ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চার শ্রেণিতে আগামী বছর নতুন শিক্ষাক্রমের বই

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • ১১২৪ বার পড়া হয়েছে

নতুন শিক্ষাক্রমে (কারিকুলাম) আগামী বছর চার শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোর পরিকল্পনা ছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)। চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় নতুন কারিকুলামের বই। ২০২৪ সালে দেওয়া হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। তবে এখনো সব বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে পারেনি এনসিটিবি। শেষ পর্যন্ত নবম শ্রেণিতে পুরনো বই দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খোদ এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

চলতি বছর শুরু হয় নতুন শিক্ষাক্রম। এবার বই বিতরণে সময় লাগে দুই-তিন মাস। এ ছাড়া পাঠ্যবইয়ের নানা ভুল নিয়ে চরম তোপের মুখে পড়ে এনসিটিবি। শেষমেশ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই প্রত্যাহার করে নেয় তারা। পরে এ দুটিসহ আরও কিছু বইয়ের সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এনসিটিবি।

আগামী বছরের পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যক্রম প্রসঙ্গে গতকাল এনসিটিবি চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক স্তরের এবং অক্টোবরের মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপানো এবং তা জেলা-উপজেলায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে।’

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিক স্তরের প্রথম, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানোর টেন্ডার ইতোমধ্যে হয়েছে। এখন চলছে মূল্যায়ন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার দেওয়া হবে। প্রাথমিক স্তরে নতুন কারিকুলামে আগামী বছর বই হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির। সঙ্গে থাকবে শিক্ষক গাইড। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী এই দুই শ্রেণির বইয়ের পা-ুলিপি লেখা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এবার প্রাথমিকের ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার এবং মাধ্যমিকে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার বই ছাপানো হয়। আগামী বছর কিছু কম-বেশি হতে পারে বলে জানিয়ে ধারণা করছে এনসিটিবি।

মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপানোর প্রস্তুতি প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, গতকাল ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার হয়েছে। ১৫ মে হবে সপ্তম শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার। আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামের বই দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির নতুন পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ চলছে। শেষ হওয়ার পর নবম শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ শুরু হবে। এতে করে এ বছর নবম শ্রেণির নতুন কারিকুলামের বই দেওয়া নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা জানান, মে ও জুনের মধ্যে বইয়ের পাণ্ডুলিপি শেষ না হলে এই বইয়ের টেন্ডার দিতে এবং কার্যাদেশ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে না। এর বিকল্প হিসেবে তারা মত দিয়েছেন, পুরনো কারিকুলামে নবম শ্রেণির বই আগামী বছর দেওয়া যেতে পারে।

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। সময় এখনো আছে। এনসিটিবি যে সিদ্ধান্ত নেবে, তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমেই সিদ্ধান্ত হবে।

প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি বই ছাপানো হয় অক্টোবর-নভেম্বরে। ওই সময় কাগজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মিল আর ছাপাখানার মালিকরা। বই ডিসেম্বরের মধ্যে বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছানোর বাধ্যবাধকতায় শেষ মুহূর্তে নিম্নমানের কাগজে বই সরবরাহ করে কতিপয় ছাপাখানা। এ ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে আগামী বছর কাগজ নিয়ে কোনো ধরনের সংকটের ধোয়া তুলতে না পারেন- সে ব্যবস্থা নিচ্ছে এনসিটিবি। দফায় দফায় কাগজ-মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করছে এনসিটিবি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২৫ সালে দেওয়া হবে পঞ্চম ও দশম শ্রেণি বই। উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন বই দেওয়ার মাধ্যমে পুরোপুরিভাবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

চার শ্রেণিতে আগামী বছর নতুন শিক্ষাক্রমের বই

আপডেট সময় ১১:৩৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

নতুন শিক্ষাক্রমে (কারিকুলাম) আগামী বছর চার শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপানোর পরিকল্পনা ছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)। চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় নতুন কারিকুলামের বই। ২০২৪ সালে দেওয়া হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। তবে এখনো সব বইয়ের পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে পারেনি এনসিটিবি। শেষ পর্যন্ত নবম শ্রেণিতে পুরনো বই দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খোদ এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

চলতি বছর শুরু হয় নতুন শিক্ষাক্রম। এবার বই বিতরণে সময় লাগে দুই-তিন মাস। এ ছাড়া পাঠ্যবইয়ের নানা ভুল নিয়ে চরম তোপের মুখে পড়ে এনসিটিবি। শেষমেশ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই প্রত্যাহার করে নেয় তারা। পরে এ দুটিসহ আরও কিছু বইয়ের সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এনসিটিবি।

আগামী বছরের পাঠ্যবই ছাপানোর কার্যক্রম প্রসঙ্গে গতকাল এনসিটিবি চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক স্তরের এবং অক্টোবরের মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপানো এবং তা জেলা-উপজেলায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে।’

এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিক স্তরের প্রথম, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানোর টেন্ডার ইতোমধ্যে হয়েছে। এখন চলছে মূল্যায়ন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার দেওয়া হবে। প্রাথমিক স্তরে নতুন কারিকুলামে আগামী বছর বই হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির। সঙ্গে থাকবে শিক্ষক গাইড। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী এই দুই শ্রেণির বইয়ের পা-ুলিপি লেখা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এবার প্রাথমিকের ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার এবং মাধ্যমিকে ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার বই ছাপানো হয়। আগামী বছর কিছু কম-বেশি হতে পারে বলে জানিয়ে ধারণা করছে এনসিটিবি।

মাধ্যমিক স্তরের বই ছাপানোর প্রস্তুতি প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানান, গতকাল ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার হয়েছে। ১৫ মে হবে সপ্তম শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার। আগামী বছর অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামের বই দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির নতুন পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ চলছে। শেষ হওয়ার পর নবম শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ শুরু হবে। এতে করে এ বছর নবম শ্রেণির নতুন কারিকুলামের বই দেওয়া নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা জানান, মে ও জুনের মধ্যে বইয়ের পাণ্ডুলিপি শেষ না হলে এই বইয়ের টেন্ডার দিতে এবং কার্যাদেশ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে না। এর বিকল্প হিসেবে তারা মত দিয়েছেন, পুরনো কারিকুলামে নবম শ্রেণির বই আগামী বছর দেওয়া যেতে পারে।

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। সময় এখনো আছে। এনসিটিবি যে সিদ্ধান্ত নেবে, তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমেই সিদ্ধান্ত হবে।

প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি বই ছাপানো হয় অক্টোবর-নভেম্বরে। ওই সময় কাগজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মিল আর ছাপাখানার মালিকরা। বই ডিসেম্বরের মধ্যে বই স্কুলে স্কুলে পৌঁছানোর বাধ্যবাধকতায় শেষ মুহূর্তে নিম্নমানের কাগজে বই সরবরাহ করে কতিপয় ছাপাখানা। এ ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে আগামী বছর কাগজ নিয়ে কোনো ধরনের সংকটের ধোয়া তুলতে না পারেন- সে ব্যবস্থা নিচ্ছে এনসিটিবি। দফায় দফায় কাগজ-মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করছে এনসিটিবি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২৫ সালে দেওয়া হবে পঞ্চম ও দশম শ্রেণি বই। উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন বই দেওয়ার মাধ্যমে পুরোপুরিভাবে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।