জাল দলিল দাখিল করে আদালতে সিভিল মামলা দায়ের করায় বাদীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেছেন বরিশালের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শিবলী নোমান খান। গত ২৯ মার্চ দায়েরকৃত মামলায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার পোড়াচিনি এলাকার মৃত্যু জয়নাল আবেদিনের ছেলে খলিল আকন্দ ও মজিবর আকন্দকে অভিযুক্ত করা হয়।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল ফয়সাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালত সূত্র জানায়, বরিশাল যুগ্ম জেলা জজ ৩য় আদালতে দেওয়ানী ০২/২০২২নং মোকদ্দমাটি অভিযুক্তদ্বয় বাদী হিসাবে বিগত ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারী দায়ের করেন।
উক্ত মোকদ্দমায় তাহাদের পূর্ববর্তী জয়নাল আবেদীন ২০/০৮/১৯৬১ সনের ১৩২৬ নং সাফ কবলা দলিল মূলে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৫নং পোড়াচিনি মৌজার ৫১নং খতিয়ানের ২০০/২০৮/২১২/২৪২/২৪৪/২৬৫/২৮৯/২৯০/২৯১/৩৩৮/ ৩৫৩ নং দাগের ২.৭১ একর ভূমি মিঃ এইচ.সি.জে ডি সিলভা ও মেরী এস ইডি সিলভার নিকট থেকে ক্রয় করে ৫/১০/২০৪২ তারিখ মৌখিক দান সূত্রে মালিকানা স্বত্বের দাবিতে মোকদ্দমাটি দায়ের করেন।
অতঃপর ১-২/৪নং বিবাদীগণের সাথে যোগাযোগী মতে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট তারিখে একখানা ছোলেনামা দাখিল করিয়া আদালতে ডিক্রী পাইবার দাবিতে আবেদন করে জবানবন্দী দেন। গৃহীত জবানবন্দী ও দাখিলী কাগজপত্র পর্যালোচনায় ১৯৬১ সনের ৯৩২৬ নং দলিলের সইমোহরী নকল জাল জালিয়াতীর মাধ্যমে সৃজিত বলিয়া সন্দেহ হইলে বাদীগণকে উক্ত দলিলের সদ্য তোলা সইমোহরী নকল দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হলে বাদীগণ উহা দাখিল করিতে না পারিয়া একখানা তল্লাশ স্লিপ দাখিল করেন।
আদালত পরবর্তীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ১৯৬১ সনের ৯৩২৬নং দালিলে ৯৪ নং ভলিউম, ইনডেক্স তলবমতে পর্যালোচনা করা হয় এবং সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড কিপার বিধান চন্দ্র সুতার এর জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণীত হয় যে, দাখিলী ১৯৬১ সনের ৯৩২৬নং দলিলটি অস্তিত্ববিহীন এবং
দাখিলী সইমোহরী নকলটি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করিয়া আদালতে সঠিক দলিল হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ প্রমাণীত হওয়ায় তাহাদের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করা হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আল ফয়সাল মামলা আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বলে জানায় আদালতের বেঞ্চ সহকারী চারচিল।