ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থী সমাবেশ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৯:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • ১১১৫ বার পড়া হয়েছে

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি, অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবিতে শিক্ষার্থী সমাবেশ করেছে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ।

শনিবার (১০ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রতিকী সার্টিফিকেট ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানায় বেকার চাকরিপ্রার্থীরা।

সমাবেশ থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে একটি উড়োচিঠি পাঠান। সমাবেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আমাদের আন্দোলনের ফলপ্রসূ রেজাল্ট আসছে না। সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো হলেও চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে সমন্বয় করে যদি সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গড় আয়ুর বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করে কেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হবে না। একটি রাষ্ট্রে কেন কয়েক ধরনের নিয়ম থাকবে। আমাদের সংবিধানও বলা হয়েছে সবার জন্য সমান অধিকার থাকবে। কিন্তু এখানে আমাদের সমান অধিকার কোথায়।

তারা বলেন, আমাদের দেশে যখন দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিংয়ের কথা বলা হয় তখন অনেকে বলেন আপনারা উন্নত বিশ্বের দিকে তাকান। কিন্তু যখন বয়স বৃদ্ধির কথা বলা হয় তখন তারা অন্ধ হয়ে যান। কাঠের চশমা পড়েন। আপনারা কাঠের চশমা পড়ে থাকবেন না। যুবসমাজ আপনাদের ওই কাঠের চশমা খুলে নিবে। আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিন। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী উর্মী সিদ্দিকা বলেন, আমাদের এ সময়ে পড়ার টেবিলে বসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা বাঁচার লড়াই করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন তার বয়স ছিল ৪৯ বছর বয়স। কিন্তু আমাদের এখনো ৪৯ বছর হয়নি। তিনি যদি এত বছর বয়স নিয়ে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে আমরা কী সামান্য চাকরির দায়িত্ব পালন করতে পারব না কেন? আমরা তো রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে আসিনি। কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি যদি ৭৩ বছর বয়সে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে পারেন তাহলে আমরা কেন দায়িত্ব পালন করতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২৪ বছরে একজন শিক্ষার্থী অনার্স শেষ করতে পারে। কিন্তু আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমি তো শেষ করতে পারিনি। আমরা সেশনজটের কারণে আমার ২৭ বছর লেগেছে। আবার করোনার কারণে দুই বছর নষ্ট হয়েছে। আমি কীভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিব।

মুক্তা সুলতানার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে একজনকে চাকরি দেয়া হলো আন্দোলন দমিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা দমে যাব না। আমরা অধিকার আদায়ে এখানে এসেছি। মুক্তা সুলতানা কোনো চাকরি চায়নি। আপনি একজন মুক্তা সুলতানার কথা শুনেছেন। আমাদের গল্পও শুনতে হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থী সমাবেশ

আপডেট সময় ০৯:২৯:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি, অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবিতে শিক্ষার্থী সমাবেশ করেছে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ।

শনিবার (১০ জুন) সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রতিকী সার্টিফিকেট ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানায় বেকার চাকরিপ্রার্থীরা।

সমাবেশ থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে একটি উড়োচিঠি পাঠান। সমাবেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আমাদের আন্দোলনের ফলপ্রসূ রেজাল্ট আসছে না। সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো হলেও চাকরিতে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে সমন্বয় করে যদি সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি করা হয় তাহলে গড় আয়ুর বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করে কেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হবে না। একটি রাষ্ট্রে কেন কয়েক ধরনের নিয়ম থাকবে। আমাদের সংবিধানও বলা হয়েছে সবার জন্য সমান অধিকার থাকবে। কিন্তু এখানে আমাদের সমান অধিকার কোথায়।

তারা বলেন, আমাদের দেশে যখন দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিংয়ের কথা বলা হয় তখন অনেকে বলেন আপনারা উন্নত বিশ্বের দিকে তাকান। কিন্তু যখন বয়স বৃদ্ধির কথা বলা হয় তখন তারা অন্ধ হয়ে যান। কাঠের চশমা পড়েন। আপনারা কাঠের চশমা পড়ে থাকবেন না। যুবসমাজ আপনাদের ওই কাঠের চশমা খুলে নিবে। আপনারা আমাদের দাবি মেনে নিন। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী উর্মী সিদ্দিকা বলেন, আমাদের এ সময়ে পড়ার টেবিলে বসার কথা ছিল। কিন্তু আমরা বাঁচার লড়াই করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন তার বয়স ছিল ৪৯ বছর বয়স। কিন্তু আমাদের এখনো ৪৯ বছর হয়নি। তিনি যদি এত বছর বয়স নিয়ে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তাহলে আমরা কী সামান্য চাকরির দায়িত্ব পালন করতে পারব না কেন? আমরা তো রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে আসিনি। কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি যদি ৭৩ বছর বয়সে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে পারেন তাহলে আমরা কেন দায়িত্ব পালন করতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২৪ বছরে একজন শিক্ষার্থী অনার্স শেষ করতে পারে। কিন্তু আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমি তো শেষ করতে পারিনি। আমরা সেশনজটের কারণে আমার ২৭ বছর লেগেছে। আবার করোনার কারণে দুই বছর নষ্ট হয়েছে। আমি কীভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিব।

মুক্তা সুলতানার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে একজনকে চাকরি দেয়া হলো আন্দোলন দমিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা দমে যাব না। আমরা অধিকার আদায়ে এখানে এসেছি। মুক্তা সুলতানা কোনো চাকরি চায়নি। আপনি একজন মুক্তা সুলতানার কথা শুনেছেন। আমাদের গল্পও শুনতে হবে।