ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চকরিয়ায় ৩ পুলিশকে কুপিয়ে অস্ত্র ছিনতাই, ৬ ঘণ্টা পর অস্ত্রসহ ১৫ জন আটক

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:৩১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ১১২০ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আসামি ধরতে যাওয়া তিন পুলিশকে কুপিয়ে অস্ত্র (শর্টগান) ছিনতাই করেছে একদল সন্ত্রাসী। ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর ওই অস্ত্রটি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা গ্রামে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, হামলায় গুরুতর আহত পুলিশের তিন সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই শামীম আল হাসান, কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মামুন। তারা চকরিয়া থানার নিয়ন্ত্রণাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও অপারেশন অফিসার (এসআই) রাজিব সরকার।

ওসি জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম আল হাসানের নেতৃত্বে কনস্টেবল তরিকুল ও মামুন বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা এলাকায় আসামি ধরতে অভিযানে যান। পরে এই পুলিশ দল সড়কে তল্লাশি চালানোর সময় রাকিব নামের এক যুবককে তল্লাশি চালাতে চাইলে সে পালিয়ে নিকটবর্তী একটি বাড়িতে ঢুকে চিৎকার-চেচামেচি করে। এতে ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের চিৎকার শুনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশের কাছ থেকে একটি শর্টগান ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।

এ সময় এসআই শামীম, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুনকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে তারা। এতে এক পুলিশ সদস্যের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়। পরে থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে এসআই শামীমের অবস্থা আশংকাজনক বলে পুলিশ জানায়। তার মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, ছিনতাই হওয়া শর্টগান বুধবার সকাল ৬টায় মহছনিয়াকাটা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসআই শামীম ও দুই কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তবে মামলার স্বার্থে আটকদের নাম জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

চকরিয়ায় ৩ পুলিশকে কুপিয়ে অস্ত্র ছিনতাই, ৬ ঘণ্টা পর অস্ত্রসহ ১৫ জন আটক

আপডেট সময় ০৭:৩১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আসামি ধরতে যাওয়া তিন পুলিশকে কুপিয়ে অস্ত্র (শর্টগান) ছিনতাই করেছে একদল সন্ত্রাসী। ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর ওই অস্ত্রটি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা গ্রামে অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, হামলায় গুরুতর আহত পুলিশের তিন সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই শামীম আল হাসান, কনস্টেবল তরিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মামুন। তারা চকরিয়া থানার নিয়ন্ত্রণাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও অপারেশন অফিসার (এসআই) রাজিব সরকার।

ওসি জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম আল হাসানের নেতৃত্বে কনস্টেবল তরিকুল ও মামুন বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা এলাকায় আসামি ধরতে অভিযানে যান। পরে এই পুলিশ দল সড়কে তল্লাশি চালানোর সময় রাকিব নামের এক যুবককে তল্লাশি চালাতে চাইলে সে পালিয়ে নিকটবর্তী একটি বাড়িতে ঢুকে চিৎকার-চেচামেচি করে। এতে ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের চিৎকার শুনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় পুলিশের কাছ থেকে একটি শর্টগান ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।

এ সময় এসআই শামীম, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুনকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে তারা। এতে এক পুলিশ সদস্যের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়। পরে থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে এসআই শামীমের অবস্থা আশংকাজনক বলে পুলিশ জানায়। তার মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম জানান, ছিনতাই হওয়া শর্টগান বুধবার সকাল ৬টায় মহছনিয়াকাটা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসআই শামীম ও দুই কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তবে মামলার স্বার্থে আটকদের নাম জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।