৃতীয় হিজরি : হজরত উসমান রা:-এর সাথে রাসূলকন্যা উম্মে কুলসুমের বিয়ে। হজরত হাসান রা:-এর জন্ম। উহুদের যুদ্ধ, রাসূলের দাঁত মোবারক শহীদ হয়। হজরত হামজার শাহাদাত।

চতুর্থ হিজরি : গাদ্দারি ও নবীজীকে হত্যা চেষ্টার অপরাধে বনু নজিরকে অবরোধ। বীরে মাউনায় ৭০ জন সাহাবির শাহাদাত। রাসূলের সাথে হজরত উম্মে সালমার বিয়ে। পর্দার বিধান জারি। মদপান নিষিদ্ধ।
পঞ্চম হিজরি : আহজাব বা খন্দকের যুদ্ধ। রাসূলের দৌহিত্র আবদুল্লাহ বিন উসমানের ওফাত। জয়নাব বিনতে জাহাশের সাথে রাসূল সা:-এর বিয়ে। হজরত খালিদ ও আমর ইবনে আসের ইসলাম গ্রহণ। বনু কুরাইজার যুদ্ধ।

ষষ্ঠ হিজরি : খায়বারের যুদ্ধ। হুদায়বিয়ার সন্ধি। বায়আতে রিদওয়ান। রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতি নবীজীর চিঠি ও ইসলামের দাওয়াত।
সপ্তম হিজরি : রাসূল সা:-এর ২০০ সাহাবিসহ উমরাহ পালন। হজরত উম্মে হাবিবাকে বিয়ে।
অষ্টম হিজরি : মক্কা বিজয়, মানবতার অগ্রযাত্রা। হুনাইনের যুদ্ধ। হজরত আবু সুফিয়ানের ইসলাম গ্রহণ। মুতার যুদ্ধ।
নবম হিজরি : রোমানদের বিরুদ্ধে তাবুকের যুদ্ধ। হজরত আবু বকর রা:-এর নেতৃত্বে। ইসলামের প্রথম হজ আদায়। নবীজীর সাথে আরবের বিভিন্ন গোত্রের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ ও ইসলাম গ্রহণ।

দশম হিজরি : লক্ষাধিক সাহাবিসহ নবীজীর বিদায় হজ। বিদায় হজের ভাষণ ও মক্কায় ১০ দিন অবস্থান।
একাদশ হিজরি : উসামা বিন জায়েদের নেতৃত্বে সিরিয়ায় অভিযানের প্রস্তুতি। সফর মাসের শেষ ভাগে রাসূলুল্লাহ সা:-এর অসুস্থতা। রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ (মতান্তরে ১/২) সোমবার দুনিয়ার জীবন ত্যাগ করে পরম বন্ধুর সান্নিধ্যে গমন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

লেখক :

  • মুফতি শাব্বীর আহমদ

শিক্ষক, প্রাবন্ধিক