আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে টানা বিকেল চারটা পর্যন্ত। সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। ভোট সুষ্ঠু করতে সব কটি কেন্দ্রেই স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। কয়েকটি বুথে ভোটার নেই। কেন্দ্রের পুরুষ ভোটারদের ১০টি বুথে মোট ভোটার তিন হাজার ১১২টি। এক ঘণ্টায় ভোট পরেছে ১৮০টি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক ঘণ্টায় চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের নারী ভোটারদের ৯ বুথে মোট দুই হাজার ৯৩৭ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৭০টি।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মাঈনুদ্দিন বলেছেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৯টি বুথ আছে। এতে ভোটার রয়েছেন দুই হাজার ৯৩৭ জন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এখানে যিনি এজেন্টের জন্য আবেদন করেছেন, তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন যদি কেউ না আসে তাহলে তো আমার কিছুই করার নেই।’
কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতা ও জটিলতা সৃষ্টি হয়নি বলেও জানান কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার।
গাজীপুর সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৩২ প্রার্থী। তাদের মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন-নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান,গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ।
মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।