আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা, মানি এস্কর্ট, জালনোট শনাক্তকরণ, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিশেষ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সমন্বয় সভার সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।
সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোরবানির পশুবাহী কোনো ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি করা যাবে না। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনদুর্ভোগ এড়াতে হাটের চৌহদ্দির বাইরে কোনো গরু রাখা যাবে না। রাস্তায় গরু রাখা যাবে না। আগামী ২৫ জুনের আগে কোনো গরু হাটে উঠানো যাবে না।
ইজারাদারদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পশুবাহী কোনো ট্রাক থেকে কোথাও গরু নামাতে বাধ্য করা যাবে না। হাটে নেয়ার জন্য গরু নিয়ে টানাটানি করা যাবে না। ব্যবসায়ীকে তার পছন্দ মতো হাটে গরু নিয়ে যেতে দিবে হবে।
পুলিশি সহায়তা পেতে কোন হাটে গরু নিয়ে যাবে- সেটা লিখে ট্রাকের সামনে ব্যানার টানিয়ে দেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ প্রদান করেন কমিশনার। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের পশু বিক্রির টাকা পরিবহনে ডিএমপির এস্কর্ট ব্যবস্থা থাকবে। টাকা পরিবহনে পুলিশ সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেবে।
পুরো পশুর হাট ও গরু ব্যবসায়ীদের খাবার হোটেলগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে ইজাদারদের পরামর্শ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, এবার ঢাকা মহানগরীতে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ২১টি পশুর হাট বসবে।
সভায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়ক, রেল ও নৌ-যান চলাচল এবং যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা মনিটরিংসহ সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার, র্যাব, নৌ-পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, এপিবিএন, ফায়ার সার্ভিস, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও মহানগর এলাকার পশুর হাটের ইজারাদারগণ সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : ডিএমপি নিউজ