অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সম্পদের খোঁজে ৭টি দেশে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যেসব দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে সেগুলো হলো- ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গতকাল সকালে দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকিকে সম্পদের বিবরণী জমা দেয়ার নোটিশ প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপন করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে চুমকির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। দেশের বাইরে ওসি প্রদীপের কোনো সম্পদ আছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে ৭টি দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাঠানো দেশগুলো হলো ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৭শে জুলাই দুদকের দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে প্রদীপের ঘুষের টাকায় চুমকির নামে নেয়া কোটি টাকার বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১শে জুলাই কক্সবাজার জেলার টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ হত্যা মামলায় ২০২২ সালের ৩১শে জানুয়ারি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।