ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:২১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১০৫ বার পড়া হয়েছে

গত ১৪ দি‌ন ধ‌রে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অব্যহত র‌য়ে‌ছে তীব্র থে‌কে অতি তীব্র তাপমাত্রা। এখানে বাতাসে বইছে আগুনের হল্কা। অতি তীব্র তাপদা‌হে গ‌লে যা‌চ্ছে সড়‌কের পিচ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার স‌র্বোচ্চ তাপমাত্র ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস ‌রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছে। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।

দি‌নের আলো ফোটার সাথে বেলা যত বাড়‌তে থা‌কে সূ‌র্যের চোখ রাঙ্গা‌নিও ত‌তো বাড়‌তে থা‌কে। পা‌নির স্থর নি‌চে নে‌মে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা অধিকাংশ গ্রা‌মে টিউবও‌য়ে‌লে পা‌নি উঠ‌ছে না। আবার পা‌নি দি‌য়েও রক্ষা করা যা‌চ্ছে না মা‌ঠের সব‌জি আবাদ। শু‌কি‌য়ে যা‌চ্ছে সড়কের ধা‌রের নিমসহ বি‌ভিন্ন ফলজ ও বোনজ গাছসহ গা‌ছের পাতা।

চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে এই জেলায়। একটানা ১৪ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও চিকিৎসক রয়েছে ১০০ শয্যার হাসপাতালের অর্ধেক। সামান্য এই জনবল নি‌য়ে চিকিৎসা দিতে হিম‌শিম খা‌চ্ছেন ডাক্তাররা। গরমজ‌নিত রো‌গে আক্রান্ত হ‌য়ে প্রতি‌দিনই ভর্তি হচ্ছেন শতা‌ধিক রোগী। শয্যা সঙ্কুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া আউট‌ডো‌রে শত শত গরমজ‌নিত রো‌গে আক্রান্ত মানুষ চি‌কিৎসা নি‌য়ে বা‌ড়ি ফির‌ছেন। আর এ রো‌গে আক্রা‌ন্তের বেশীর রোগীই শিশু ও বৃদ্ধ।

তীব্র রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জেলায় হিট এলার্ট জারি আছে। এরমধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪০ থে‌কে ৪২ দশ‌মিক ৪ ডিগ্রি‌তে উঠা নামা কর‌ছে। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে হিট এলার্ট মে‌নে চল‌তে। যেহেতু হিট স্ট্রোক হচ্ছে। সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একইসাথে সবার যে অবলম্বন বিশেষ করে কৃষি, গবাদি পশু-পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে এ মুহূর্তে।

তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে যে তথ্য ও নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ

আপডেট সময় ০৭:২১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

গত ১৪ দি‌ন ধ‌রে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অব্যহত র‌য়ে‌ছে তীব্র থে‌কে অতি তীব্র তাপমাত্রা। এখানে বাতাসে বইছে আগুনের হল্কা। অতি তীব্র তাপদা‌হে গ‌লে যা‌চ্ছে সড়‌কের পিচ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গার স‌র্বোচ্চ তাপমাত্র ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস ‌রেকর্ড করা হ‌য়ে‌ছে। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।

দি‌নের আলো ফোটার সাথে বেলা যত বাড়‌তে থা‌কে সূ‌র্যের চোখ রাঙ্গা‌নিও ত‌তো বাড়‌তে থা‌কে। পা‌নির স্থর নি‌চে নে‌মে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা অধিকাংশ গ্রা‌মে টিউবও‌য়ে‌লে পা‌নি উঠ‌ছে না। আবার পা‌নি দি‌য়েও রক্ষা করা যা‌চ্ছে না মা‌ঠের সব‌জি আবাদ। শু‌কি‌য়ে যা‌চ্ছে সড়কের ধা‌রের নিমসহ বি‌ভিন্ন ফলজ ও বোনজ গাছসহ গা‌ছের পাতা।

চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে এই জেলায়। একটানা ১৪ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও চিকিৎসক রয়েছে ১০০ শয্যার হাসপাতালের অর্ধেক। সামান্য এই জনবল নি‌য়ে চিকিৎসা দিতে হিম‌শিম খা‌চ্ছেন ডাক্তাররা। গরমজ‌নিত রো‌গে আক্রান্ত হ‌য়ে প্রতি‌দিনই ভর্তি হচ্ছেন শতা‌ধিক রোগী। শয্যা সঙ্কুলান না হওয়ায় রোগীরা হাসপাতালের বারান্দা ও করিডোরে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া আউট‌ডো‌রে শত শত গরমজ‌নিত রো‌গে আক্রান্ত মানুষ চি‌কিৎসা নি‌য়ে বা‌ড়ি ফির‌ছেন। আর এ রো‌গে আক্রা‌ন্তের বেশীর রোগীই শিশু ও বৃদ্ধ।

তীব্র রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময় পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতা‌সের আদ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, গত ১৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। জেলায় হিট এলার্ট জারি আছে। এরমধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪০ থে‌কে ৪২ দশ‌মিক ৪ ডিগ্রি‌তে উঠা নামা কর‌ছে। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে হিট এলার্ট মে‌নে চল‌তে। যেহেতু হিট স্ট্রোক হচ্ছে। সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একইসাথে সবার যে অবলম্বন বিশেষ করে কৃষি, গবাদি পশু-পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে এ মুহূর্তে।

তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর থেকে যে তথ্য ও নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে।