টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোকে পারস্পরিক সংহতি ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
উগান্ডার কাম্পালায় জি-৭৭ (জি-৭৭) ও চীনের জেনারেল ডিবেট অব দ্যা থার্ড সাউথ সামিটে তিনি এ আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদের কারণে চলমান বৈশ্বিক সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, চীন এবং জি-৭৭ সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি ১৯৭৪ সালে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রদত্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের কথা স্মরণ করে বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর বার্তা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি স্বচ্ছ ও অধিকতর ন্যায়সঙ্গত বিশ্বের জন্য পাঁচটি জরুরি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেমন- এসডিজি বাস্তবায়নে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ; বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কার; প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা; সর্বত্র লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবসম্মত ও উন্নয়নমুখী নীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনে তাদের সংগ্রামে সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে তিনি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তৃতীয় সাউথ সামিটের চেয়ার এবং গ্রুপের নতুন চেয়ার হিসেবে উদ্বোধন করেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি।
অধিবেশনে আরো বক্তব্য দেন জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস; জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস; চীনের প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং দ্বিতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি।
সূত্র : ইউএনবি