সরকারের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোন দিকে পালাবে তুমি? কোনো দিকে পালাবার পথ নেই; উত্তরে সুউচ্চ পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। কোন দিকে পালাবে তুমি? তাই বলছি- এখনো সময় আছে আমাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন। সংসদ বাতিল করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আসুন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিন।
সোমবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী জামিআ ইসলামিয়া বাইতুন নূর মাদরাসার সামনে এক পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এ পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। এখান থেকে এ পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়ে শ্যামপুরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। এটি বিএনপির দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি।
এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এ পদযাত্রা সভ্যতার জয়যাত্রা, আমাদের এ পদযাত্রা মানুষের অধিকার আদায় করবার জয়যাত্রা। এই পদযাত্রা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্ত করবার জয়যাত্রা। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জয়যাত্রা। আওয়ামী লীগ এখন প্রলাপ বলছে, প্রতিদিন তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ১০ টাকা সের চাল খাওয়াবে- সে কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন চালের দাম কত? কত করে খাচ্ছেন আপনারা, ডালের দাম কত, লবণের দাম কত। আটার দাম কত দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
ফখরুল বলেন, শুধু পুরান ঢাকায়ই নয়, সারাদেশেই গ্যাস নেই। গ্যাস তারা খেয়ে ফেলেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। প্রত্যেকটি দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। জনগণের পকেট থেকে টাকা লুট করে সেই টাকা বিদেশ পাচার করছে আওয়ামী লীগ।
রাজশাহী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি পালায় না। এক-এগারোতে গ্রেফতার হওয়ার পরে কারা পালিয়েছিল দেশ থেকে? সে কথা সবাই জানে। শুধু পালায়নি একজন; তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আপনাররা ১৪-১৫ বছর ধরে মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করছেন। দেশের মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। যার কারণে আপনারা আর পালানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না।
আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে কেউ দুর্বলতা মনে করবেন না জানিয়ে ফখরুল বলেন, এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে প্রতিরোধ গড়ে উঠবে। এই যাত্রার মধ্যে দিয়েই আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করব।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।