ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘গুলশানে নামাজরত মুসল্লিদের গ্রেফতার করায় জাতি স্তম্ভিত’

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:১১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
  • ১১২৯ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর গুলশানে নামাজরত মুসল্লিদের গ্রেফতার করায় জাতি স্তম্ভিত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মো: রেজাউল করিম।

বুধবার (২৯ মার্চ) নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে গুলশানের কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে ১৭ জনকে গ্রেফতার ও রিমান্ড মঞ্জুরে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকার একটি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে তারাবিহ নামাজরত ইমাম, দু‘নারী ও শিশুসহ ১৭ মুসল্লিকে গুলশান থানা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিতে থানায় স্বজনরা গেলে তাদের মধ্য থেকে আরো আটজনকে আটক করে পুলিশ। এটি দেশের নাগরিকদের আইনের শাসনের অধিকার ক্ষুণ্ন করার শামিল।

ইসলামিক সেন্টার থেকে আটককৃতদের বিশেষ ক্ষমতা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের গুলশান থানার ৩১(৩)২৩ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। যা ইতিহাসের মারাত্মক হয়রানি ও নিপীড়নের উদাহরণ। পুলিশ আগের মতোই বলে দিয়েছে তারা নাকি নাশকতার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন।

নেতারা উল্লেখ করেন যে পুলিশ দাবি করেছে জামায়াতের বই-পুস্তকের সাথে সেখানে ককটেল পেয়েছে! এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারে গোটা জাতি হতবাক। বিভিন্ন গণমাধ্যম ইতোমধ্যে ঘটনার বিষয়ে সবিস্তারে খবর ছেপেছে। এ ঘটনায় মামলার এক নম্বর সাক্ষী রাসেল মিজি একটি জাতীয় পত্রিকাকে বলেছেন, ‘পুলিশ তাকে সোমবার রাত ১১টার দিকে ডেকে নিয়ে সাক্ষী করে। তিনি কিছু মানুষের জটলা দেখেছেন। কিন্তু কী ঘটেছে তা জানেন না। তবে পুলিশের কাছে শুনেছেন তারা জামায়াতের নেতাকর্মী। তবে সেখানে তিনি কোনো ককটেল দেখেননি।’ এতেই প্রমাণিত হয় ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ও পরিকল্পিত।

নেতারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, পুলিশের দাবি করছে তারা জামায়াত শিবিরের কর্মী। প্রশ্ন হলো জামায়াত শিবির কী তারাবির নামাজ পড়তে পারবে না? আইন অমান্য করে কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে গ্রেফতার মেনে নেয়া যায়। কিন্তু শুধুমাত্র জামায়াত শিবিরের সাথে জড়িত থাকার দায়ে নামাজরত অবস্থাতেও গ্রেফতার করা মারাত্মক বাড়াবাড়ি নয় কী?

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোনো ঘটনা ঘটলেই জামায়াত শিবিরের সাথে জড়িত করে নীরিহ ও সাধারণ মানুষকেও গ্রেফতার করা হয়। অযথা কয়েক মাস জেলে থাকার মতো জুলুমের শিকার হন তারা। তাদের পরিবারে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও মানসিক কষ্ট। সরকার ও প্রশাসনকে এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।

নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আটককৃত মুসল্লিদের মধ্যে ওমরা হজ পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া ছয়জন মুসল্লি রয়েছে, যাদের হজ পালন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা অবিলম্বে আটককৃত সকলের মুক্তিদান এবং হজ পালন করার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

নেতারা ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে আটক আলেম-ওলামা ও মুসল্লিদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন। মানুষের মৌলিক অধিকার ভোগের সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

‘গুলশানে নামাজরত মুসল্লিদের গ্রেফতার করায় জাতি স্তম্ভিত’

আপডেট সময় ০৯:১১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩

রাজধানীর গুলশানে নামাজরত মুসল্লিদের গ্রেফতার করায় জাতি স্তম্ভিত বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মো: রেজাউল করিম।

বুধবার (২৯ মার্চ) নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে গুলশানের কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে ১৭ জনকে গ্রেফতার ও রিমান্ড মঞ্জুরে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকার একটি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে তারাবিহ নামাজরত ইমাম, দু‘নারী ও শিশুসহ ১৭ মুসল্লিকে গুলশান থানা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিতে থানায় স্বজনরা গেলে তাদের মধ্য থেকে আরো আটজনকে আটক করে পুলিশ। এটি দেশের নাগরিকদের আইনের শাসনের অধিকার ক্ষুণ্ন করার শামিল।

ইসলামিক সেন্টার থেকে আটককৃতদের বিশেষ ক্ষমতা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের গুলশান থানার ৩১(৩)২৩ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। যা ইতিহাসের মারাত্মক হয়রানি ও নিপীড়নের উদাহরণ। পুলিশ আগের মতোই বলে দিয়েছে তারা নাকি নাশকতার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন।

নেতারা উল্লেখ করেন যে পুলিশ দাবি করেছে জামায়াতের বই-পুস্তকের সাথে সেখানে ককটেল পেয়েছে! এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারে গোটা জাতি হতবাক। বিভিন্ন গণমাধ্যম ইতোমধ্যে ঘটনার বিষয়ে সবিস্তারে খবর ছেপেছে। এ ঘটনায় মামলার এক নম্বর সাক্ষী রাসেল মিজি একটি জাতীয় পত্রিকাকে বলেছেন, ‘পুলিশ তাকে সোমবার রাত ১১টার দিকে ডেকে নিয়ে সাক্ষী করে। তিনি কিছু মানুষের জটলা দেখেছেন। কিন্তু কী ঘটেছে তা জানেন না। তবে পুলিশের কাছে শুনেছেন তারা জামায়াতের নেতাকর্মী। তবে সেখানে তিনি কোনো ককটেল দেখেননি।’ এতেই প্রমাণিত হয় ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ও পরিকল্পিত।

নেতারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, পুলিশের দাবি করছে তারা জামায়াত শিবিরের কর্মী। প্রশ্ন হলো জামায়াত শিবির কী তারাবির নামাজ পড়তে পারবে না? আইন অমান্য করে কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে গ্রেফতার মেনে নেয়া যায়। কিন্তু শুধুমাত্র জামায়াত শিবিরের সাথে জড়িত থাকার দায়ে নামাজরত অবস্থাতেও গ্রেফতার করা মারাত্মক বাড়াবাড়ি নয় কী?

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোনো ঘটনা ঘটলেই জামায়াত শিবিরের সাথে জড়িত করে নীরিহ ও সাধারণ মানুষকেও গ্রেফতার করা হয়। অযথা কয়েক মাস জেলে থাকার মতো জুলুমের শিকার হন তারা। তাদের পরিবারে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও মানসিক কষ্ট। সরকার ও প্রশাসনকে এহেন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।

নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আটককৃত মুসল্লিদের মধ্যে ওমরা হজ পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেয়া ছয়জন মুসল্লি রয়েছে, যাদের হজ পালন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা অবিলম্বে আটককৃত সকলের মুক্তিদান এবং হজ পালন করার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

নেতারা ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে আটক আলেম-ওলামা ও মুসল্লিদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন। মানুষের মৌলিক অধিকার ভোগের সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি