ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ছয় বছরে ট্রাম্প ট্যাক্স দেন ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ডলার

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১৩৭৪ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছয় বছরের ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করেছে মার্কিন কংগ্রেশনাল কমিটি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শুক্রবার এই নথি প্রকাশ করা হয়। এই ৬ বছরে ট্রাম্প ১৭ লাখ

৬৬ হাজার ১২৬ ডলার ট্যাক্স দিয়েছেন। রয়টার্স ও গার্ডিয়ান।

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের সম্পাদিত ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন ট্রাম্প। তবে এর আগে থেকে অর্থাৎ ২০১৫ সাল থেকে ট্রাম্প ট্যাক্স রিটার্ন জনসম্মুখে আনেনি। এই প্রথা তিনি ধরে রাখেন ২০২০ সাল পর্যন্ত।

চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের একটি কমিটি ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়। যেখানে দেখা যায়, ২০২০ সালে ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলেনিয়া ফেডারেল আয়কর দেননি। তবে সেই বছরের পুরোটাই হোয়াইট হাউজে ছিলেন তারা। ২০১৫ সালে এই দম্পতি ফেডারেল আয়ের বিপরীতে ট্যাক্স দিয়েছেন ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৩১ ডলার। সেই বছরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার জন্য প্রচারণা শুরু করেন ট্রাম্প। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মাত্র ৭৫০ ডলার ট্যাক্স জমা দেন তারা। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে প্রায় ১০ লাখ ডলার ট্যাক্স দিয়েছিল এই দম্পতি। আর ১৯ সালে দিয়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৫ ডলার।

প্রকাশিত ট্যাক্স রিটার্ন অনুযায়ী, ২০১৫-১৭ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল ব্রিটেন, চীন ও আয়ারল্যান্ডে। ব্রিটেনের ব্যাংকে ট্রাম্পের আরও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে ২০১৮ সালে আরও একটি প্রতিবেদন পায়।

২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট ডিবেটে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চীনে তার অ্যাকাউন্ট ২০১৫ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে ট্যাক্স রিটার্নের নথিগুলো গোপন করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। অবশেষে শুক্রবার ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্নের নথি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চাওয়া এই রিপাবলিকান নেতা বড় ধরনের ধাক্কা খেলেন।

রিপাবলিকান পার্টির সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইন প্রণেতাদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর গত মাসে দেশটির সুপ্রিমকোর্টের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হয়।

ট্রাম্পের ট্যাক্স প্রকাশ নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের ওয়েস অ্যান্ড মিনস কমিটি ২০১৯ সাল থেকে ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্নের রেকর্ডগুলো দেখার অনুমতি চাইছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ট্যাক্স নথি প্রকাশের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে দশকের পর দশক ধরে প্রেসিডেন্টরা স্বেচ্ছায়ই তাদের কর নথি প্রকাশ করে আসছেন।

ট্যাক্স রিটার্নের নথি প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প শিবির হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভেদ আরও বাড়বে। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের কখনও এটি করা উচিত ছিল না। সুপ্রিমকোর্টের এটি কখনওই অনুমোদন করা উচিত ছিল না। এটি বহু মানুষের জন্য ভয়াবহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

এ ঘটনা ৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্পের জন্য সর্বশেষ ধাক্কা হিসাবে দেখা হচ্ছে। যিনি ডেমোক্র্যাটিক নেতৃত্বাধীন হাউজের মাধ্যমে দুবার অভিশংসিত হয়েছিলেন এবং প্রতিবারই মার্কিন সিনেটের মাধ্যমে রক্ষা পেয়েছেন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে হাউজ কমিটি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ইউএস ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার বিষয়ে তদন্ত করে। ভয়াবহ ওই দাঙ্গায় তার ভূমিকা এবং অবরোধ ও বিদ্রোহসহ ৪টি অপরাধে অভিযুক্ত করতে বলা হয় ফেডারেল প্রসিকিউটরকে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

ছয় বছরে ট্রাম্প ট্যাক্স দেন ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ডলার

আপডেট সময় ১২:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছয় বছরের ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করেছে মার্কিন কংগ্রেশনাল কমিটি। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর শুক্রবার এই নথি প্রকাশ করা হয়। এই ৬ বছরে ট্রাম্প ১৭ লাখ

৬৬ হাজার ১২৬ ডলার ট্যাক্স দিয়েছেন। রয়টার্স ও গার্ডিয়ান।

২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের সম্পাদিত ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন ট্রাম্প। তবে এর আগে থেকে অর্থাৎ ২০১৫ সাল থেকে ট্রাম্প ট্যাক্স রিটার্ন জনসম্মুখে আনেনি। এই প্রথা তিনি ধরে রাখেন ২০২০ সাল পর্যন্ত।

চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের একটি কমিটি ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়। যেখানে দেখা যায়, ২০২০ সালে ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলেনিয়া ফেডারেল আয়কর দেননি। তবে সেই বছরের পুরোটাই হোয়াইট হাউজে ছিলেন তারা। ২০১৫ সালে এই দম্পতি ফেডারেল আয়ের বিপরীতে ট্যাক্স দিয়েছেন ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৩১ ডলার। সেই বছরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার জন্য প্রচারণা শুরু করেন ট্রাম্প। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মাত্র ৭৫০ ডলার ট্যাক্স জমা দেন তারা। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে প্রায় ১০ লাখ ডলার ট্যাক্স দিয়েছিল এই দম্পতি। আর ১৯ সালে দিয়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৪৫ ডলার।

প্রকাশিত ট্যাক্স রিটার্ন অনুযায়ী, ২০১৫-১৭ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল ব্রিটেন, চীন ও আয়ারল্যান্ডে। ব্রিটেনের ব্যাংকে ট্রাম্পের আরও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে ২০১৮ সালে আরও একটি প্রতিবেদন পায়।

২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট ডিবেটে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, চীনে তার অ্যাকাউন্ট ২০১৫ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে ট্যাক্স রিটার্নের নথিগুলো গোপন করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। অবশেষে শুক্রবার ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্নের নথি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চাওয়া এই রিপাবলিকান নেতা বড় ধরনের ধাক্কা খেলেন।

রিপাবলিকান পার্টির সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইন প্রণেতাদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর গত মাসে দেশটির সুপ্রিমকোর্টের মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হয়।

ট্রাম্পের ট্যাক্স প্রকাশ নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের ওয়েস অ্যান্ড মিনস কমিটি ২০১৯ সাল থেকে ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্নের রেকর্ডগুলো দেখার অনুমতি চাইছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ট্যাক্স নথি প্রকাশের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে দশকের পর দশক ধরে প্রেসিডেন্টরা স্বেচ্ছায়ই তাদের কর নথি প্রকাশ করে আসছেন।

ট্যাক্স রিটার্নের নথি প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প শিবির হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভেদ আরও বাড়বে। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের কখনও এটি করা উচিত ছিল না। সুপ্রিমকোর্টের এটি কখনওই অনুমোদন করা উচিত ছিল না। এটি বহু মানুষের জন্য ভয়াবহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।

এ ঘটনা ৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্পের জন্য সর্বশেষ ধাক্কা হিসাবে দেখা হচ্ছে। যিনি ডেমোক্র্যাটিক নেতৃত্বাধীন হাউজের মাধ্যমে দুবার অভিশংসিত হয়েছিলেন এবং প্রতিবারই মার্কিন সিনেটের মাধ্যমে রক্ষা পেয়েছেন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে হাউজ কমিটি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ইউএস ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার বিষয়ে তদন্ত করে। ভয়াবহ ওই দাঙ্গায় তার ভূমিকা এবং অবরোধ ও বিদ্রোহসহ ৪টি অপরাধে অভিযুক্ত করতে বলা হয় ফেডারেল প্রসিকিউটরকে।