ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

খাগড়াছড়িতে বন্দুকযুদ্ধে ৪ ইউপিডিএফ নেতা নিহত

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৪১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১১০৫ বার পড়া হয়েছে

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ইউপিডিএফের (প্রসীত গ্রুপ) চার নেতা নিহত হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে পানছড়ি উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর এলাকায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিহতরা হলেন পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা।

এদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়, সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ায়, লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ায় এবং রুহিন বিকাশ ত্রিপুরার বাড়ি পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়নের পদ্মিনী পাড়ায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) নেতা অংগ্য মারমা।

তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্যই তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে হত্যা করা হয়। নব্যমুখোশধারী গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতিদত্ত চাকমাসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেছেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে, তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমাসহ ওই সাত নেতাকর্মী গতকাল লোগাঙ এলাকায় যান। তারা রাতে অনিলপাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হামলা চালায়। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে চলে যায়।

পানছডড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিশ্চিত হওয়ার পর সঠিক তথ্য নিয়ে জানানো হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

খাগড়াছড়িতে বন্দুকযুদ্ধে ৪ ইউপিডিএফ নেতা নিহত

আপডেট সময় ১১:৪১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ইউপিডিএফের (প্রসীত গ্রুপ) চার নেতা নিহত হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাতে পানছড়ি উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর এলাকায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নিহতরা হলেন পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফের সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা।

এদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়ায়, সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়ায়, লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়ায় এবং রুহিন বিকাশ ত্রিপুরার বাড়ি পানছড়ির উল্টাছড়ি ইউনিয়নের পদ্মিনী পাড়ায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) নেতা অংগ্য মারমা।

তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার এলাকায় যুব সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেজন্যই তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। রাতে তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে হত্যা করা হয়। নব্যমুখোশধারী গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতিদত্ত চাকমাসহ তিনজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেছেন, পাহাড়ে বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে, তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমাসহ ওই সাত নেতাকর্মী গতকাল লোগাঙ এলাকায় যান। তারা রাতে অনিলপাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত আনুমানিক ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হামলা চালায়। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা সেখান থেকে চলে যায়।

পানছডড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চারজন নিহত হওয়ার ঘটনা আমাকে জানিয়েছে। আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিশ্চিত হওয়ার পর সঠিক তথ্য নিয়ে জানানো হবে।