খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
এলাচের আমদানিকারক রশিদ-উন-নবীর দাবি, এখন এলাচ আমদানিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ককর দিতে হয়। এই এলাচ শুল্কায়ন করা হয় ২৫ ডলারে, অথচ এর আমদানি মূল্য সাত ডলার। শুল্কায়ন মূল্য বেশি ধরার কারণে কেজিতে শুল্ককর বেশি দিতে হচ্ছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যে কারণে দাম হু হু করে বাড়ছে।
দাম বাড়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা সঠিক রসিদ রাখেন না। এক মাস আগে অভিযানে আমদানির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলাচ ১৫ শতাংশ মুনাফাসহ বিক্রয়মূল্য হওয়ার কথা সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। তখন একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করেছিলাম। এখনো আমাদের বাজার তদারকি চলমান। আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের তালিকা করছি। তাদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসব।’
এলাচ ছাড়া অন্যান্য মসলাপণ্যের দামও বাড়ছে। বর্তমানে শুকনা মরিচের কেজি ৪৩০ থেকে ৪৪০ টাকা। এক মাস আগে এর দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা। এখন দেশি রসুনের কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আমদানি করা রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। দেশি আদা আগে ছিল ৩০০ টাকা কেজি, এখন ৪৫০ টাকা। আমদানি করা আদা সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও মসলাপণ্যের আড়তদার সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘আশা করছি, কোরবানির আগে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে। এবার চাহিদার তুলনায় এলাচ আমদানি কম হয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। এ ছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন, তাঁরাও দাম বাড়াচ্ছেন।’