ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঘূর্ণিঝড় মোখা : ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজারের প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেন্টমার্টিনে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। দোকানপাট ও ঘরবাড়ি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত।

রোববার (১৪ মে) দুপুর ১টার পর থেকে তীব্র বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। একই সাথে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বহু গাছপালা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধি ও সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দুপুর ১টা থেকে তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে দ্বীপের বিভিন্ন অংশে গাছপালা ও বেশকিছু ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খোরশেদ আলম বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে থেকে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে, সাথে বৃষ্টিও বেড়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিও বেড়েছে।’

শনিবার সেন্টমার্টিনের যেসব বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছিলেন, তারা এখনো সেখানেই রয়েছেন বলে জানান খোরশেদ আলম।

আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সেন্টমার্টিনে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। তবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো আশঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনের মানুষ নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে টেকনাফ সদর, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া, উখিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার মাত্রা বেড়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।

কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে সাত মিলিমিটার এবং সেন্টমার্টিনে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার মানুষ এসেছে। এর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ঘূর্ণিঝড় মোখা : ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ

আপডেট সময় ০৬:২৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে কক্সবাজারের প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেন্টমার্টিনে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। দোকানপাট ও ঘরবাড়ি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত।

রোববার (১৪ মে) দুপুর ১টার পর থেকে তীব্র বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। একই সাথে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বহু গাছপালা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সেন্টমার্টিনের জনপ্রতিনিধি ও সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দুপুর ১টা থেকে তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে দ্বীপের বিভিন্ন অংশে গাছপালা ও বেশকিছু ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খোরশেদ আলম বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে হালকা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সকালে থেকে দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে, সাথে বৃষ্টিও বেড়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানিও বেড়েছে।’

শনিবার সেন্টমার্টিনের যেসব বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছিলেন, তারা এখনো সেখানেই রয়েছেন বলে জানান খোরশেদ আলম।

আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সেন্টমার্টিনে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। তবে জলোচ্ছ্বাসের কোনো আশঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনের মানুষ নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে টেকনাফ সদর, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া, উখিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার মাত্রা বেড়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সাগর উত্তাল রয়েছে।

কক্সবাজার আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে সাত মিলিমিটার এবং সেন্টমার্টিনে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার মানুষ এসেছে। এর বাইরেও বিভিন্ন স্থানে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে।