ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

খুলনার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছে: মির্জা ফখরুল

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১০:৪৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • ১১৩৪ বার পড়া হয়েছে

খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ জণসমাবেশ চলাকালীন অতর্কিত হামলা ও নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ জণসমাবেশ চলাকালীন সময়ে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন- খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হিলটন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ন কবির, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, খুলনা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সজীব তালুকদার ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান রিপনসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ মিলন, রাসেল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা মো. শহিদুল মোল্লা ও মো. সেকেন্দার শেখসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে। এছাড়াও জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল, মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরীফ মিয়া, সুয়াইর ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ইয়ার ইসলাম, মদন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির ও জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান ভূঁইয়া লিটনসহ ৩২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকারের এই ভয়াবহ দুঃশাসনে নিষ্ঠুরতা, নিপীড়ন, উৎপীড়ন ও সহিংস আক্রমণে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ গণতান্ত্রিক অধিকার এখন ক্ষতবিক্ষত। গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে সরকার এখন বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে। জনপদের পর জনপদ বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত, নিহত, আহত এবং পঙ্গুত্ববরণ করছে। নিপীড়িত মানুষ ও বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোকে আর দমিয়ে রাখা যাবেনা ভেবেই সরকার এখন শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচিতেই দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বর্বরোচিত আক্রমণ চালাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ক্ষমতাসীনরা মহাসমারোহে বিপুল দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে আরাম-আয়েশের যে স্বর্গ রচনা করেছে সেটি যেন হাতছাড়া না হয় সেজন্য অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিহ্ন করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকারকে হরণ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অদৃশ্য করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি তেলের দাম কোনো কারণ ছাড়াই পুনঃপুন বৃদ্ধি করার কারণে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। সকল গণতন্ত্রমনা শ্রেণি পেশার মানুষসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একযোগে রাস্তায় নামতে হবে।’

খুলনা জেলা, খুলনা মহানগর ও নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করেন এবং খুলনা জেলা ও মহানগরীতে পুলিশের গুলিতে আহতদের সুস্থতা কামনাসহ দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

খুলনার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১০:৪৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ জণসমাবেশ চলাকালীন অতর্কিত হামলা ও নির্বিচারে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জেলা ও মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ জণসমাবেশ চলাকালীন সময়ে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন- খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হিলটন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ন কবির, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, খুলনা মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সজীব তালুকদার ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান রিপনসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ মিলন, রাসেল, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাব্বি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা মো. শহিদুল মোল্লা ও মো. সেকেন্দার শেখসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে। এছাড়াও জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া দুলাল, মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরীফ মিয়া, সুয়াইর ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ইয়ার ইসলাম, মদন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির ও জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান ভূঁইয়া লিটনসহ ৩২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকারের এই ভয়াবহ দুঃশাসনে নিষ্ঠুরতা, নিপীড়ন, উৎপীড়ন ও সহিংস আক্রমণে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ গণতান্ত্রিক অধিকার এখন ক্ষতবিক্ষত। গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে সরকার এখন বন্দুকের ভাষা ব্যবহার করছে। জনপদের পর জনপদ বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্তাক্ত, নিহত, আহত এবং পঙ্গুত্ববরণ করছে। নিপীড়িত মানুষ ও বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোকে আর দমিয়ে রাখা যাবেনা ভেবেই সরকার এখন শান্তিপূর্ণ যেকোনো কর্মসূচিতেই দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বর্বরোচিত আক্রমণ চালাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিকে দেউলিয়া করে ক্ষমতাসীনরা মহাসমারোহে বিপুল দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে আরাম-আয়েশের যে স্বর্গ রচনা করেছে সেটি যেন হাতছাড়া না হয় সেজন্য অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চিহ্ন করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকারকে হরণ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অদৃশ্য করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি তেলের দাম কোনো কারণ ছাড়াই পুনঃপুন বৃদ্ধি করার কারণে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। সকল গণতন্ত্রমনা শ্রেণি পেশার মানুষসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে একযোগে রাস্তায় নামতে হবে।’

খুলনা জেলা, খুলনা মহানগর ও নেত্রকোনায় গ্রেপ্তার নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করেন এবং খুলনা জেলা ও মহানগরীতে পুলিশের গুলিতে আহতদের সুস্থতা কামনাসহ দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।