সাত দিন নিখোঁজ থাকার পর ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভারতীয় পুলিশ। বুধবার কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেন এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। খবর আসার পর এলাকায় চলছে শোকের মাতম। নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এর আগে গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগর থানায় জিডি করেন এমপি আনারের বন্ধু গোপাল। এমপির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন ২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাকে উদ্ধারে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে কাজ করছিল বাংলাদেশের পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে টেকনো স্মৃতি থানা পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা জানতে ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমপি নিখোঁজের ঘটনা ছিল গত কয়েকদিন ধরে টক অব দ্যা কান্ট্রি।
জানা গেছে, গত ১২ মে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছান তিনি। পরের দিন ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কথা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান আজিম। শেষবার বরাহনগর বিধানপার্ক এলাকার কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে তাকে গাড়িতেও উঠতে দেখা যায়। তবে কীভাবে তিনি নিউটাউনে গেলেন তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
আনারের স্বজনরা জানান, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারত যান আনোয়ারুল আজিম। ওইদিন চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন বর্ডার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। ১৫ মে পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও এরপর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি। গত ১৯ মে বিকালে রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে যান তার স্বজনরা। এমপি আনোয়ারুল আজিমের তথ্য পেতে গোয়েন্দা পুলিশের শরণাপন্ন হন তারা। এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বিচার চান নেতাকর্মী ও স্বজনেরা।
সরকারি ভূষণ স্কুল সড়কে এমপির বাসভবন ও দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ছুটে এসেছেন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। নেতাকর্মীদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে আশপাশের এলাকা। এমন হত্যাকাণ্ডের তদন্তপূর্বক শাস্তি দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, আনোয়ারুল আজিমের হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতাকর্মীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।