ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলি-লাঠিচার্জ, আহত ২০

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির অন্তত ১৫ জন ও ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পূর্বঘোষিত সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারগ্যাস ও শটগানের গুলি ছুঁড়েছে। আহতদের মধ্যে দিঘলিয়ার সেনাটি ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমানের নাম জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে শুক্রবার দুপুরে ১০ দফা দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। বিকাল ৪টার দিকে ওই সভায় যোগদানের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা সেখান থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। তখন বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদেরকে বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তার ওপর বসে পড়ে। একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে মিছিল বের করার চেষ্টা এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতা-স্যান্ডেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বেনী বাবু রোড, শামসুর রহমান রোড ও ম্যাটারনিটি হাসপাতালের সামনে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কয়েকজন নেতা প্রেসক্লাবের ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। বিএনপি নেতারা জানান, সংঘর্ষে বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমান গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিলে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর পুলিশ তাদেরকে লাঠিচার্জ, নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে তাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশই প্রথমে তাদের ওপর আক্রমণ করে। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তাদের কর্মসূচিতে যে বাধা দেয়, এটা তারই ধারাবাহিকতা।

এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, হলরুমে তাদের কর্মসূচি পালনের অনুমতি ছিল। কিন্তু বাইরে মিছিল করার অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের গুলি-লাঠিচার্জ, আহত ২০

আপডেট সময় ১০:৩২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির অন্তত ১৫ জন ও ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পূর্বঘোষিত সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারগ্যাস ও শটগানের গুলি ছুঁড়েছে। আহতদের মধ্যে দিঘলিয়ার সেনাটি ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমানের নাম জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে শুক্রবার দুপুরে ১০ দফা দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়। বিকাল ৪টার দিকে ওই সভায় যোগদানের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা সেখান থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। তখন বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদেরকে বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তার ওপর বসে পড়ে। একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে মিছিল বের করার চেষ্টা এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতা-স্যান্ডেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বেনী বাবু রোড, শামসুর রহমান রোড ও ম্যাটারনিটি হাসপাতালের সামনে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কয়েকজন নেতা প্রেসক্লাবের ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। বিএনপি নেতারা জানান, সংঘর্ষে বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান, যুবদল নেতা জাহিদুর রহমান গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিলে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর পুলিশ তাদেরকে লাঠিচার্জ, নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে তাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশই প্রথমে তাদের ওপর আক্রমণ করে। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তাদের কর্মসূচিতে যে বাধা দেয়, এটা তারই ধারাবাহিকতা।

এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, হলরুমে তাদের কর্মসূচি পালনের অনুমতি ছিল। কিন্তু বাইরে মিছিল করার অনুমতি ছিল না। তারা মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।