জার্মানিতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো অনেকে। জোলিংয়েন নগরীতে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর পরিচয় কিংবা কেন হামলা হয়েছে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ আচমকাই সেখানে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আসরে চলে এসে এই হামলা চালাতে থাকে। শহরের মার্কেট স্কোয়ারে যখন এই উৎসবের অংশ হিসেবে ‘লাইভ’-এ ব্যান্ডের অনুষ্ঠান চলছিল, তখনই এই হামলা হয়েছে।
জোলিংয়েনের মেয়র ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘আমার প্রার্থনা রয়েছে তাদের সঙ্গে, যারা এখনো জীবন মরণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।’ পাশাপাশি তিনি ‘আমার হৃদয় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যে আমাদের শহরে একটি হামলা হয়েছে। যাদের হারিয়েছি তাদের কথা ভাবলে আমার চোখে পানি আসে।’
উল্লেখ্য, জার্মানির বুকে এমন ধরনের হামলা সেভাবে এর আগে সচরাচর দেখা যায়নি। ফলে প্রশ্ন থাকছে, এই হামলার নেপথ্যে কে?
এদিকে, জানা যাচ্ছে, জোলিংয়েন শহরের ৬৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতেই শুক্রবার রাতে সেখানে সমবেত হন মানুষ। শুক্রবার রাতের উৎসবের আসরে যখন সকলে মত্ত, তখনই রাত ১০টা নাগাদ এই হামলা
উল্লেখ্য, জোলিংয়েন মূলত, নেদারল্যাল্ডসের সীমান্তে অবস্থিত জার্মানির একটি অংশ। এখানে মানুষের বসবাস সংখ্যা নেহাত কম নয়।
উল্লেখ্য, ছুরি বহন করা নিয়ে জার্মানির সরকার কঠোর নিয়মের পথে নানা পরিকল্পনা করে চলেছে। তারই মাঝে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে জার্মানিতে। জুন মাসে, দক্ষিণপন্থী বিক্ষোভে হামলার সময় জার্মানির ম্যানহেইমে ছুরিকাঘাতের পর একজন ২৯ বছর বয়সী পুলিশ কর্মী মারা যান।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস