ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জিলকদ মাসের মাহাত্ম্য ও করণীয়

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • ১০৯৯ বার পড়া হয়েছে

হিজরি সালের ১১তম মাস জিলকদ। ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন কারণে এ মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী সা: জীবনে যে কয়টি ওমরাহ করেছেন তার সব ক’টি করেছেন এ জিলকদ মাসে। এ মাসেই সংঘটিত হয়েছিল হুদায়বিয়ার সন্ধি ও বাইয়াতে রিদওয়ান। রমজান-পরবর্তী ঈদের মাস শাওয়াল ও হজের মাস জিলহজের আগের মাস হওয়ায় জিলকদ মাসটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। জিলকদ মাসটির প্রকৃত নাম হলো জুল-কাআদাহ। আর এর অর্থ হলো- বসা বা স্থিত হওয়া এবং বিশ্রাম নেয়া। রজব থেকে শাওয়াল মাস পর্যন্ত চারটি মাস মুমিন মুসলমান ধারাবাহিক ইবাদতে ব্যস্ত সময় পার করে।

ইবাদতের প্রস্তুতিমূলক বিশ্রাম : জিলকদ মাসের আগের চার মাস (রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল) ধারাবাহিক নির্ধারিত ইবাদতে ব্যস্ততম মাস। যেমন- রজব হলো আল্লাহর মাস, ইবাদতের ভূমি কর্ষণের মাস, বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাস। শাবান হলো রাসূলল্লাহ সা:-এর মাস, ইবাদতের বীজ বপনের মাস; নিসফ শাবান বা শবেবরাত এবং সর্বাধিক নফল রোজা ও নফল ইবাদতের মাস। রমজান হলো উম্মতের মাস, ফসল তোলার মাস, ফরজ রোজা, তারাবির নামাজ, কিয়ামুল্লাইল; কুরআন নাজিলের মাস এবং ইবাদত ও তিলাওয়াতে মশগুল থাকার মাস।

শাওয়াল মাস হলো ঈদুল ফিতর, সাদকাতুল ফিতর ও নির্ধারিত সুন্নত ছয় রোজার মাস। অনুরূপ জিলকদ মাসের পরের দুই মাস জিলহজ মাস ও মহররম মাস ইবাদতে ব্যস্ততর মাস। যেমন- জিলহজ মাস হজ, ঈদুল আজহা ও কোরবানির মাস; মহররম মাস আশুরার মাস। অর্থাৎ জিলকদ মাসের আগের চার মাস যেমন ইবাদতে ব্যস্ততায় মশগুল থাকতে হয়, তেমনি জিলকদ মাসের পরের দুই মাসও ইবাদতে আকুল থাকতে হবে। মাঝের একটি মাস জিলকদ, যেহেতু মুমিন সামান্য বিশ্রামের ফুরসত পেয়ে থাকেন, তাই এ মাসের নাম জুলকাআদাহ (জিলকদ) বা বিশ্রামের মাস।

জিলকদ মাসের সময় সঠিকভাবে ব্যয় করা : সময় হলো মানবজীবনের মূলধন। এই মহামূল্যবান সম্পদ হেলায় নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘শপথ! সময়ের, নিশ্চয় সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; তবে তারা নয়, যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে, সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উৎসাহ প্রদান করে।’ (সূরা আসর, আয়াত : ১-৩) হাদিস শরিফে আছে- ‘তোমরা পাঁচটি জিনিসের আগে পাঁচটি জিনিসকে গুরুত্ব দাও; ব্যস্ততার আগে অবসরকে, অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে, দারিদ্র্যের আগে প্রাচুর্যকে, বার্ধক্যের আগে যৌবনকে, মৃত্যুর আগে জীবনকে।’ (মুসলিম ও তিরমিজি শরিফ) অর্থাৎ ‘অবসরকে কাজে লাগাও (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) ব্যস্ততা আসার আগে, সুস্থতাকে কাজে লাগাও (আল্লাহর হুকুম পালনের মাধ্যমে) অসুস্থ হওয়ার আগে, প্রাচুর্যকে কাজে লাগাও (দান করার মাধ্যমে) দারিদ্র্য আসার আগে, যৌবনকে কাজে লাগাও (বেশি বেশি নেক আমলের মাধ্যমে) বার্ধক্য আসার আগে, জীবনকে কাজে লাগাও (পরোপকারের মাধ্যমে) মৃত্যু আসার আগে।’ (সুনানে তিরমিজি)

হাদিস শরিফে আছে- ‘কিয়ামতের দিনে হাশরের ময়দানে কোনো আদম সন্তান পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এক কদমও নড়তে পারবে না। সে প্রশ্ন পাঁচটি হলো- জীবন কী কাজে শেষ করেছে, যৌবন কী কাজে লাগিয়েছে; কোন পথে আয় করেছে, কোন পথে ব্যয় করেছে এবং নিজের জ্ঞানমতো আমল করেছে কি না।’ (তিরমিজি-২/৬৭, আরবাঈন, নববি-১৯, ২০ ও ২১) হাদিস শরিফে আরো আছে- ‘প্রজ্ঞা মুমিনের হারানো সম্পদ’। (তিরমিজি-৫/৫১, ইবনে মাজাহ-২/১৩৯৫) সময় বা আয়ু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দেয়া শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। রোজ কিয়ামতে কঠিন হাশরের ময়দানে আল্লাহর আদালতে বিচারের সময় প্রতিটি নিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কুরআন কারিমে বলেন- ‘অতঃপর সে দিন তোমাদের প্রতিটি নিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।’ (সূরা তাকাসুর, আয়াত-৭)

জিলকদ মাসের স্মরণীয় ঘটনা
* এটি যেকোনো যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধের মাস।
* ১ জিলকদ : হুদায়বিয়ার সন্ধি সংঘটিত হয়।
* এ মাসেই বাইয়াতে রেদওয়ান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
* ৮ জিলকদ : মুসলমানদের জন্য জীবনে একবার হজ পালনকে ফরজ করা হয়েছে।
* ২৫ জিলকদ : হজরত ইবরাহিম আ: ও হজরত ঈসা আ:-এর জন্ম।
* ২৫ জিলকদ : পবিত্র কাবা শরিফ; পৃথিবীতে প্রথম ভিত্তি স্থাপিত হয় বলে জানা যায়।
* সপ্তম হিজরির জিলকদ মাসে প্রিয়নবী সা: প্রথম ওমরাহ পালন করেন।
* এ মাসেই প্রিয় নবী সা: তাঁর জীবনের সব ওমরাহ পালন করেন।

জিলকদ মাসের আমল : প্রতি মাসের মতো এই জিলকদ মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নফল রোজা পালন করা। চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজে বাবা আদম আ:-এর সুন্নত রোজা রাখা। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববীর রোজা পালন করা। প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা। সালাতুত তাসবিহ এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত বা দুহা, জাওয়াল ও আউওয়াবিন) পড়া। বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। দান-খয়রাত বেশি বেশি করা। জিলহজ মাসের ৯টি সুন্নত রোজা ও মহররম মাসের ১০টি রোজার প্রস্তুতি হিসেবে এই মাসে কিছু হলেও নফল রোজা রাখা আর যাদের সামর্থ্য ও সুযোগ রয়েছে, অর্থাৎ যাদের ওপর হজ ফরজ তাদের হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

লেখক :

  • ডা: মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

কলাম লেখক ও গবেষক

 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জিলকদ মাসের মাহাত্ম্য ও করণীয়

আপডেট সময় ১১:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

হিজরি সালের ১১তম মাস জিলকদ। ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন কারণে এ মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় নবী সা: জীবনে যে কয়টি ওমরাহ করেছেন তার সব ক’টি করেছেন এ জিলকদ মাসে। এ মাসেই সংঘটিত হয়েছিল হুদায়বিয়ার সন্ধি ও বাইয়াতে রিদওয়ান। রমজান-পরবর্তী ঈদের মাস শাওয়াল ও হজের মাস জিলহজের আগের মাস হওয়ায় জিলকদ মাসটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। জিলকদ মাসটির প্রকৃত নাম হলো জুল-কাআদাহ। আর এর অর্থ হলো- বসা বা স্থিত হওয়া এবং বিশ্রাম নেয়া। রজব থেকে শাওয়াল মাস পর্যন্ত চারটি মাস মুমিন মুসলমান ধারাবাহিক ইবাদতে ব্যস্ত সময় পার করে।

ইবাদতের প্রস্তুতিমূলক বিশ্রাম : জিলকদ মাসের আগের চার মাস (রজব, শাবান, রমজান, শাওয়াল) ধারাবাহিক নির্ধারিত ইবাদতে ব্যস্ততম মাস। যেমন- রজব হলো আল্লাহর মাস, ইবাদতের ভূমি কর্ষণের মাস, বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাস। শাবান হলো রাসূলল্লাহ সা:-এর মাস, ইবাদতের বীজ বপনের মাস; নিসফ শাবান বা শবেবরাত এবং সর্বাধিক নফল রোজা ও নফল ইবাদতের মাস। রমজান হলো উম্মতের মাস, ফসল তোলার মাস, ফরজ রোজা, তারাবির নামাজ, কিয়ামুল্লাইল; কুরআন নাজিলের মাস এবং ইবাদত ও তিলাওয়াতে মশগুল থাকার মাস।

শাওয়াল মাস হলো ঈদুল ফিতর, সাদকাতুল ফিতর ও নির্ধারিত সুন্নত ছয় রোজার মাস। অনুরূপ জিলকদ মাসের পরের দুই মাস জিলহজ মাস ও মহররম মাস ইবাদতে ব্যস্ততর মাস। যেমন- জিলহজ মাস হজ, ঈদুল আজহা ও কোরবানির মাস; মহররম মাস আশুরার মাস। অর্থাৎ জিলকদ মাসের আগের চার মাস যেমন ইবাদতে ব্যস্ততায় মশগুল থাকতে হয়, তেমনি জিলকদ মাসের পরের দুই মাসও ইবাদতে আকুল থাকতে হবে। মাঝের একটি মাস জিলকদ, যেহেতু মুমিন সামান্য বিশ্রামের ফুরসত পেয়ে থাকেন, তাই এ মাসের নাম জুলকাআদাহ (জিলকদ) বা বিশ্রামের মাস।

জিলকদ মাসের সময় সঠিকভাবে ব্যয় করা : সময় হলো মানবজীবনের মূলধন। এই মহামূল্যবান সম্পদ হেলায় নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘শপথ! সময়ের, নিশ্চয় সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; তবে তারা নয়, যারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে, সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উৎসাহ প্রদান করে।’ (সূরা আসর, আয়াত : ১-৩) হাদিস শরিফে আছে- ‘তোমরা পাঁচটি জিনিসের আগে পাঁচটি জিনিসকে গুরুত্ব দাও; ব্যস্ততার আগে অবসরকে, অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে, দারিদ্র্যের আগে প্রাচুর্যকে, বার্ধক্যের আগে যৌবনকে, মৃত্যুর আগে জীবনকে।’ (মুসলিম ও তিরমিজি শরিফ) অর্থাৎ ‘অবসরকে কাজে লাগাও (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) ব্যস্ততা আসার আগে, সুস্থতাকে কাজে লাগাও (আল্লাহর হুকুম পালনের মাধ্যমে) অসুস্থ হওয়ার আগে, প্রাচুর্যকে কাজে লাগাও (দান করার মাধ্যমে) দারিদ্র্য আসার আগে, যৌবনকে কাজে লাগাও (বেশি বেশি নেক আমলের মাধ্যমে) বার্ধক্য আসার আগে, জীবনকে কাজে লাগাও (পরোপকারের মাধ্যমে) মৃত্যু আসার আগে।’ (সুনানে তিরমিজি)

হাদিস শরিফে আছে- ‘কিয়ামতের দিনে হাশরের ময়দানে কোনো আদম সন্তান পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এক কদমও নড়তে পারবে না। সে প্রশ্ন পাঁচটি হলো- জীবন কী কাজে শেষ করেছে, যৌবন কী কাজে লাগিয়েছে; কোন পথে আয় করেছে, কোন পথে ব্যয় করেছে এবং নিজের জ্ঞানমতো আমল করেছে কি না।’ (তিরমিজি-২/৬৭, আরবাঈন, নববি-১৯, ২০ ও ২১) হাদিস শরিফে আরো আছে- ‘প্রজ্ঞা মুমিনের হারানো সম্পদ’। (তিরমিজি-৫/৫১, ইবনে মাজাহ-২/১৩৯৫) সময় বা আয়ু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দেয়া শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। রোজ কিয়ামতে কঠিন হাশরের ময়দানে আল্লাহর আদালতে বিচারের সময় প্রতিটি নিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা কুরআন কারিমে বলেন- ‘অতঃপর সে দিন তোমাদের প্রতিটি নিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।’ (সূরা তাকাসুর, আয়াত-৭)

জিলকদ মাসের স্মরণীয় ঘটনা
* এটি যেকোনো যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধের মাস।
* ১ জিলকদ : হুদায়বিয়ার সন্ধি সংঘটিত হয়।
* এ মাসেই বাইয়াতে রেদওয়ান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
* ৮ জিলকদ : মুসলমানদের জন্য জীবনে একবার হজ পালনকে ফরজ করা হয়েছে।
* ২৫ জিলকদ : হজরত ইবরাহিম আ: ও হজরত ঈসা আ:-এর জন্ম।
* ২৫ জিলকদ : পবিত্র কাবা শরিফ; পৃথিবীতে প্রথম ভিত্তি স্থাপিত হয় বলে জানা যায়।
* সপ্তম হিজরির জিলকদ মাসে প্রিয়নবী সা: প্রথম ওমরাহ পালন করেন।
* এ মাসেই প্রিয় নবী সা: তাঁর জীবনের সব ওমরাহ পালন করেন।

জিলকদ মাসের আমল : প্রতি মাসের মতো এই জিলকদ মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নফল রোজা পালন করা। চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজে বাবা আদম আ:-এর সুন্নত রোজা রাখা। প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববীর রোজা পালন করা। প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা। সালাতুত তাসবিহ এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত বা দুহা, জাওয়াল ও আউওয়াবিন) পড়া। বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। দান-খয়রাত বেশি বেশি করা। জিলহজ মাসের ৯টি সুন্নত রোজা ও মহররম মাসের ১০টি রোজার প্রস্তুতি হিসেবে এই মাসে কিছু হলেও নফল রোজা রাখা আর যাদের সামর্থ্য ও সুযোগ রয়েছে, অর্থাৎ যাদের ওপর হজ ফরজ তাদের হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

লেখক :

  • ডা: মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

কলাম লেখক ও গবেষক