ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চুয়াডাঙ্গায় প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:৩২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১০৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার সন্ধা ৬টায় ৪১ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপপ্রবাহে জনসাধারণের সতর্ক ও সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করে মাইকিং করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে এ চলমান তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা একটু কাজ করেই ছায়া শীতল পরিবেশ বিশ্রাম নিচ্ছে।

জেলাতে আপাতত কোনো প্রকার বৃষ্টির সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। বর্তমানে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলাজুড়ে অনুভূত হচ্ছে মরুর উষ্ণতা।

টানা চার দিন চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করে ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছাল। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। গত মঙ্গল ও বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যথাক্রমে ৪০ দশমিক ছয় ও ৪০ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছরের ১৯ ও ২০ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অতি তীব্র দাবদাহ। কাছাকাছি সময়ে বৃষ্টি না হলে গত বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে।

প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা শিমুল আহমেদ বলেন, ‘আমরা মরুভূমিতে আছি। গত এক সপ্তাহ ধরে যে গরম পড়ছে, তাতে চলাফেরা ও কাজকর্ম করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

আলুকদিয়ার ভ্যানচালক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সকাল ৬টায় বের হয়েছি। বেলা ১১টা পর্যন্ত একটু ভাড়া হয়েছে। এরপর গরম বেশি হওয়ায় আর ভাড়া পাচ্ছি না। তাই গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছি। ভাড়া হচ্ছে না কী করব, সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে।’

কুলচারা গ্রামের কৃষক লিটন বলেন, ‘এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি।’

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধান চাষে বেশি খরচ হবে বলে জানালেন তিনি। কারণ, এখন ধান পাকার সময়। জমিতে পানি দেয়ার পরপরই শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে পানি না থাকলে ধান ঝরে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তাই জমিতে বেশি বেশি করে পানি দিতে হচ্ছে।

এদিকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান দাবদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগেই গরমে ছুটির দাবি করেছেন কেউ কেউ। দাবদাহের ব্যাপারে ইতোমধ্যে অধিদফতরে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় চলমান দাবদাহের বিষয়টি অধিদফতরকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র : বাসস

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

চুয়াডাঙ্গায় প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা

আপডেট সময় ১২:৩২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার সন্ধা ৬টায় ৪১ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপপ্রবাহে জনসাধারণের সতর্ক ও সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করে মাইকিং করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে এ চলমান তাপপ্রবাহে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা একটু কাজ করেই ছায়া শীতল পরিবেশ বিশ্রাম নিচ্ছে।

জেলাতে আপাতত কোনো প্রকার বৃষ্টির সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। বর্তমানে এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলাজুড়ে অনুভূত হচ্ছে মরুর উষ্ণতা।

টানা চার দিন চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করে ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছাল। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। গত মঙ্গল ও বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যথাক্রমে ৪০ দশমিক ছয় ও ৪০ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছরের ১৯ ও ২০ এপ্রিল মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা অতি তীব্র দাবদাহ। কাছাকাছি সময়ে বৃষ্টি না হলে গত বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে যেতে পারে।

প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। চুয়াডাঙ্গা পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা শিমুল আহমেদ বলেন, ‘আমরা মরুভূমিতে আছি। গত এক সপ্তাহ ধরে যে গরম পড়ছে, তাতে চলাফেরা ও কাজকর্ম করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

আলুকদিয়ার ভ্যানচালক লুৎফর রহমান বলেন, ‘সকাল ৬টায় বের হয়েছি। বেলা ১১টা পর্যন্ত একটু ভাড়া হয়েছে। এরপর গরম বেশি হওয়ায় আর ভাড়া পাচ্ছি না। তাই গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছি। ভাড়া হচ্ছে না কী করব, সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছে।’

কুলচারা গ্রামের কৃষক লিটন বলেন, ‘এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি।’

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধান চাষে বেশি খরচ হবে বলে জানালেন তিনি। কারণ, এখন ধান পাকার সময়। জমিতে পানি দেয়ার পরপরই শুকিয়ে যাচ্ছে। জমিতে পানি না থাকলে ধান ঝরে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তাই জমিতে বেশি বেশি করে পানি দিতে হচ্ছে।

এদিকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান দাবদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটির আগেই গরমে ছুটির দাবি করেছেন কেউ কেউ। দাবদাহের ব্যাপারে ইতোমধ্যে অধিদফতরে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় চলমান দাবদাহের বিষয়টি অধিদফতরকে জানানো হয়েছে। তবে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র : বাসস