ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গৌরনদীর মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন ইশরাক: আইনজীবী

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৩:১৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১১২৫ বার পড়া হয়েছে

বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার একটি ভাঙচুরের মামলায় জামিন না নেওয়ায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

রোববার এ মামলার আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরিশাল ইউনিটের সভাপতি মহসিন মন্টু এ কথা জানান। মামলার অপর ৫৪ আসামি রোববার বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন নিয়েছেন।

গত ৫ নভেম্বর গাড়িবহর নিয়ে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তিনিসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেন স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা।

মামলার আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরিশাল ইউনিটের সভাপতি মহসিন মন্টু জানান, ৫ নভেম্বর বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে গাড়িবহর নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেন।

“তাদের গাড়িবহর গৌরনদীর মাহিলাড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ইশরাক হোসেনের বহরে থাকা ১০টি গাড়ি ভাঙচুর ও ১০ জনকে আহত করেন। ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন”

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে গৌরনদীর মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রাসেল রাঢ়ি বাদী হয়ে ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করে গৌরনদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু জানান, উচ্চ আদালত থেকে সব আসামি ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন আসামিরা। গত ২৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ৫৫ জন আসামি জামিন নেন। অন্তর্বর্তী জামিন স্থায়ী করতে রোববার [২৩ জানুয়ারি] বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার আদালতে হাজির হয়ে ৫৪ আসামি স্থানীয় জামিন নেন।

মন্টু আরও বলেন, “ইসরাকের জামিন স্থায়ী করতে আদালতে হাজির হতে হবে। আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।”

বরিশাল জেলা জজ আদালতের পেশকার মো. কামরুল ইসলাম জানান, রোববার ৫৪ জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষে নাজিমউদ্দিন পান্না, আবুল কালাম আজাদ, শাহনুর খানমসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

মামলার আসামি গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. রুবেল গোমস্তাসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০/৪০ জন অস্ত্র নিয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা করে ১০টি গাড়ি ভাংচুর করেন এবং ১০ জন নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত জখম করেন।

“উল্টো আমাদের ১৩০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার বাদী মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল রাঢ়ি বলেন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও যুবলীগ কর্মীর ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, যুবলীগের নেতাকর্মীর উপর হামলা, দলীয় কার্যালয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল রাঢ়ি বাদী হয়ে ইসরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৭০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

তিনি জানান, ঘটনার দিন ঘন-সমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে বরগুনার বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম, পাথরঘাটা বিএনপি নেতা পলাশ হোসেন, ভোলার বিএনপি নেতা সফিউদ্দিনসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলার আসামি করে আদালতে সোপর্দ করে। তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। ১০ আসামি আত্মগোপনে রয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

গৌরনদীর মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন ইশরাক: আইনজীবী

আপডেট সময় ০৩:১৮:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার একটি ভাঙচুরের মামলায় জামিন না নেওয়ায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

রোববার এ মামলার আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরিশাল ইউনিটের সভাপতি মহসিন মন্টু এ কথা জানান। মামলার অপর ৫৪ আসামি রোববার বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন নিয়েছেন।

গত ৫ নভেম্বর গাড়িবহর নিয়ে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদীতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে তিনিসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেন স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা।

মামলার আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বরিশাল ইউনিটের সভাপতি মহসিন মন্টু জানান, ৫ নভেম্বর বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ হয়। ওই সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে গাড়িবহর নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেন।

“তাদের গাড়িবহর গৌরনদীর মাহিলাড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ইশরাক হোসেনের বহরে থাকা ১০টি গাড়ি ভাঙচুর ও ১০ জনকে আহত করেন। ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন”

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে গৌরনদীর মাহিলারা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রাসেল রাঢ়ি বাদী হয়ে ইশরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করে গৌরনদী উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু জানান, উচ্চ আদালত থেকে সব আসামি ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন আসামিরা। গত ২৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ৫৫ জন আসামি জামিন নেন। অন্তর্বর্তী জামিন স্থায়ী করতে রোববার [২৩ জানুয়ারি] বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার আদালতে হাজির হয়ে ৫৪ আসামি স্থানীয় জামিন নেন।

মন্টু আরও বলেন, “ইসরাকের জামিন স্থায়ী করতে আদালতে হাজির হতে হবে। আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।”

বরিশাল জেলা জজ আদালতের পেশকার মো. কামরুল ইসলাম জানান, রোববার ৫৪ জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আসামিপক্ষে নাজিমউদ্দিন পান্না, আবুল কালাম আজাদ, শাহনুর খানমসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

মামলার আসামি গৌরনদী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. রুবেল গোমস্তাসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩০/৪০ জন অস্ত্র নিয়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা করে ১০টি গাড়ি ভাংচুর করেন এবং ১০ জন নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত জখম করেন।

“উল্টো আমাদের ১৩০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার বাদী মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল রাঢ়ি বলেন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও যুবলীগ কর্মীর ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন জানান, যুবলীগের নেতাকর্মীর উপর হামলা, দলীয় কার্যালয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল রাঢ়ি বাদী হয়ে ইসরাক হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৭০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

তিনি জানান, ঘটনার দিন ঘন-সমাবেশে যাওয়ার পথে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে বরগুনার বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম, পাথরঘাটা বিএনপি নেতা পলাশ হোসেন, ভোলার বিএনপি নেতা সফিউদ্দিনসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলার আসামি করে আদালতে সোপর্দ করে। তারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। ১০ আসামি আত্মগোপনে রয়েছেন।