গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে কাবিননামায় প্রতারণা করায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই নারী কাবিননামায় দেনমোহরে ৪ লাখের পরিবর্তে ১৪ লাখ টাকা লিখে স্বামীর কাছে দেনমোহর দাবিতে মামলা করেন। পালটা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। অপর মূলহোতা নিকাহ রেজিস্টার পলাতক রয়েছেন।
পশারগাতি ইউনিয়নের পাচুড়িয়া গ্রামের হায়াত শেখের মেয়ে হাবিবা সুলতানাকে (২২) শুক্রবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নিকাহ রেজিস্টার কাজি মৌলভি নিজামউদ্দীন, হাবিবার মা আছমা বেগম ও বাবা আনিছুর রহমান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার ফকিরহাটখোলা গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে আরাফাত রহমান ২০২২ সালে ১২ ডিসেম্বর পার্শ্ববর্তী পশারগাতী ইউনিয়নের পাচুড়িয়া গ্রামের হায়াত শেখের মেয়ে হাবিবা সুলতানাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।
বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন পশারগাতী ইউনিয়নের কাজি মৌলভি নিজামউদ্দীন। বিয়ের সময় কাবিননামায় ৪ লাখ টাকা দেনমোহর লেখা হয়। পরবর্তীতে সংসারে মনোমালিন্য হওয়ায় হাবিবা সুলতানা কাজির যোগসাজশে ৪ লাখের স্থানে ১৪ লাখ টাকা বানিয়ে আদালতে দেনমোহরের মামলা করেন।
এটি জানতে পেরে আরাফাত রহমান বাদী হয়ে হাবিবা সুলতানা এবং নিজামউদ্দীনকে আসামি করে আদালতে একটি প্রতারণার মামলা করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত মুকসুদপুর থানার ওসিকে তদন্তসহ আইগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।পশারগাতি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। মুকসুদপুর থানার ওসি আশরাফুল আলম জানান, অভিযান চালিয়ে প্রতারক স্ত্রী হাবিবা সুলতানাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রতারক কাজিকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।