রাতের আঁধারে একটি পিকআপ ট্রাক নিয়ে বের হয় তারা। ভোর পর্যন্ত ঘুরে বেড়ায় রাজধানীর অলিগলি। টার্গেট করা দোকানের সামনে গিয়ে তারা এমনভাবে পিকআপ ট্রাকটি দাঁড় করান, যাতে দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় থাকে না কি হচ্ছে। দোকানের তালা খুলে তারা মূলত চুরি করেন। ৫০০ ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিনব চোর চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, রাজধানীসহ আশপাশের এলাকার অর্ধশত দোকানে চুরি করেছেন তারা।
গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত তিনটা ২০ মিনিটে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার একটি গলিতে একটি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় পিকআপটি। চালক প্রথমে পিকআপ থেকে নামে। পেছন থেকে নামে আরও দুজন। কিছুক্ষণ পর আরেকজন। এদের মধ্য দুজন দুই গলিতে গিয়ে অবস্থান নেয়। আর একজন সাটারে লাগানো তালা খুলতে থাকে।
মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই দোকানে ঢুকে নগদ টাকা নিয়ে সাটার নামিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
একই এলাকার আরেকটি দোকানের সামনে পিকআপটি দেখা যায় রাত চারটা ৫১ মিনিটে। একইভাবে পিকআপে থাকা লোকজন দ্রুত নেমে তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে দোকানটিতে। এই দোকানেও একই কাণ্ড। ক্যাশে থাকা টাকাই তাদের মূল টার্গেট। সময় নেয় মাত্র ৫ মিনিট।
এমন প্রায় ৫০০ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দা পুলিশ শনাক্ত করেছে চক্রটিকে। যারা রাতের আধারে পিকআপ নিয়ে ঘুরে ঘুরে চুরি করতো। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, চক্রের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় থাকে। তারা রাতের আঁধারে রাজধানীতে চুরি করে আবার নারায়ণগঞ্জে গিয়ে আত্মগোপন করত। চুরি করা মালামাল রাখার জন্য নারায়ণগঞ্জে তারা গোডাউনও ভাড়া করেছিল। চুরি করার জন্য কিস্তিতে পিকআপ কিনেছিল তারা।