ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পানির তোড়ে ভেসে গেল ২ মাদরাসাছাত্র

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩৭ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গোসল করতে পানিতে নেমে শিল্পকারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পানির তোড়ে ভেসে গেছে দুই মাদরাসাছাত্র। তাদের একজনকে উদ্ধার করা গেলেও অন্যজন রয়েছে নিখোঁজ।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদরাসার পাশের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ ছাত্রের নাম শিহাব হাসান (১১)। সে হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে। উদ্ধার ছাত্রের নাম আব্দুল্লাহ আল তামিম (১০)। সে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তারা দু’জনই ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদরাসায় পড়ে।

তাদের সহপাঠীরা জানায়, নদীর এ জায়গাটি মাদরাসার খুব কাছাকাছি হওয়ায় তারা নিয়মিত সেখানে গোসল করে। আজ জুমার দিন হওয়ায় ফুটবল খেলা শেষে বেলা ১১টার দিকে নদীতে গোসল করতে যায় শিহাব ও আব্দুল্লাহ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিফাত হোসেন জানান, শিহাব ও আব্দুল্লাহ যখন নদীতে নামে, আমরা নদীর পাড়েই বসে ছিলাম। নদীর এ দিকটিতে সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঢাকা সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেড কোম্পানির একটি বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপ ছিল। এ সময় তারা কোম্পানির ব্যবহৃত পানি মেঘনা নদীতে ছেড়ে দেয়। পানির প্রবাহে বেগ থাকায় শিশুরা স্রোতে ভেসে যেতে লাগল। এ সময় এক শিশু এসে আমাকে জানায়, নদীতে গোসল করতে নামা তার সহপাঠিরা স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। তখন আমি দ্রুত পানিতে নামলে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু অন্যজনকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ছাত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দশক ধরে নদীর এই অংশে গোসল করেন তারা। পানি পরিষ্কার হওয়ায় রান্নাবান্নার কাজেও ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নদীতে বর্জ্য ফেলায় এখন আর পানি ব্যবহার করা যায় না। গোসল করার জন্য পানিতে নামলে শরীরও চুলকায়।

এ বিষয়ে কোম্পানির অফিসে যাওয়া হলে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইলে ফোনে একাধিক কর্মকতাকে কল করা হলে তারা এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পানির তোড়ে ভেসে গেল ২ মাদরাসাছাত্র

আপডেট সময় ০৭:০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গোসল করতে পানিতে নেমে শিল্পকারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন পানির তোড়ে ভেসে গেছে দুই মাদরাসাছাত্র। তাদের একজনকে উদ্ধার করা গেলেও অন্যজন রয়েছে নিখোঁজ।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদরাসার পাশের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ ছাত্রের নাম শিহাব হাসান (১১)। সে হোসেন্দী ইউনিয়নের জামালদী গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে। উদ্ধার ছাত্রের নাম আব্দুল্লাহ আল তামিম (১০)। সে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার জহিরুল ইসলামের ছেলে। তারা দু’জনই ভবানীপুর ইসলামিয়া আরবিয়া কবরস্থান মাদরাসায় পড়ে।

তাদের সহপাঠীরা জানায়, নদীর এ জায়গাটি মাদরাসার খুব কাছাকাছি হওয়ায় তারা নিয়মিত সেখানে গোসল করে। আজ জুমার দিন হওয়ায় ফুটবল খেলা শেষে বেলা ১১টার দিকে নদীতে গোসল করতে যায় শিহাব ও আব্দুল্লাহ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিফাত হোসেন জানান, শিহাব ও আব্দুল্লাহ যখন নদীতে নামে, আমরা নদীর পাড়েই বসে ছিলাম। নদীর এ দিকটিতে সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঢাকা সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যাল লিমিটেড কোম্পানির একটি বর্জ্য নিষ্কাশন পাইপ ছিল। এ সময় তারা কোম্পানির ব্যবহৃত পানি মেঘনা নদীতে ছেড়ে দেয়। পানির প্রবাহে বেগ থাকায় শিশুরা স্রোতে ভেসে যেতে লাগল। এ সময় এক শিশু এসে আমাকে জানায়, নদীতে গোসল করতে নামা তার সহপাঠিরা স্রোতে ভেসে যাচ্ছে। তখন আমি দ্রুত পানিতে নামলে একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু অন্যজনকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন টিম লিডার দুলাল ব্যানার্জি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ছাত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক দশক ধরে নদীর এই অংশে গোসল করেন তারা। পানি পরিষ্কার হওয়ায় রান্নাবান্নার কাজেও ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নদীতে বর্জ্য ফেলায় এখন আর পানি ব্যবহার করা যায় না। গোসল করার জন্য পানিতে নামলে শরীরও চুলকায়।

এ বিষয়ে কোম্পানির অফিসে যাওয়া হলে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইলে ফোনে একাধিক কর্মকতাকে কল করা হলে তারা এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।