ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কে হবেন রতন টাটার উত্তরসূরি

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৮:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৮৬ বার পড়া হয়েছে

ভারতের আইকনিক শিল্পপতি ও দেশটির সবচেয়ে বড় শিল্পগোষ্ঠী টাটা সন্সের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান রতন টাটা মারা গেছেন। বয়সজনিত সমস্যা নিয়ে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ জীবনকালে শিল্পপতি হিসেবে একের পর এক নজির গড়েছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মাননা। তথ্য বলছে, তিনি রেখে গেছেন ৩৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তি।

বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টাটা ট্রাস্টের প্রাথমিক জনহিতকর অঙ্গসংস্থান স্যার দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটার নিয়োগকে সমর্থন করেছিলেন রতন টাটা। এ ট্রাস্টগুলো টাটা পরিবারের দাতব্য কাজে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। টাটা পরিবারের তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে গ্রুপের পাঁচটি প্রধান জনহিতকর সংস্থায় বোর্ডের পদে রয়েছে।

রতন টাটার চলে যাওয়া এক যুগের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু এখন সকলের নজর তার উত্তরাধিকারীর দিকে। টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ কে পরিচালনা করবেন—নোয়েল টাটা, নেভিল টাটা, লিয়া টাটা, না মায়া টাটা? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চলছে জল্পনা। লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটা হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার সন্তান। নোয়েল টাটা হলেন রতনের বাবা নেভাল টাটা এবং সৎ মা সিমোনের সন্তান।

মায়া টাটা

৩৪ বছর বয়সি মায়া টাটা গ্রুপে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছেন। বেইজ বিজনেস স্কুল এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মায়া টাটা অপরচুনিটিজ ফান্ড এবং টাটা ডিজিটালের প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। টাটা নিউ অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মায়া।

নেভিল টাটা

মায়া টাটা ছাড়াও আরও একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। ৩২ বছর বয়সি নেভিল টাটা পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। টয়োটা কির্লোস্কর গ্রুপ পরিবারের মানসী কির্লোস্করের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নেভিল। ট্রেন্ট লিমিটেডের অধীনে শীর্ষস্থানীয় হাইপারমার্কেট চেইন স্টার বাজারের প্রধান তিনি।

লিয়া টাটা

বয়সের দিক থেকে ৩৯ বছরের লিয়া টাটা সবার থেকে বড়। তিনি টাটা গ্রুপের হাসপিটালিটি সেক্টরে কাজ করেন। স্পেনের আইইতে পড়াশোনা করা লিয়া তাজ হোটেল রিসোর্টগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানির কার্যকলাপ তিনি পরিচালনা করেন।

 ১৯৩৭ সালে মুম্বাইয়ে রতন টাটার জন্ম। রতন টাটার বাবা নাভাল টাটা পরিবারে এসেছিলেন দত্তক সন্তান হিসেবে। রতন টাটার বয়স যখন ১০ বছর, তখন মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সেই সময় থেকেই ঠাকুরমা নভাজিবাই টাটা তার দেখাশোনা করেন।

মুম্বাইয়ের ক্যাম্পিয়ন স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় রতন টাটার। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই পড়াশোনা করেন। এরপর তাকে ভর্তি করানো হয় মুম্বাইয়ের ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুলে। পরে তিনি শিমলার বিশপ কটন স্কুল এবং আমেরিকার নিউইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলেও পাঠ নেন। ১৯৫৫ সালে রতন গ্র্যাজুয়েট হন একই প্রতিষ্ঠান থেকে। ১৯৫৯-এ কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

টাটা গ্রুপের ব্র্যান্ডিংয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রতন টাটার। অর্ধশত বছর ধরে তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন টাটা গ্রুপের জন্য, তিলে তিলে বড় করেছেন গ্রুপকে। এই অনন্য প্রতিষ্ঠানটির ২১ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন রতন টাটা। এ সময়ে টাটা গ্রুপের আয় বেড়েছে ৪০ গুণ। আর মুনাফা বেড়েছে ৫০ গুণ। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব পালন করে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিলেও ব্যক্তি জীবনে বিয়ে করা হয়ে উঠেনি রতন টাটার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে এক মার্কিন তরুণীর প্রেমে পড়েন রতন টাটা। সেটা তার পড়ার শেষদিকের ঘটনা। সেই প্রেম পরিণতি পায়নি।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কয়েক বছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। তখন ১৯৬০ সাল। ১৯৬২ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেল। ভারত ও চিনের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আকার নিল। রতন টাটা দেশ ও পরিবারের কথা ভেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লেন। ভেবেছিলেন তার প্রেমিকা তার সঙ্গে আসবেন। কিন্তু মেয়ের বাবা-মা নারাজ। বিয়ে দিয়ে ভারতে মেয়েকে পাঠাতে চান না তারা। সম্পর্ক সেখানেই ভেঙে যায়। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি।

ষাটের দশকের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে রতন টাটার প্রেমের কথা শোনা যায়। কিন্তু বিয়ে হয়নি। পরে অভিনেত্রী অন্য একজনকে বিয়ে করেন। সে সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। অনেকে মনে করেন ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কে হবেন রতন টাটার উত্তরসূরি

আপডেট সময় ০৮:৩৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের আইকনিক শিল্পপতি ও দেশটির সবচেয়ে বড় শিল্পগোষ্ঠী টাটা সন্সের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান রতন টাটা মারা গেছেন। বয়সজনিত সমস্যা নিয়ে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ জীবনকালে শিল্পপতি হিসেবে একের পর এক নজির গড়েছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মবিভূষণ’ সম্মাননা। তথ্য বলছে, তিনি রেখে গেছেন ৩৮০০ কোটি রুপির সম্পত্তি।

বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টাটা ট্রাস্টের প্রাথমিক জনহিতকর অঙ্গসংস্থান স্যার দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটার নিয়োগকে সমর্থন করেছিলেন রতন টাটা। এ ট্রাস্টগুলো টাটা পরিবারের দাতব্য কাজে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। টাটা পরিবারের তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে গ্রুপের পাঁচটি প্রধান জনহিতকর সংস্থায় বোর্ডের পদে রয়েছে।

রতন টাটার চলে যাওয়া এক যুগের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু এখন সকলের নজর তার উত্তরাধিকারীর দিকে। টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ কে পরিচালনা করবেন—নোয়েল টাটা, নেভিল টাটা, লিয়া টাটা, না মায়া টাটা? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে চলছে জল্পনা। লিয়া টাটা, মায়া টাটা এবং নেভিল টাটা হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার সন্তান। নোয়েল টাটা হলেন রতনের বাবা নেভাল টাটা এবং সৎ মা সিমোনের সন্তান।

মায়া টাটা

৩৪ বছর বয়সি মায়া টাটা গ্রুপে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছেন। বেইজ বিজনেস স্কুল এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মায়া টাটা অপরচুনিটিজ ফান্ড এবং টাটা ডিজিটালের প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। টাটা নিউ অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন মায়া।

নেভিল টাটা

মায়া টাটা ছাড়াও আরও একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। ৩২ বছর বয়সি নেভিল টাটা পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। টয়োটা কির্লোস্কর গ্রুপ পরিবারের মানসী কির্লোস্করের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নেভিল। ট্রেন্ট লিমিটেডের অধীনে শীর্ষস্থানীয় হাইপারমার্কেট চেইন স্টার বাজারের প্রধান তিনি।

লিয়া টাটা

বয়সের দিক থেকে ৩৯ বছরের লিয়া টাটা সবার থেকে বড়। তিনি টাটা গ্রুপের হাসপিটালিটি সেক্টরে কাজ করেন। স্পেনের আইইতে পড়াশোনা করা লিয়া তাজ হোটেল রিসোর্টগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমানে ইন্ডিয়ান হোটেল কোম্পানির কার্যকলাপ তিনি পরিচালনা করেন।

 ১৯৩৭ সালে মুম্বাইয়ে রতন টাটার জন্ম। রতন টাটার বাবা নাভাল টাটা পরিবারে এসেছিলেন দত্তক সন্তান হিসেবে। রতন টাটার বয়স যখন ১০ বছর, তখন মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সেই সময় থেকেই ঠাকুরমা নভাজিবাই টাটা তার দেখাশোনা করেন।

মুম্বাইয়ের ক্যাম্পিয়ন স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় রতন টাটার। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই পড়াশোনা করেন। এরপর তাকে ভর্তি করানো হয় মুম্বাইয়ের ক্যাথিড্রাল অ্যান্ড জন কনন স্কুলে। পরে তিনি শিমলার বিশপ কটন স্কুল এবং আমেরিকার নিউইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলেও পাঠ নেন। ১৯৫৫ সালে রতন গ্র্যাজুয়েট হন একই প্রতিষ্ঠান থেকে। ১৯৫৯-এ কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

টাটা গ্রুপের ব্র্যান্ডিংয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রতন টাটার। অর্ধশত বছর ধরে তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন টাটা গ্রুপের জন্য, তিলে তিলে বড় করেছেন গ্রুপকে। এই অনন্য প্রতিষ্ঠানটির ২১ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন রতন টাটা। এ সময়ে টাটা গ্রুপের আয় বেড়েছে ৪০ গুণ। আর মুনাফা বেড়েছে ৫০ গুণ। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব পালন করে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিলেও ব্যক্তি জীবনে বিয়ে করা হয়ে উঠেনি রতন টাটার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে এক মার্কিন তরুণীর প্রেমে পড়েন রতন টাটা। সেটা তার পড়ার শেষদিকের ঘটনা। সেই প্রেম পরিণতি পায়নি।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কয়েক বছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। তখন ১৯৬০ সাল। ১৯৬২ সালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেল। ভারত ও চিনের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আকার নিল। রতন টাটা দেশ ও পরিবারের কথা ভেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লেন। ভেবেছিলেন তার প্রেমিকা তার সঙ্গে আসবেন। কিন্তু মেয়ের বাবা-মা নারাজ। বিয়ে দিয়ে ভারতে মেয়েকে পাঠাতে চান না তারা। সম্পর্ক সেখানেই ভেঙে যায়। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি।

ষাটের দশকের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে রতন টাটার প্রেমের কথা শোনা যায়। কিন্তু বিয়ে হয়নি। পরে অভিনেত্রী অন্য একজনকে বিয়ে করেন। সে সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। অনেকে মনে করেন ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে।