ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১২:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৮৭ বার পড়া হয়েছে

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যাওয়া আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিন পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে জামিনের এই আদেশ দেন।

মামলাটিতে সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক এ চেয়ারম্যান গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি বিচারিক আদালত ঢাকার দ্বিতীয় অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বর্তমান বিচারক মাহবুবুল হক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর রায়ের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা আপিল করেন এবং একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

একই মামলায় দণ্ডিত সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার দণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই তাদের কারাগারে যেতে হয়নি। তবে মাহমুদুর রহমান সাজা স্থগিতের কোনো আবেদন না করেই আদালতে আত্মসমর্পণ করায় তাকে কারাগারে যেতে হয়।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন দ্বিতীয় অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর ৫ আসামির সাত বছরে করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেন মাহমুদুর রহমান। এক সময় তিনি বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিএনপি সরকারে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকতায় নিজেকে যুক্ত করেন। দেশের জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকায় লেখনির কারণে মাহমুদুর রহমানকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান

আপডেট সময় ১২:১৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যাওয়া আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিন পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে জামিনের এই আদেশ দেন।

মামলাটিতে সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিনিয়োগ বোর্ডের সাবেক এ চেয়ারম্যান গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি বিচারিক আদালত ঢাকার দ্বিতীয় অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বর্তমান বিচারক মাহবুবুল হক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর রায়ের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা আপিল করেন এবং একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

একই মামলায় দণ্ডিত সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার দণ্ড এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাই তাদের কারাগারে যেতে হয়নি। তবে মাহমুদুর রহমান সাজা স্থগিতের কোনো আবেদন না করেই আদালতে আত্মসমর্পণ করায় তাকে কারাগারে যেতে হয়।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন দ্বিতীয় অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর ৫ আসামির সাত বছরে করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেন মাহমুদুর রহমান। এক সময় তিনি বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় বিএনপি সরকারে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকতায় নিজেকে যুক্ত করেন। দেশের জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমার দেশ পত্রিকায় লেখনির কারণে মাহমুদুর রহমানকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্মম নির্যাতন করা হয়। এরপর তিনি বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়েন।