: শীতকাল আসলে খেজুরের রস দিয়ে গুড় ও নাস্তা তৈরি করে খাবার চাহিদা গ্রামের প্রতিটি মানুষের। তবে এখন আর তেমন খেজুরের রসের দেখা পাচ্ছেনা দক্ষিণাঞ্চল ভোলার চরফ্যাসনের মানুষ।
এক দশক আগেও শীতের মৌসুম আসলেই ভোরে রস সংগ্রহ করে বিক্রি করতে দেখা যেত গাছিদের। শীতের মৌসুম শুরু হতেই বাড়ী বাড়ী চলত খেজুরের রস কিংবা রসের গুড় দিয়ে মজাদার পিঠা পুলির আয়োজন।
শীতে খেজুর রসের কদর বাড়লেও সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই খেজুর রস। তবে অনেকেই দাবী করছেন অসেচতনার কারণে আজ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। সে কারণে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস এখন সোনার হরিণ।
চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, গুটিকয়েক গাছি পুরাতন এই পেশা ধরে রেখেছেন। হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ তসলিম তাদেরই একজন। শীতকাল এলেই ব্যস্ততা বেড়ে যায় তার।
তখন অন্য কাজ বাদ দিয়ে খেজুরের রস বিক্রি করেই সংসার চালান তিনি। মোঃ তসলিম জানান, রসের ব্যাপক চাহিদা থাকার করণে ভোর হতেই না হতে মানুষ তার বাড়ীতে এসের রস ক্রয় করে নিয়ে যায়। এমনকি অগ্রিম অর্ডার নিয়েও রস দিতে পারেন না তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ‘আমাদের অসচেতনার কারণে আজ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ।
খেজুর গাছের এই সঙ্কট নিরসনে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং বেশি বেশি করে খেজুর বীজ বপন করতে হবে।’