এক সপ্তাহ আগে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে । লঘুচাপটি ২৯ নভেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরে এটি ১ থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে এবং ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এ পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এমন আভাস দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি ৩ থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূল থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকার উপকূলে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ যে পথে আঘাত হেনেছিল সেই পথে ধেয়ে আসার সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যবর্তী উপকূলীয় জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থল ভাগে ওঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ নামকরণ করেছে মিয়ানমার। ‘মিগজাউম’ তান্ডব চালাতে পারে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এটি হবে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়।