ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কক্সবাজারে একদিনে ৪ লাশ উদ্ধার

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:১৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। খুনের ঘটনার পাশাপাশি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। গতকাল বুধবার জেলার টেকনাফ, রামু ও ঈদগাঁও থেকে পৃথক চারটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এদের মাঝে টেকনাফের নাফ নদের তীর থেকে দুই রোহিঙ্গার মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রামুতে মিলেছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবকের মরদেহ। আর ঈদগাঁওতে নদীতে ভাসমান মরদেহ পেয়েছে পুলিশ।

বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক সময়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা।

টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম জানান, বুধবার বিকালে নাফ নদের হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকার তীরে ভাসমান দুটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। পুলিশ গিয়ে বস্তাবন্দি মরদেহ দুটি তুলে আনে। মৃতদেহ দুটি ফুলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে—— ২-৩ দিন আগে হত্যার পর বস্তাবন্দি অবস্থায় নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে স্থানীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেখতে আসা লোকজন মরদেহ দুটি নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের মোহাম্মদ নবীর ছেলে মোহাম্মদ সালাম (২৭) ও লেদা ক্যাম্প এইচ-৩’র হারুন রশিদের ছেলে শফিউল্লাহ (৩৫) বলে শনাক্ত করেছেন।

মোহাম্মদ সালামের স্ত্রী রাবিয়া বেগম জানান, ১২ দিন আগে তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। নাফ নদে থেকে দুটি লাশ পাওয়ার দুই লাশের একজন আমার স্বামী মোহাম্মদ সালাম।

ওসি আবদুল হালিম বলেন, নিহতদের পরিচয় আপাতত নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তারা কি কারণে খুন হয়েছেন এবং কারা খুন করেছে সে রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে।

এদিকে রামু থানার পার্শ্ববর্তী গ্রাম অফিসের চর বাঁকখালী নদীর তীর এলাকা থেকে হাত-পা-মুখ বাঁধা এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে খুন করে তার চাচার দুটি গরু লুট করেছে ডাকাত দল।

এমনটি ধারণা করছেন তার পরিবার, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। বুধবার ভোররাত ২টার দিকে এলাকায় লুট করতে আসা ডাকাতদের দেখে চিৎকার করায় মানসিক ভারসাম্যহীন এ যুবককে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।

নিহত মীর কাশেম (৩২) ওই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে।

স্থানীয় মেম্বার জাফর আলম জানান, মীর কাশেমের দুহাত পেছনে, মুখ, চোখ এবং পা জোড়া বাঁধা অবস্থায় খালপাড়ের সবজি ক্ষেতে পাওয়া যায়। গরু লুট করতে আসা ডাকাতরাই মীর কাশেমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে ধারণা সবার।

অন্যদিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে শাহাব উদ্দীন (৪২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকালে ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী এলাকার ঈদগাঁও নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির বলেন, সকালের দিকে স্থানীয়রা চলাচলের সময় নদীতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পোকখালীর পূর্ব গোমাতলী এলাকার শাহাব উদ্দীন নামে এ যুবক মৃগীরোগী ছিলেন। হয়তো সবার অজ্ঞাতসারে নদীতে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কক্সবাজারে একদিনে ৪ লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ১১:১৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। খুনের ঘটনার পাশাপাশি চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। গতকাল বুধবার জেলার টেকনাফ, রামু ও ঈদগাঁও থেকে পৃথক চারটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এদের মাঝে টেকনাফের নাফ নদের তীর থেকে দুই রোহিঙ্গার মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রামুতে মিলেছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবকের মরদেহ। আর ঈদগাঁওতে নদীতে ভাসমান মরদেহ পেয়েছে পুলিশ।

বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক সময়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসিরা।

টেকনাফ থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম জানান, বুধবার বিকালে নাফ নদের হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকার তীরে ভাসমান দুটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। পুলিশ গিয়ে বস্তাবন্দি মরদেহ দুটি তুলে আনে। মৃতদেহ দুটি ফুলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে—— ২-৩ দিন আগে হত্যার পর বস্তাবন্দি অবস্থায় নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে স্থানীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেখতে আসা লোকজন মরদেহ দুটি নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের মোহাম্মদ নবীর ছেলে মোহাম্মদ সালাম (২৭) ও লেদা ক্যাম্প এইচ-৩’র হারুন রশিদের ছেলে শফিউল্লাহ (৩৫) বলে শনাক্ত করেছেন।

মোহাম্মদ সালামের স্ত্রী রাবিয়া বেগম জানান, ১২ দিন আগে তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। নাফ নদে থেকে দুটি লাশ পাওয়ার দুই লাশের একজন আমার স্বামী মোহাম্মদ সালাম।

ওসি আবদুল হালিম বলেন, নিহতদের পরিচয় আপাতত নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তারা কি কারণে খুন হয়েছেন এবং কারা খুন করেছে সে রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে।

এদিকে রামু থানার পার্শ্ববর্তী গ্রাম অফিসের চর বাঁকখালী নদীর তীর এলাকা থেকে হাত-পা-মুখ বাঁধা এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে খুন করে তার চাচার দুটি গরু লুট করেছে ডাকাত দল।

এমনটি ধারণা করছেন তার পরিবার, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। বুধবার ভোররাত ২টার দিকে এলাকায় লুট করতে আসা ডাকাতদের দেখে চিৎকার করায় মানসিক ভারসাম্যহীন এ যুবককে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।

নিহত মীর কাশেম (৩২) ওই এলাকার মৃত নিয়ামত আলীর ছেলে।

স্থানীয় মেম্বার জাফর আলম জানান, মীর কাশেমের দুহাত পেছনে, মুখ, চোখ এবং পা জোড়া বাঁধা অবস্থায় খালপাড়ের সবজি ক্ষেতে পাওয়া যায়। গরু লুট করতে আসা ডাকাতরাই মীর কাশেমকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে ধারণা সবার।

অন্যদিকে কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে শাহাব উদ্দীন (৪২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকালে ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী এলাকার ঈদগাঁও নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবির বলেন, সকালের দিকে স্থানীয়রা চলাচলের সময় নদীতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পোকখালীর পূর্ব গোমাতলী এলাকার শাহাব উদ্দীন নামে এ যুবক মৃগীরোগী ছিলেন। হয়তো সবার অজ্ঞাতসারে নদীতে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে।