ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

  • সূর্যোদয় ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৫:২৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০৮৯ বার পড়া হয়েছে

আপনাদের ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ করতে অকাতরে জেল খেটেছি, তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি। ইচ্ছা করলে আমি বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করতে পারতাম।

দেশের ক্রান্তিকালে শেখ হাসিনা দুই দুই বার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আমি ও আমার নেত্রী দেশের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কারণে দেশ ছেড়ে যাইনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার তালায় কুমিরা হাইস্কুল মাঠে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পরে জামিনে মুক্তি পওয়ায় তালায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেননি। অথচ খালেদা জিয়াতো এখন মুক্ত হয়েছেন, তবে এখন হাসিনার চিকিৎসা করাবে কে?

তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল বারী হেলাল।

রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী আলাউদ্দিন ও হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সহধর্মিনী অ্যাড. শাহানারা পারভীন বকুল প্রমুখ।

এদিকে, শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার সাজানো মামলায় দীর্ঘ ৪ বছর কারাভোগের পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় পা রাখলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব। হাজার হাজার নেতাকর্মীরা এসময় সড়কের দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাকে এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে।

সাবেক এমপি হাবিব বলেন, তালা-কলারোয়ায় বিগত বিএনপি সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে বিগত ১৫ বছরে এত উন্নয়ন কেউই করতে পারেনি। তার আমলের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে তিনি বলেন, ২৭টি কলেজ, অনেক স্কুল, মাদ্রাসা, বিভিন্ন পিচের রাস্তাসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।

সাবেক সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে ৭০ বছর সাজা দিয়েছিল জালিম সরকার। আমাদের দলীয় নেত্রীকে চিকিৎসা পর্যন্ত হতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত এই জালিম হাসিনা পালিয়ে গেছে। আগামীতে এই জালিম যাতে আর এদেশে আসতে না পারে সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার সাজানো মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে ৭০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করে বিচারিক আদালত।

এ মামলায় বিএনপির আরও ৪৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কারাবন্দি অবস্থায় ৪ জন মৃত্যু বরণ করেন। ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। গত সপ্তাহে হাইকোর্ট ডিভিশনের ১১ নম্বর বেঞ্চ এ মিথ্যা মামলায় হাবিবসহ ৪৬ জন জামিনে মুক্তি পায়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

আজকের সূর্যোদয়

আজকের সূর্যোদয় প্রত্রিকায় আপনাদের স্বাগতম। ‍আমাদের নিউজ পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পাশে থাকুন।

বরিশালে মুজিবিয়ানের ৮৭ নেতাকে খুঁজছে গোয়েন্দা সংস্থা

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

আপডেট সময় ০৫:২৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আপনাদের ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ করতে অকাতরে জেল খেটেছি, তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি। ইচ্ছা করলে আমি বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করতে পারতাম।

দেশের ক্রান্তিকালে শেখ হাসিনা দুই দুই বার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আমি ও আমার নেত্রী দেশের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কারণে দেশ ছেড়ে যাইনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার তালায় কুমিরা হাইস্কুল মাঠে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পরে জামিনে মুক্তি পওয়ায় তালায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে দেননি। অথচ খালেদা জিয়াতো এখন মুক্ত হয়েছেন, তবে এখন হাসিনার চিকিৎসা করাবে কে?

তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ও অধ্যাপক মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আজিজুল বারী হেলাল।

রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী আলাউদ্দিন ও হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সহধর্মিনী অ্যাড. শাহানারা পারভীন বকুল প্রমুখ।

এদিকে, শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার সাজানো মামলায় দীর্ঘ ৪ বছর কারাভোগের পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় পা রাখলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব। হাজার হাজার নেতাকর্মীরা এসময় সড়কের দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাকে এক নজর দেখার জন্য অপেক্ষায় প্রহর গুনতে থাকে।

সাবেক এমপি হাবিব বলেন, তালা-কলারোয়ায় বিগত বিএনপি সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে বিগত ১৫ বছরে এত উন্নয়ন কেউই করতে পারেনি। তার আমলের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে তিনি বলেন, ২৭টি কলেজ, অনেক স্কুল, মাদ্রাসা, বিভিন্ন পিচের রাস্তাসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।

সাবেক সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে ৭০ বছর সাজা দিয়েছিল জালিম সরকার। আমাদের দলীয় নেত্রীকে চিকিৎসা পর্যন্ত হতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত এই জালিম হাসিনা পালিয়ে গেছে। আগামীতে এই জালিম যাতে আর এদেশে আসতে না পারে সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার সাজানো মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে ৭০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করে বিচারিক আদালত।

এ মামলায় বিএনপির আরও ৪৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কারাবন্দি অবস্থায় ৪ জন মৃত্যু বরণ করেন। ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। গত সপ্তাহে হাইকোর্ট ডিভিশনের ১১ নম্বর বেঞ্চ এ মিথ্যা মামলায় হাবিবসহ ৪৬ জন জামিনে মুক্তি পায়।