ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কোরবানির ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০১:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
  • ১১১০ বার পড়া হয়েছে
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পণ্যটির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বাজারে আরেক মসলাপণ্য এলাচ কেজিতে বেড়ে গেছে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। অস্থির এলাচের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলেছেন ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।

এটি এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা পর্যন্ত। এটি গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা কেজি।

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার ও মায়ের দোয়া স্টোরের কর্ণধার রনি বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে জানান, প্রায় চার মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত।

আগে দেশের বাজারে ভারত থেকে যেসব পেঁয়াজ আসত তার সবটাই চোরাই পথে। এখন বৈধ পথে পণ্যটি আসবে। এ জন্য দাম কমে গেছে। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে।

এদিকে প্রতিদিনই অস্থির হয়ে উঠছে মসলাপণ্য এলাচের বাজার। দেশে তিন ধরনের এলাচ আমদানি হয়। এর মধ্যে বড় দানার সবচেয়ে উন্নত এলাচ আসে ভুটান থেকে। মাঝারি সাইজের মোটামুটি ভালো মানের এলাচ আসে গুয়াতেমালা থেকে। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া থেকেও কিছু এলাচ আমদানি হয়।

বর্তমানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। ১৫ দিন আগেও একই এলাচ বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৫০০ টাকায়। বড় দানার এলাচের বর্তমান মূল্য প্রতি কেজি তিন হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার ৯০০ টাকা। এটি গত দেড় মাসে বেড়েছে কেজিতে এক হাজার ১০০ টাকা।

এলাচের আমদানিকারক রশিদ-উন-নবীর দাবি, এখন এলাচ আমদানিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ককর দিতে হয়। এই এলাচ শুল্কায়ন করা হয় ২৫ ডলারে, অথচ এর আমদানি মূল্য সাত ডলার। শুল্কায়ন মূল্য বেশি ধরার কারণে কেজিতে শুল্ককর বেশি দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে দাম হু হু করে বাড়ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সঠিক রসিদ রাখেন না। এক মাস আগে অভিযানে আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ ১৫ শতাংশ মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য হওয়ার কথা সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। তখন একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছিলাম। এখনো আমাদের বাজার তদারকি চলমান। আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের তালিকা করছি। তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’

এলাচ ছাড়া অন্যান্য মসলাপণ্যের দামও বাড়ছে। বর্তমানে শুকনা মরিচের কেজি ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা। এক মাস আগে এর দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। এখন দেশি রসুনের কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আমদানি করা রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। দেশি আদা আগে ছিল ৩০০ টাকা কেজি, এখন ৪৫০ টাকা। আমদানি করা আদা সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও মসলাপণ্যের আড়তদার সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘আশা করছি, কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে। এবার চাহিদার তুলনায় এলাচ আমদানি কম হয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। এ ছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন, তাঁরাও দাম বাড়াচ্ছেন।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

কোরবানির ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ

আপডেট সময় ০১:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পণ্যটির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বাজারে আরেক মসলাপণ্য এলাচ কেজিতে বেড়ে গেছে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। অস্থির এলাচের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপের কথা বলেছেন ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।

এটি এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। চোরাই পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা পর্যন্ত। এটি গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা কেজি।

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদার ও মায়ের দোয়া স্টোরের কর্ণধার রনি বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে জানান, প্রায় চার মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত।

আগে দেশের বাজারে ভারত থেকে যেসব পেঁয়াজ আসত তার সবটাই চোরাই পথে। এখন বৈধ পথে পণ্যটি আসবে। এ জন্য দাম কমে গেছে। আমদানি শুরু হলে দাম আরো কমবে।

এদিকে প্রতিদিনই অস্থির হয়ে উঠছে মসলাপণ্য এলাচের বাজার। দেশে তিন ধরনের এলাচ আমদানি হয়। এর মধ্যে বড় দানার সবচেয়ে উন্নত এলাচ আসে ভুটান থেকে। মাঝারি সাইজের মোটামুটি ভালো মানের এলাচ আসে গুয়াতেমালা থেকে। এর বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া থেকেও কিছু এলাচ আমদানি হয়।

বর্তমানে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। ১৫ দিন আগেও একই এলাচ বিক্রি হয়েছিল তিন হাজার ৫০০ টাকায়। বড় দানার এলাচের বর্তমান মূল্য প্রতি কেজি তিন হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার ৯০০ টাকা। এটি গত দেড় মাসে বেড়েছে কেজিতে এক হাজার ১০০ টাকা।

এলাচের আমদানিকারক রশিদ-উন-নবীর দাবি, এখন এলাচ আমদানিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ককর দিতে হয়। এই এলাচ শুল্কায়ন করা হয় ২৫ ডলারে, অথচ এর আমদানি মূল্য সাত ডলার। শুল্কায়ন মূল্য বেশি ধরার কারণে কেজিতে শুল্ককর বেশি দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে দাম হু হু করে বাড়ছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সঠিক রসিদ রাখেন না। এক মাস আগে অভিযানে আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ ১৫ শতাংশ মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য হওয়ার কথা সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। তখন একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছিলাম। এখনো আমাদের বাজার তদারকি চলমান। আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের তালিকা করছি। তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’

এলাচ ছাড়া অন্যান্য মসলাপণ্যের দামও বাড়ছে। বর্তমানে শুকনা মরিচের কেজি ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা। এক মাস আগে এর দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। এখন দেশি রসুনের কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আমদানি করা রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। দেশি আদা আগে ছিল ৩০০ টাকা কেজি, এখন ৪৫০ টাকা। আমদানি করা আদা সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও মসলাপণ্যের আড়তদার সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘আশা করছি, কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে। এবার চাহিদার তুলনায় এলাচ আমদানি কম হয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। এ ছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন, তাঁরাও দাম বাড়াচ্ছেন।’