চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খাঁন। গতকাল রবিবার রাজধানীর বেইলী রোডস্থ নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, এ বছর চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ৯ জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরি, ২৮ জুন তারিখে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, হজের ব্যয় কতটা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে; এর সঙ্গে সৌদি রিয়ালের মূল্যও বাড়ছে। সে হিসাবে কিছু বাড়তে পারে। আমরা (সরকার) চেষ্টা করব, যতটা সহনীয় পর্যায়ে খরচ নির্ধারণ করা যায়। এখনো বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভাড়ার বিষয় চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ হলে একটা ধারণা পাব কত টাকা ব্যয় হবে। কোন কোন পর্যায়ে কত ফি নেওয়া হবে। এ জন্য আগামী ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এর মধ্যে ব্যয় নির্ধারণ করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
হজের বিষয়ে গত ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক বীন ফাউজান আল-রাবিয়া এবং বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খাঁন।
চুক্তি অনুযায়ী, এ বছর করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে এ বছর বাংলাদেশের কোটার পূর্ণসংখ্যক হজযাত্রী হজে গমন করতে পারবেন অর্থাৎ সর্বমোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করবেন।
এ ছাড়া এবার বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব হজযাত্রীরা হজে যেতে পারবেন।
হজযাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবেন। ‘রোড টু মক্কা ইনভাইট’ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গমনকারী সব হজযাত্রীর প্রি অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে।